নিজস্ব প্রতিনিধি, নাইক্ষ্যংছড়ি »
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পাহাড়ি পতিত জমিতে সম্ভাবনায় প্রোটিন জাতীয় শস্য ‘কাজুবাদাম’ প্রদর্শনী মাঠ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. বেনজীর আলম। তিনি গত শনিবার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফি উল্লাহর দুই একর এলাকার ‘কাজুু বাদাম’ বাগান পরিদর্শন করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নাইক্ষ্যংছড়ি হর্টিকালচার সেন্টারের তত্ত্বাবধানে এই উপজেলার পাহাড়ি পতিত জমিতে ২০০ একর এলাকায় কৃষকদের মাধ্যমে কাজুবাদামের চাষ করা হয়েছে। এই অঞ্চলে ২৫ শতাংশ পাহাড়ি পতিত জমিতে উন্নতজাতের কাজুবাদাম চাষের সম্ভাবনা রয়েছে।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শনিবার উপজেলা চেয়ারম্যানের বাগানে ৪ জাতের কাজুবাদাম পরিদর্শন করেন। ওই সময় মাত্র দেড় বছরে কাজু বাদামের ফলন দেখে অভিভূত হন পরিদর্শনকারী মহাপরিচালক ও অন্য কর্মকর্তারা।
ওই সময় মহাপরিচালকের সাথে ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামস্থ অতিরিক্ত পরিচালক মোফাজ্জল হোসেন, বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মেহেদী মাসুদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কক্সবাজারস্থ উপপরিচালক ড. মো. এখলাছ উদ্দিন, রামু হর্টিকালচার সেন্টারের মো. রাশেদ হাসনাত, কক্সবাজারের ঝিলংজা হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মোছাম্মৎ ছাহেরা বানু, কাজুবাদাম ও কফি উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শহিদুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি হর্টিকালচার সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত উদ্যানতত্ত্ববিদ এমরান কবির। এছাড়া একঝাঁক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারীকৃষি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত কর্মকর্তাগণ বিদেশি জাতের কাজুবাদামের দেশের আবহাওয়ায় সুপার এডাপটেশন দেখে কাজুবাদাম চাষের সম্ভাবনার ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে ওঠেন।
তাদের মতে, পাহাড়ি এলাকায় আম, লিচু, মাল্টা বা সাধারণ ফল চাষ হয় না এমন প্রচুর পরিমাণে পাহাড় পতিত (প্রায় ২৫%) রয়েছে, যা কাজুবাদাম চাষের জন্য খুবই উপযুক্ত। ওইসব জমি কাজুবাদাম চাষের আওতায় আনা গেলে বাংলাদেশে কাজুবাদাম শিল্পে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।