নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি »
সড়ক যোগাযোগ না থাকায় কাঁধে করে ছড়া পেরিয়ে রূপনার চাকমার নতুন ঘরের নির্মাণসমাগ্রী পৌঁছে গেছে তার বাড়িতে। সাফ সেরা গোল রক্ষক রূপনার জরাজীর্ণ ঘরের ছবি প্রচারের পর প্রধানমন্ত্রী নতুন ঘর নির্মাণের নির্দেশের একমাসের মধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই নির্মাণসামগ্রী পৌঁছে গেছে ভূইয়াদম গ্রামে। এতে খুশি রূপনার পরিবার ও এলাকাবাসী। সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার প্রত্যয় সংশ্লিষ্টদের। রূপনা চাকমার নতুন ঘর নির্মাণের জন্য ১০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
নানিয়াচর উপজেলা প্রশাসন রূপনার বাড়ি নির্মাণকাজ শুরু করেছেন। আগের সেই জীর্ণ ঘরটি ভেঙে নতুন নকশায় তৈরি করা হচ্ছে ঘর। নকশা অনুযায়ী ঘরের মাটি কাটা শুরু হয়েছে। রূপনার মা দাঁড়িয়ে দেখছেন সেই কর্মযজ্ঞ। রূপনার নতুন ঘরে থাকছে থাকছে ৩টি বেড় রুম, একটি করে ড্রইয়িং, ডাইনিং, কিচেন, বাথরুম। এছাড়া রয়েছে বারান্দা পিতৃহীন রূপনা যটতা সংগ্রাম করে এতদূর উঠে এসেছে দামাল এই কন্যা ঠিক ততটাই প্রতিবন্ধকতা জয় করেই তৈরি হচ্ছে তার নতুন বসতঘরটি।
বৃহস্পিতাবার দুপুরে রূপনার মাকে নিয়ে কাজের ভিত্তি প্রস্তর করেন নানিয়চর উপজেলা নির্বাহী অফিসার। দ্রুততম সময়ে কাজ শুরু হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী ও রুপনার মা। একই সাথে রূপনার বাড়ি যাওয়ার সেতুটি দ্রুত কাজ শুরুর দাবি এলাকাবাসীর।
স্থানীয় মনিকাবালা চাকমা বলেন, এতো দ্রুত রুপানার বাড়ির কাজ শুরু হবে। এটা ভাবতে পারি নি। নতুন ঘরের কাজ শুরু হওয়ায় খুশি। কাজটি যেন দ্রুত শেষ হয় এটাই কামনা করছি।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মঙ্গল চাকমা বলেন, ঘরের কাজ শুরু হয়েছে এতে এলাকাবাসী সবাই খুশি তবে রুপনার বাসায় যাওয়া পথে সেতুর অভাবে মালামাল নিতে কষ্ট হচ্ছে। সেতুর অভাবে আমাদেরও কষ্ট হয়। এখন সেতুর কাজ শুরু হলে আরও বেশি খুশি হবো।
রূপনা চাকমা’র মা কালাসোনা চাকমা বলেন, অনুবাদ রূপনার চাকমা’র মায়ের কথা-(ভালো হয়েছে, খুশি হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার মেয়েকে ঘর তুলে দিচ্ছে। আগে ভাঙা ঘরে থাকতাম। এখন নতুন ঘর বানিয়ে দিচ্ছে সবাই অনেক খুশি। এখন ভালো ঘরে থাকতে পারবো। রূপনা সকালে ফোন করে জানতে চেয়েছে ঘরের কাজ শুরু হয়েছে কিনা। সেও খোজ খবর নিচ্ছে।
রাঙামাটি নানিয়ারচর, এলজিইডি এর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ জানান, আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা রেখে রূপনার ঘরটি নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবো আশা করছি।
রাঙামাটি নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মো. ফজলুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের এক মাসের মধ্যে কাজটি শুরু করতে পেরেছি। রুপনরা বাসায় আসার পথে যোগযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় নির্মাণসামগ্রী বাড়ি পর্যন্ত আনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দ্রুততম সময়ে সুন্দরভাবে কাজটি শেষ করতে চাই।