সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক »
মাদকের মামলায় আটক চিত্রনায়িকা পরীমণি। রিমান্ডের পর রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে কিন্তু জামিন মিলছে না দেশের জনপ্রিয় এই তারকার। পরীমণি কি সাধারণ নাগরিক কিংবা আসামির সুবিধা থেকেও বঞ্চিত? এমন কিছু প্রশ্ন নিয়ে আগামী ১৪ আগস্ট বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় জড়ো হচ্ছে ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিকজন’-এর ব্যানারে কিছু মানুষ। যাতে অংশ নিচ্ছেন নির্মাতা আবু রায়হান জুয়েল। যিনি চলমান করোনাকালে পরীমণিকে নিয়ে শেষ করেছেন মুহাম্মদ জাফর ইকবালের উপন্যাস ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’ অবলম্বনে সরকারি অনুদানের ছবি ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’। জুয়েল জানান, তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে চান। সহকর্মী ও একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবেই তিনি সেখানে যাবেন।
বাংলা ট্রিবিউনকে জুয়েল বলেন, ‘কারা এই আয়োজন করেছেন, তা আমি জানি না। ফেসবুকে যিনিই এই পোস্ট দিয়েছেন তাকেই জিজ্ঞেস করেছি কিন্তু উত্তর পাইনি। তবে পরী আমার সহকর্মী। এর বাইরেও একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি সেখানে যেতে চাই।’ যাওয়ার কারণ তুলে ধরতে এই নির্মাতা বলেন, ‘আমার বন্ধু ব্যারিস্টার। তার সঙ্গেও পরীর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। যেটা বুঝেছি মাদকের মামলায় দ্বিতীয় দিনেই জামিন পেতেন সাধারণ আসামিরা। পরী সেটাও পাচ্ছেন না। একের পর এক রিমান্ড নেওয়া হচ্ছে। পোশাক পরিবর্তন, তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগও পাচ্ছেন না কেউ। অথচ পরী দেশের খুব পরিচিত এক মুখ। তাকে তার প্রাপ্য জামিনও দেওয়া হচ্ছে না। তিনি অপরাধী হলে শাস্তি পাবেন। কিন্তু তার প্রতি এমন বৈষম্যমূলক আচরণ কেন? আমি এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সাধারণ মানুষ হিসেবে সেখানে যাব।’
তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, তাদের ছবি ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’-এর কোনও শিল্পীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ হয়নি। তাই ছবির নায়ক সিয়ামসহ অন্যরা এতে অংশ নেবেন কি না, সে বিষয়ে তিনি জানেন না। অন্যদিকে ‘পরীমণিরমুক্তিচাই’ হ্যাশট্যাগ ক্যাম্পেইন ১২ আগস্ট থেকে চলছে ফেসবুকে। তবে কারা এটি প্রথম আহ্বান করেছে- তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। একই হ্যাশট্যাগে ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছেন সাংবাদিক-লেখক এহসান মাহমুদ। তিনি ১০ আগস্ট প্রচারণার অংশ হিসেবে ‘চলমান ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। পরীমণির মুক্তি চাই’- এই স্লোগান কর্মসূচি পালন করেন। এর আগে বিভিন্ন আন্দোলনে সরব থাকা এহসান মাহমুদ ফেসবুকে জানান, সচেতন নাগরিক হিসেবে তিনি এই প্রতিবাদ করছেন।