ক্লাব কলেজিয়েট এর ক্লাব নাইটে আজাদী সম্পাদক :  ক্লাব কলেজিয়েটকে আমরা সকলে এগিয়ে নিয়ে যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘আমরা সকলে মিলে ক্লাব কলেজিয়েটকে এগিয়ে নিয়ে যাবো এবং এর জন্যে যা কিছু প্রয়োজন তা নিশ্চয়ই করবো।’

ক্লাব কলেজিয়েটের সিনিয়র মেম্বার, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক গত শনিবার (২৮ জুন) ক্লাব কলেজিয়েট চিটাগাং লিমিটেড আয়োজিত ক্লাব নাইটে শুভেচ্ছা বক্তব্যে তাঁর এ অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

নগরের জামালখান প্রেসক্লাব ভবনের ক্লাব মিলনায়তনে প্রথমবারের মতো মেম্বারদের নিয়ে এ ক্লাব নাইটের আয়োজন করা হয়।
দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক বর্তমান কলেজিয়েট স্কুলের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার বিষয়ে বলেন, স্কুলের কোনো ভালো ছাত্র যদি আর্থিক কারণে তার বেতন চালাতে না পারে তার ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে আমরা তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারি। এ সময়ে তিনি বলেন, আপনারা হয়তো অনেকে জানেন না, চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটিতে আমার ১০টি স্কলারশিপ আছে। ওদের নয়টি ফ্যাকাল্টির মধ্যে ২টি জার্নালিজমে এবং ৮টি ফ্যাকাল্টির মধ্যে একটি একটি করে প্রতি বছর আজকে প্রায় ২০ বছর ধরে এ স্কলারশিপ দিচ্ছি। এছাড়া ভার্সিটি কর্তৃপক্ষকে বলা আছে, কোনো অন্ধ শিক্ষার্থী ভর্তি হলে তাকে প্রতি মাসে দেড় হাজার টাকা করে দেবো। চেষ্টা করি এভাবে সহযোগিতা করার। আমরা যদি প্রত্যেকেই এভাবে সহযোগিতা করি তাহলে অনেকে উপকৃত হবে।

তিরি আরো বলেন, আর একটা কথা বলি, বলে নিজে একটু গর্ব অনুভব করি সেটা হচ্ছে-মা ও শিশু হাসপাতালে যে ক্যানসার ইউনিট চালু হয়েছে তার জন্যে আমি প্রায় ৩৫ কোটি টাকা তুলে দিয়েছি। আমার মায়ের নামে এক কোটি টাকা দিয়ে একটা ফ্লোর করে দিয়েছি যেখানে ক্যানসারের চিকিৎসা হয়। আমরা জানি, হাসপাতালের একটি মেশিন কেনার জন্যে প্রায় ৩০ কোটি টাকা লোন করতে হয়েছে। চেষ্টা করবো সেই ৩০ কোটি টাকা তুলে দিতে তাহলে তাদের সার্ভিস চার্জটা সাশ্রয়ী হবে। এভাবে আমরা যদি সবাই সাহায্য সহযোগিতার হাতটা প্রসারিত করতে পারি তাহলে নিশ্চয়ই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অসহায় রোগিরা উপকৃত হবে।

দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক জীবনে সফলতার প্রসঙ্গে বলেন, নিজের পরিবার এবং নিজেকে যদি আমরা এগিয়ে নিতে পারি অর্থনৈতিকভাবে তাহলেই জীবনে বড় সাকসেস। আমরা সেভাবেই চিন্তা করবো। আমরা যদি এভাবে প্রত্যেকে প্রত্যেকের অবস্থার উন্নতি করতে পারি তাহলে দেশও এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন ক্লাবের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রভাত বাংলাদেশের সম্পাদক রুশো মাহমুদ।
ক্লাব মেম্বারদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সিনিয়র মেম্বার, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক প্রাপ্ত দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক।

ক্লাব চেয়ারম্যান শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম তাঁর বক্তব্যে বলেন, এখন থেকে প্রতিমাসেই নিয়মিতভাবে ক্লাব নাইটের আয়োজন করা হবে। স্পোর্টস কার্নিভ্যালসহ সামনে অনুষ্ঠিতব্য নানা আয়োজনের বিষয়াদি তুলে ধরে মেম্বারদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহবান জানান।

সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন মিরাক্কেল খ্যাত কমর উদ্দিন আরমান, সঙ্গীতশিল্পী রিফাত চৌধুরী লিজা ও রীতু বড়ুয়া।

কলেজিয়েট ব্যাচ-১৯৮০ নিবেদিত ও প্যাসিফিক নিট ডিভিশনের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত সঙ্গীতানুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন ক্লাব মেম্বার তৌফিকুল ইসলাম বাবু, ক্যাপ্টেন ফসিউর রহমান ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মুহাম্মদ সাজ্জাদ সিদ্দিকী।