নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ »
কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশখালীয়া পাড়া এলাকার শফিকের বসতঘরে অভিযান চালিয়ে শিশু ও নারীসহ ২৬ ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ, ৪ জন মহিলা, ৫ জন শিশু বাচ্চা রয়েছে। পাশাপাশি নারীসহ ৫ মানব পাচারকারী দালালকে আটক করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. আব্দুল হালিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটককৃতরা হলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশখালীয়া পাড়া এলাকার মো. শফিকের স্ত্রী ও নুরুল ইসলামের মেয়ে সাবেকুন্নাহার (২৩), মৃত মোহাম্মদ ইসহাকের ছেলে নুরুল ইসলাম (৬০), উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্প-৩ বি ব্লক -১ এর মৃত হায়দার আহমদের ছেলে জাহেদ হোসেন (২০), সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ করাচি পাড়া এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে আবদুর রহিম (৩৫) ও মো. সালামের ছেলে জাহেদ হোসেন (২৯)।
অপরদিকে উদ্ধার ভিকটিমেরা হলেন, শামসুল আলমের ছেলে মো. রফিক, (১৬) সুলতান আহাম্মদের ছেলে মো. রিয়াজ (১৮), করিম উল্লাহর ছেলে আবদুল্লাহ (১৯) আজিম উল্লাহর ছেলে শাহ আলম (১৭), আমির হোসেনের ছেলে কোরবান আলী (১৮), সৈয়দ আহমদের ছেলে নজির আহম্মদ (৩৬), কালা মিয়ার ছেলে নুর কুদ্দুস (২৩), নজির আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ জোহার (১৭), সৈয়দুল আমিনের ছেলে মো. ইয়াসিন (১৩), আবুল কাসিমের ছেলে আবদুর রশিদ (২৯), ইমান হোসেনের নাছির উদ্দীন (২০), আবদুল মাজেদের ছেলে আনোয়ার ইব্রাহিম (১৮), ইসমাইলের ছেলে মো.জাকের (১৯), নুর আহাম্মদের ছেলে মো. ইমরান (১৫), মৃত সালা উদ্দীনের ছেলে মো. বনি (২২), আবদুল হাছের ছেলে মো. আয়াছ (১৪), নুর মোহাম্মদের ছেলে ওসমান গণি (১৯) রশিদ উল্লাহর স্ত্রী রমিজা (২৪), মো. আমিন (৮) মো. আলম (৬), নূর সাদিয়া (২), মো. ওমর (২৩) মৃত আয়াত উল্লাহর স্ত্রী তসলিমা (২৬), মৃত আয়াত উল্লাহর ছেলে শাহামিম (৭), মো. হাবিব আহাম্মদের ছেলে ছমিরা (১৯) ও মো. ইসমাইলের মেয়ে ইয়াছমিন (১৯)। তারা সকলে উখিয়া বালুখালী, কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সহ কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
ওসি আব্দুল হালিম জানান, ২৬ জন ভিকটিমকে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড পাঠানোর পূর্ব প্রস্তুুতি চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পাচার কাজে জড়িতদের আটক এবং ভিকটিমদের উদ্ধার করা হয়। এছাাড় ভিকটিমদের নিকট হতে পাচারের উদ্দেশ্যে আদায়কৃত ৪২ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১টি কাপড় ভর্তি ট্রলি জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, গত ৭ দিন যাবৎ উক্ত মানব পাচার চক্রটিকে আটক করার জন্য বিভিন্ন ছদ্মবেশে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছিল টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ।