এসডিজি ইয়ুথ ফোরমের ওয়েবিনার
টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ঠের দ্বিতীয় অভিষ্ঠ সম্পর্কে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের জরিপ অনুযায়ী কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশকেও আরো কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ক্ষুধামুক্তি অর্জনের যে ইন্ডিকেটরগুলো আছে তা তেমন আশানুরূপ নয়। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান মতে, বাংলাদেশের শতকরা ৩০.৫০% ভাগ মানুষ খাদ্য অনিরাপত্তাজনিত সমস্যায় ভুগছে। এছাড়া সারাবিশ্বে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি খাদ্য অনিরাপত্তাজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। তবে শিশু মৃত্যুরোধ, অপুষ্টি হ্রাস, ক্ষুধা দারিদ্র্য মুক্তি প্রভৃতি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে।
এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ক্ষুধামুক্তি অর্জনের উদ্দেশ্যে করণীয় নিয়ে ‘এসডিজি-২ জিরো হাঙ্গার’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে টেকসই কৃষি ব্যবস্থার সম্প্রসারণে আধুনিক প্রযুক্তির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা জরুরি বলে মত দেন তিনি।
এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহারের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুর রহমান শিহাবের সঞ্চালনায় এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম ফেইজবুক পেইজ থেকে গতকাল ২৪ জানুয়ারি সরাসরি সম্প্রচারিত ভার্চুয়াল আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র জিরো হাঙ্গার কর্মসূচির সদস্য আশিক সায়েম। মুখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও পরিবেশবিদ প্রফেসর ড. এম.এ.গফুর। প্যানেল আলোচক ছিলেন পরিবেশবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী, কনজ্যুমার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসেন, বাংলাদেশ নন প্যাকার ফ্রোজেন ফিশ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব রানা, অনলাইন কৃষি এন্ড পল্লী ঋণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আনিসুল মোস্তফা, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের সহকারী অধ্যাপক ড. শারিন শাহজাহান নওমি, পাকিস্তানের কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট ডেভলাপমেন্ট প্রোগ্রামের সিইও মুহাম্মদ ইবরার, নেপালের রিয়েল ফুড সিস্টেম প্রোগ্রামের অ্যাম্বেসেডর সাগর কৈরালা, এবি ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আব্দুল ফারুক, সামাজিক সংগঠন কৃষকের বাজারের সদস্য মো. তৌহিদুল ইসলাম, সদস্য মো. মুসলিম উদ্দিন প্রমুখ।
প্রফেসর ড. এম. এ. গফুর বলেন, গত এক বছর যাবত দেশে যে পরিমাণ সার্জিকাল মাস্ক ব্যবহৃত হয়েছে তার যথাযথ ও নিয়মতান্ত্রিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি করোনার মত একটি নতুন জীবাণু সংক্রমণের ব্যাপ্তির আশংকা রয়ে যায়।
নোমান উল্লাহ বাহার বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রাকৃতিক কৃষির সাথে আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক উপায়ে কৃষি জমির উৎকর্ষতা বৃদ্ধির দিকে নজর দিতে হবে। কাউকে পেছনে ফেলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে নগরায়িত দেশে পরিণত হচ্ছে। বিদ্যমান গ্রামীণ অবস্থায় কৃষি জমি যাতে সংকুচিত হয়ে না পরে সে বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক।
প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় আমাদের আরো সোচ্চার হতে হবে। এস এম নাজের হোসেন বলেন, খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে এবং সকল জনগোষ্ঠীর নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সরকারের ভূমিকা অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞপ্তি