প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক গণিত দিবস উদযাপন
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, জীবনের সবক্ষেত্রে গণিত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ হিসেবে আইনস্টাইন, সত্যেন বোস, চন্দ্রশেখর, সালাম, রামানুজান, ইউক্লিড ও পীথাগোরাসের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যে প-িত ও জ্ঞানীদের মূল্যায়ন কমে যাওয়ায় সেই সাম্রাজ্যের পতন হয়েছিল। গীবনের বর্ণনায় সাম্রাজ্যটির পতনের ইতিহাস পাওয়া যায়। এখন আমাদের দেশেও দেখি, প-িত, বিজ্ঞানী ও গণিতবিদদের তেমন মূল্যায়ন করা হয় না। একজন বড়ো মাপের বিজ্ঞানী বা গণিতবিদ তাঁর বড়ো কোনো রিসার্চের জন্য এখানে অর্থসাহায্য তেমন পান না। অথচ এখানে একজন খেলোয়াড় অনেক দামী। বস্তুত খেলোয়াড়ের কৃতিত্বে যেমন তাঁকে মূল্যায়ন করা দরকার, তেমনি একজন প-িত ব্যক্তিকেও তাঁর যথাযথ মূল্য দেওয়া ও তাঁর কাজে সহযোগিতা করা উচিত। গতকাল রোববার সকাল ১১টায় নগরীর দামপাড়াস্থ প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির গণিত বিভাগের উদ্যোগে ইউনেস্কো ঘোষিত আন্তর্জাতিক গণিত দিবস উদযাপন উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ইফতেখার মনিরের সভাপতিত্বে ও শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর প্রাক্তন অধ্যাপক, দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক এবং প্রকৌশল ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ।
প্রফেসর ড. কায়কোবাদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ জনসংখ্যা সমৃদ্ধ দেশ। এদেশকে সমৃদ্ধশালী ও অগ্রসর করতে হলে এই মানুষগুলোর মস্তিষ্ককে পাওয়ারফুল করতে হবে, কাজে লাগাতে হবে। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব একমাত্র মস্তিষ্কের জন্য। মানবদেহের অন্য কোনো অঙ্গ ও প্রত্যঙ্গ মস্তিষ্কের সমতুল্য নয়। মস্তিষ্ককে পাওয়ারফুল ও সমৃদ্ধশালী করার জন্য চিন্তা করার বিকল্প নেই। যে যত বেশি চিন্তা-ভাবনা করবে, ততই তার মস্তিষ্কের পাওয়ার বাড়বে। ফলে সে অনেক কঠিন ও জটিল সমস্যা সমাধান করতে পারবে। আলবার্ট আইনস্টাইন চিন্তার মাধ্যমে তাঁর মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছিলেন এবং বৈজ্ঞানিক অনেক তথ্য ও তত্ত্ব উদ্ভাবন করেছিলেন। ড. কায়কোবাদ উল্লেখ করেন, মস্তিষ্কের এই চর্চার মূল হাতিয়ার হলো গণিত। ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক বলেন, যে যেক্ষেত্রেই থাকুক, সাফল্য অর্জনের জন্য গণিতের দরকার। বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য গণিতের বিকল্প নেই। প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ বলেন, অংক জানতে হবে, অংক করতে হবে। অনুষ্ঠানে অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রশ্নোত্তর ও কুইজ পর্বের আয়োজন করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন সম্মানিত অতিথি প্রফেসর ড. কায়কোবাদ। শেষে অলিম্পিয়াড ও কুইজপর্বে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া সকল অংশগ্রহণকারীকে সনদ প্রদান করা হয়। বিজ্ঞপ্তি