সুপ্রভাত ডেস্ক »
বলিউডের অন্যতম নির্মাতা বিশাল ভরদ্বাজ ‘খুফিয়া’ নামের একটি সিনেমা বানানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। যার জন্য নায়িকা লাগবে ঢাকার! কারণটা স্পষ্ট না হলেও, ঢাকাই নায়িকা ছাড়া যে ছবিটা বানাচ্ছেন না তিনি, সেটি এরমধ্যে স্পষ্ট। প্রথমে মিম, পরে মেহজাবীনকে প্রস্তাব করে ব্যর্থ হয়েছেন ‘মকবুল’, ‘ইশকিয়া’, ‘কামিনে’, ‘হায়দার’, ‘ওমকারা’-খ্যাত এই নির্মাতা। দুই অভিনেত্রীরই একই মন্তব্য, ছবিটির গল্পের সঙ্গে নেতিবাচকভাবে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নাম।
তবে এরমধ্যে আভাস মিলছে আরেকটি নাম। বিশাল ভরদ্বাজ এরমধ্যে কড়া নেড়েছেন ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-খ্যাত ঢাকাই অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের দরজায়। জানা গেছে, দরজাটা খুলেছেন বাঁধন। দিয়েছেন অডিশনও! ফলাফল বিশাল ভরদ্বাজের পক্ষেই রয়েছে। তবে এসব বিষয়ে একেবারেই মুখে কুলুপ দিয়েছেন বাঁধন। যেমনটা দিয়েছিলেন ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এর বেলায়। তবে এই বিষয়ে অতোটা এড়িয়ে যাননি বাঁধন। বললেন, ‘আসলে বলার মতো এখনও তেমন কিছুই হয়নি। যদি আমি এমন কোনও প্রজেক্টে অভিনয় করি এবং সেটা চূড়ান্ত হয়- তবে অবশ্যই জানাবো। কাজ করলে তো লুকোচুরির কিছু নেই।’
ফের প্রশ্ন ছিলো, চারপাশে জোর গুঞ্জন বিশাল ভরদ্বাজের ‘খুফিয়া’ দিয়েই বলিউডে পা ফেলছেন বাঁধন! জবাবে বলেন, ‘এমন আরও কতো গুঞ্জন হবে। বাট গুঞ্জনে কান দেওয়া ঠিক হবে না। বলিউড-হলিউডে কাজ করার আগ্রহ কার না থাকে। আমারও আছে। কিন্তু সেটি শতভাগ নিশ্চিত না হলে তো আগাম বলা ঠিক হবে না। রোজ রোজ কতো কাজের কথাই তো হয়। তার কয়টা আমরা শেষ পর্যন্ত করি বা করতে পারি।’
এর আগে গত কোরবানির ঈদের আগে এক মেইল বার্তায় প্রথম প্রস্তাবটি আসে বিদ্যা সিনহা মিমের কাছে। এর কাছাকাছি সময়েই একই অফার পান অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীও। মিমের মতো মেহজাবীনও প্রস্তাবটিতে সাড়া দেননি বলে নিশ্চিত করেছেন। মেইলে মিমকে জানানো হয়, ‘খুফিয়া’ নামে বলিউডের একটি সিনেমায় তার স্ক্রিন টেস্ট করতে চান তারা। পরে কথা বলে জানতে পারেন, ঘটনা সত্যি। তবে কিছু দিন পরই ‘না’ করে দেন মিম। কারণ, তিনি মনে করছেন এর গল্পের সঙ্গে নেতিবাচকভাবে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নাম।
সংবাদমাধ্যমকে মিম বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি এবং আরও কিছু বিষয়ে সঠিকভাবে না জেনে গল্পটি তৈরি করা হয়েছে। সবকিছু ভেবে মনে হয়েছে, এ ধরনের ভুল উপস্থাপনের কোনও কিছুতে আমার যুক্ত হওয়া ঠিক হবে না। আমার পরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে তারাও একই মত দেন। এরপর বিনয়ের সঙ্গে আমি তাদের না করে দিই।’ অন্যদিকে মেহজাবীনকে প্রস্তাবটি দেওয়া হয় হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। সেটি আসে জুলাই মাসে। মেহজাবীন বলেন, ‘‘বলিউডের গুণী পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজের ছবির কাস্টিং ডিরেক্টর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। শুরুতে বিশ্বাস না হলেও পরে বুঝতে পারি, তারা গল্পের প্রয়োজনেই বাংলাদেশের কোনও অভিনেত্রীকে খুঁজছেন। এরপর পুরো গল্পের সিনপসিস দেখতে চাই। বিস্তারিত জানার পর কাজটি ‘না’ করে দিই। কারণ, আমার কাছে মনে হলো, চলচ্চিত্র হিসেবে এটি বিতর্কিত কিছু হবে। চাইনি, জীবনের প্রথম চলচ্চিত্রে এমন ভুল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুক্ত হতে।’’