নিজস্ব প্রতিবেদক »
সরবরাহ বাড়ায় রাতের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাই আড়ত পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। যোগান বাড়লে দাম আরও কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জের আড়তে পাইকারিতে দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৬২ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯৩ থেকে ৯৫ টাকা। যা বুধবার সকালে দেশি ও আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১০৫ থেকে ১২০ টাকা। রাতের ব্যবধানে আড়ত পর্যায়ে কমেছে প্রায় ৪৩ টাকার বেশি।
আড়তদারেরা বলেন, আড়তে ফরিদপুরের ও মেহেরপুরের পেঁয়াজের সরবরাহ প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে, তাই দাম কমে গেছে। দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে খাতুনগঞ্জের আড়তে দাম কমার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৭৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা দরে। যা বুধবার বিক্রি হয়েছিল ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায়।
বকসিরহাটের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. শিমুল বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে খাতুনগঞ্জের আড়তে দাম কমায় খুচরাতে দাম কমেছে প্রায় ৩০ টাকা। আমরা যে পেঁয়াজ কেজিতে ১৪০ টাকা বিক্রি করতাম এখন ১১০ টাকা। আর ১২০ টাকার পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কমে ৭৫ টাকায় বিক্রি করছি।
চাক্তাইয়ের আড়তদার ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো, রবিউল হোসেন বলেন, ‘আড়তে পর্যাপ্ত দেশি পেঁয়াজের ট্রাক এসেছে। যার ফলে দাম কমতির দিকে।’
খাতুনগঞ্জের আড়তদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘রাতের মধ্যে আড়তে প্রচুর দেশি পেঁয়াজ এসেছে। রাতেই কমেছে প্রায় ৫০ টাকার বেশি। আর পেঁয়াজের ট্রাক রাস্তায় আসার পথে। সব মাল যদি আড়তে ঢুকে তাহলে দাম আরও কমবে।’