নিজস্ব প্রতিবেদক »
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান সহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন অ্যাডভোকেট এ এস এম বদরুল আনোয়ার। তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, চট্টগ্রাম ইউনিটের সভাপতি।
গতকাল রোববার সকালে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এসকে এম তোফায়েল হাসানের আদালতে মামলার আবেদন করা হয়। আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলাটি গ্রহণের বিষয়ে ১৫ তারিখ আদেশ দেবে আদালত।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নাতনি, বিনএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল বক্তব্য প্রদানের অভিযোগে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই মামলার আবেদন করা হয়। মামলায় অন্য আসামি হলেন পটিয়ার বাসিন্দা মহিউদ্দীন হেলাল নাহিদ।
মামলার প্রথমিক তথ্যে উল্লেখ করা হয়, ডা. মুরাদ ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রদানকালে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যরিস্টার জাইমা রহমান সর্¤úকে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেষী এবং যে কোন নারীর জন্য মর্যাদা হানিকর ভাষা ব্যবহার করেন। সেই সাক্ষাৎকারটি তিনি তার ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজে প্রচার ও প্রকাশ করেন। সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে অপমান ও অপদস্থ করায় সামাজিকভাবে তার মানহানি হয়।
মামলার বাদি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, চট্টগ্রাম ইউনিটের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এস এম বদরুল আনোয়ার সুপ্রভাতকে বলেন, ‘ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে নিয়ে ডা. মুরাদ আশ্লীল মন্তব্য করেছেন। তিনিসহ দুইজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৩০, ৩১ ধারায় সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
সম্প্রতি এক ফেসবুক পেজের লাইভে এসে খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ হাসান। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেই চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে দুই বছর আগের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। এতে ওই চিত্রনায়িকাকে ধর্ষণের হুমকি দিতেও শোনা যায় মুরাদ হাসানকে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পদত্যাগ করেন তিনি। এরপর জামালপুরের এই সংসদ সদস্যকে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কমিটি থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।