নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরীসহ নির্বাহী পরিষদের দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জাহাঙ্গীর চৌধুরী ও তার নির্বাচিত কমিটির অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সুমন বড়ুয়াকে প্রধান করা হয়েছে। এছাড়া চার সদস্যের এ কমিটিতে থাকছেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল হায়দার, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের একজন প্রতিনিধি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, ‘চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের কার্যকরী কমিটির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছিলো, তা তদন্ত করে ওই কমিটিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। এবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করলো। বুধবার (৮ ফেব্রয়ারি) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের এই কমিটিও অল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
জানা যায়, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল থেকে সাময়িক অব্যাহতি পাওয়া পুরো পরিচালনা পর্ষদের নেতৃত্ব দিতেন কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরী। তাদের বিরুদ্ধে সমাজসেবা অধিদপ্তর গত বছরের ২১ জুলাই তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। আবার ২৪ আগস্ট জাহাঙ্গীর চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে ওই কমিটির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, স্বজনদের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ ও দুর্নীতির অভিযোগ আসে স্বাস্থ্য বিভাগে। এরমধ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তরের তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে এ বছরের ২৫ জানুয়ারি জাহাঙ্গীর চেীধুরী ও তার কমিটিকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে নতুন প্রশাসক হিসেবে বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোস্তফা মোস্তাকুর রহিম খানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহী নেওয়াজ। তিনি সুপ্রভাতকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরী ও কার্যনির্বাহী পরিষদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির অভিযোগ আসে। তদন্তে অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়েছে। আমরা প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করেছি। এখন ওই কার্যনিবাহী পরিষদকে সাময়িক বরখাস্ত করে নতুন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কখন থেকে শুরু হবে জানতে কথা হয় এ কমিটির প্রধান বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সুমন বড়ুয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কমিটি গঠনের সকল কাজ প্রায় শেষ। মন্ত্রণালয়ের চিঠির নির্দেশনা অনুযায়ী আমি ও সিভিল সার্জন অফিসের ডা. নুরুল হায়দার আছি। সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে সমাজসেবা অফিসার মো. সোহানুর মোস্তফা শাহরিয়ারের নাম পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ম্যাজিস্ট্রেটের নাম পাঠানো হয়নি। নামটি পেলেই আমরা তদন্তের কাজ শুরু করবো।