জেনারেল হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজে রূপান্তর করা হবে

অ্যাম্বুলেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল

‘চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তেমন পরিচিতি ছিল না। দেশে করোনা ভাইরাস আসার পর কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য সর্বপ্রথম এখন একমাত্র ভরসাস্থল ও আস্থার ঠিকানায় পরিণত হয় এ হাসপাতাল।’
গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় পিএইচপি ফ্যামেলির সুফি মিজান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জেনারেল হাসপাতালের জন্য উপহার হিসেবে অ্যাম্বুলেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি এ কথা বলেন।
ফিতা কেটে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বির হাতে অ্যাম্বুলেন্সে চাবি হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রথমাবস্থায় কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য এ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকট থাকলেও জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টা ও এস আলম গ্রুপসহ ধর্ণাঢ্য ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় ভেন্টিলেটর, হাই ফ্লু ন্যাজাল ক্যানোলা, প্রয়োজনীয় আইসিইউ বেড সংযোজন ও লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে বর্তমানে এটি পরিপূর্ণ হাসপাতাল হিসেবে বাংলাদেশে পরিচিতি লাভ করেছে। এ হাসপাতালের জন্য এমআরআই ও ডাইলাইসিস মেশিনসহ এইচডিইউ বেড স্থাপনে সহযোগিতা করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে উন্নত থেকে উন্নততর করে আগামীতে এ হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রূপান্তর করা হবে।

ফিতা কেটে চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জন্য এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করছেন সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি

নওফেল বলেন, পিএইচপি পরিবারের প্রধান সুফি মিজান ফাউন্ডেশন আর্ত-মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। বিদেশ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি আমদানি করা হয়। কিন্তু পিএইচপি পরিবার অন্যান্য পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি দেশে গাড়ি তৈরি করে বাজারজাত করছে। এটা আমাদের জন্য বড় পাওনা। জেনারেল হাসপাতালে উপহার হিসেবে একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করায় তিনি পিএইচপি পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের শরীরে এন্টিবডির উপস্থিতি সংক্রান্তে জেনারেল হাসপাতালে গবেষণা কার্যক্রম দেশে এই প্রথম। অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কোভিড রোগীদের শরীরে এন্টিবডির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকগণের ক্রস বিভাগীয় গবেষণাটি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এন্টিবডি গবেষণায় ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী ও পিএইচপি অটো মোবাইলস্ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আকতার পারভেজ।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের অর্থোপেডিক কনসালট্যান্ট ডা. অজয় দাশ। এছাড়া সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহরলাল হাজারীসহ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি