ঈদ আনন্দ যেন বিষাদে পরিণত না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
গতকাল বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি নগরবাসীর প্রতি এ অনুরোধ জানান।
এসময় তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই মুসলিম সম্প্রদায়কে এবারের ঈদুল আযহা পালন করতে হবে। প্রতিদিনই এ ভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এবারের কোরবানি পালনে অবশ্যই সংযমী হতে হবে। কোরবানির নামে সামাজিক চাকচিক্য ও বিত্তবৈভবের প্রতিযোগিতা পরিহার করতে হবে। জীবন রক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। করোনা সংক্রমণের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে কোরবানি পশুর হাটগুলো। তাই সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে। গরুর বাজারের জটলায় গিয়ে ঘরে ফিরে পরিবার পরিজনদের ঝুঁকিতে ফেলবেন? নাকি সুস্থ থেকে ঈদ উদযাপন করবেন।
তিনি বলেন, সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে পারি তাহলে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পারি। সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিটি গরুর হাটে পর্যাপ্ত মাস্ক, সাবান এবং জীবাণুমুক্তকরণ সামগ্রী ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখতে হবে। মাস্ক ছাড়া কোনো ক্রেতা-বিক্রেতা হাটে প্রবেশ করতে পারবে না।
তিনি বলেন, প্রতিটি পশুর হাটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে। যাতে ক্রেতা বিক্রেতাসহ সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। সুজন বলেন, এবারের উৎসব কিছুটা কোরবানি দিতে পারি তাহলে সুস্থ অবস্থায় আগামী বছরগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদ্যাপন করতে পারবো। পশুর হাট যাতে কোন অবস্থাতেই করোনা সংক্রমণের হট স্পট হতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান তিনি। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর