নিজস্ব প্রতিবেদক »
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি করে ভুয়া পরিচয়ে বিয়ে করায় ভুক্তভোগী নারীর করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার হন মো. বাবর হোসেন নামে এক ব্যক্তি। নিজের পরিচয় গোপন করে তিনি প্রেম করে বিয়ে করেন বেসরকারি হাসপাতালের একজন টেকনেশিয়ানকে। গতকাল বৃহস্পতিবার আসামি বাবরকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে আসামি বাবর হোসেন ও তার তিন সহযোগী এবং অজ্ঞাত দুই-তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে সম্মতি নিয়ে ধর্ষণসহ এনআইডি জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। উক্ত মামলায় আজকে (গতকাল) বাবরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বর্তমানে ভুক্তভোগী নারী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ভুক্তভোগী নারী চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে আসামি বাবরের সঙ্গে বাদির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তখন আসামি বাবর নিজেকে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের লিগ্যাল অফিসার বলে পরিচয় দেন। এরপর একই বছরের ৮ অক্টোবর তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর বাবর বরিশাল বদলি হওয়ার কথা জানায়। তিনি মাঝে মাঝে বাদির বাসায় যেতেন। বাদির বিষয়টি সন্দেহ হলে তিনি অনলাইনে এনআইডি যাচাই করেন। এনআইডিসহ পরিচয় জালিয়াতির বিষয়টি জানার পর বাদি আরও তিনজনকে মামলার আসামি করেন। তারা এনআইডি জালিয়াতি করে বিয়ে রেজিস্ট্রির ঘটনায় আসামি বাবরের পক্ষের উকিল ও সাক্ষী ছিলেন। তবে মূল আসামি বাবরের নাম, পরিচয় বা তার পেশা জানতে পারেননি।
আসামিরা হলেন, ভূজপুর থানার শান্তির হাটের আব্দুর রশিদের ছেলে মো. রাজু (৩৮), নগরীর বাকলিয়া থানার রাহাত্তার পোলের মো. হারুনের ছেলে মো. ওমর ফারুক (২৯) ও বায়েজিদ বোস্তামীর অক্সিজেন ওয়াজিদিয়ার তামান্না ভবনের জালাল আহমদের ছেলে মো. হারুন (৪৪)।
প্রসঙ্গত, বিয়ে রেজিস্ট্রির সময় বাবর নিজের এনআইডি জানিয়ে একটা আইডিকার্ডের ফটোকপি প্রদান করেন। যেখানে লেখা ছিল- ‘মো. বাবর হোসেন, পিতা: মৃত আবুল কাসেম, মাতা: খতিজা বেগম। এনআইডি নাম্বার: ১৫১৩৩৬১২১৪৫৪৫, ঠিকানা: মৌলভী জানে আলমের বাড়ি, কাঞ্চননগর, ৪১৩২, থানা: ফটিকছড়ি, জেলা: চট্টগ্রাম।’