নিজস্ব প্রতিবেদক >>
সাগরের সুস্পষ্ট লঘুচাপটি খুলনা অঞ্চলের উপর দিয়ে স্থল নিম্নচাপ হিসেবে গত বৃহস্পতিবারে অতিক্রম করেছে। আর এতে গত তিনদিন ধরে টানা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
তবে গতকাল শুক্রবার সকালে দেশের তিনসমুদ্র বন্দরকে দেখানো স্থানীয় সতর্কতা সংকেত প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। সাগরে বায়ু চাপের তারতম্য কমে এসেছে এবং বৃষ্টির তীব্রতাও কমেছে। গতকাল দিনভর নগরীতে বৃষ্টির তীব্রতা কম ছিল। আজ শনিবার বৃষ্টি থাকলেও তীব্রতা কমে আসতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপাত্ত অনুযায়ী, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। এতেই বুঝা যাচ্ছে কমছে বৃষ্টির তীব্রতা। গতকাল সারাদিন হালকা বৃষ্টি হলেও বৃষ্টির তীব্রতা কম ছিল। কাল থেকে তা আরো কমে আসবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর পতেঙ্গা কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ শেখ হারুনুর রশিদ। তিনি বলেন, ‘সংকেত নামিয়ে নেয়া হয়েছে। এখন ধীরে ধীরে বৃষ্টির তীব্রতা কমে আসবে। তবে যেহেতু বর্ষাকাল তাই বৃষ্টি একেবারে বন্ধ হবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি রয়েছে। রাতে (শুক্রবার দিবাগতরাত) বৃষ্টিপাত হতে পারে। পাহাড় ধস থেকে জানমালের রক্ষায় সতর্ক থাকতেও বলা হয়েছে।’
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণের কারণে নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, হালিশহর কে ব্লক, এলব্লক, ছোটোপুল, শান্তিবাগ, চান্দগাঁও, পূর্ব বাকলিয়া প্রভৃতি এলাকায় পানি জমে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ। এছাড়া গত কয়েক দিন ধরে পাহাড় ধসে জান মালের রক্ষায় পাহাড়ের পাদদেশ থেকে বসতিদের সরিয়েও আনছে জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য, সাগরে পরপর দুই দফায় লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় নগরীতে টানা বর্ষণ হচ্ছিল। বছরের এ সময়ে সাধারণত বৃষ্টিপাত বেশি হয়ে থাকে।
ধীরলয়ে কমছে বৃষ্টির তীব্রতা
সতর্কতা সংকেত নেই