নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া »
গতকাল ভোরে বৃষ্টি ও তীব্র ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। হয়। এ কালবৈশাখীর তা-বে ধান ক্ষেতের তেমন ক্ষতি না হলেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে লবণ চাষিদের। বহু মেট্রিক টন লবণ বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। এ ধরনের অবস্থা অব্যাহত থাকলে উপকূলজুড়ে লবণ উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে।
কয়েকদিন আগে থেমে থেমে ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি বৃষ্টির কারণে পেকুয়া উপজেলায় লবণ উৎপাদন একেবারেই বন্ধ হয়ে পড়ে। একই অবস্থা লবণ উৎপাদনকারী অঞ্চল কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায়ও। কয়েকদিন বৃষ্টি না হলে কৃষকরা লোকসান কমাতে পুরোদমে মাঠে নামে লবণ উৎপাদন করতে। দুই একদিন যেতে না যেতে হঠাৎ কালবৈশাখী তা-ব। মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টিপাতের কারণে মাঠে মাঠে বিছানো পলিথিন মুড়িয়ে রাখতে দেখা গেছে লবণ চাষিদের। অবশ্য আধুনিক পদ্ধতির (পলিথিন পদ্ধতি) চাষিদের তেমন ক্ষতি না হলেও সনাতন পদ্ধতিতে (সরাসরি মাটিতে) যারা লবণ উৎপাদনে নেমেছেন তারা আর্থিকভাবে বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
এ বিষয়ে বিসিক কক্সবাজার লবণশিল্প উন্নয়ন প্রকল্পের মাঠ পরিদর্শক মো. ইদ্রিস আলী বলেন, চলতি মৌসুমের বৃষ্টিপাত হয়েছে কিছু সময়ের জন্য। এজন্য লবণ উৎপাদন তিন থেকে চারদিন ব্যাহত হতে পারে। এরপর থেকে আবারো দেদারচে লবণ উৎপাদন করতে পারবেন চাষিরা। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশের একমাত্র লবণ উৎপাদনকারী অঞ্চল কক্সবাজারের আট উপজেলা যথাক্রমে চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও, উখিয়া ও টেকনাফ এবং বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলার (একাংশ) সিংহভাগ চাষি আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করেই লবণ উৎপাদন করে থাকেন। এজন্য আধুনিক পদ্ধতির চাষিদের তেমন ক্ষতি হবে না। তবে সংখ্যায় কম হলেও সনাতন পদ্ধতির চাষিরা আর্থিকভাবে কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। কারণ তাদেরকে নতুন করে মাঠকে লবণ উৎপাদনের উপযোগী করে তুলতে হবে। তবে সেই সমস্যাও কেটে গিয়ে ফের লবণ উৎপাদন আগের অবস্থায় ফিরবে।
মগনামার লবণচাষী মোহাম্মদ আলী জানান, বৃষ্টিপাতে লবণ উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তবে এখনো চাষিদের হাতে আরো দেড়মাসের বেশি সময় রয়েছে। যদি আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূলে থাকে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দেদার লবণ উৎপাদন হবে বলে আশা করছি ।