নিজস্ব প্রতিনিধি, আনোয়ারা:
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে মাদ্রাসা, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী মাদ্রাসা বন্ধের সুযোগে বেড়াতে যায় মামার বাড়িতে। সে সুযোগে মামাতো ভাই জাকির হোসেন (২৫) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে করে ধর্ষণ। পরে মেয়েটি পালিয়ে তার বাড়ি গিয়ে মা বাবাকে ঘটনার বিস্তারিত জানালে শনিবার রাতে আনোয়ারা থানা পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তারই অভিভাবক।
এ ঘটনায় উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের আইর মঙ্গল এলাকার আবু তালেব (৪৮), ও তার ছেলে জাকির হোসেনকে (২৫) গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের আইমঙ্গল জানুর বাপের বাড়ির বাসিন্দা আবু তালেব সম্পর্কে মামা তার স্ত্রীর অসুস্থর কথা বলে বারশত ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের স্কুল পড়ুয়া ভাগিনীকে নিয়ে যায় স্ত্রীর সেবা করার জন্য।
২৬ এপ্রিল মামাতো ভাই জাকির বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সেদিন রাতেই শারীরিক সম্পর্ক করে। মেয়েটি প্রথমে তার মামা-মামীকে এসব জানালে তারা বিয়ের আশ্বাস দিয়ে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য বলে মেয়েটিকে। সেদিনের পর থেকে মামাতো ভাই প্রতিদিন শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে ১ মে সন্ধ্যায় পালিয়ে আসে মামা বাড়ি থেকে। এসে পুরো ঘটনার বিসত্মারিত জানান তার মা ও বাবাকে। আবুল তালেব মেয়ে বাবাকে সামাজিক ভাবে বিষয়টি আপোষ-মীমাংসার প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে আপোষ-মীমাংসা ব্যর্থ হয়ে গত শনিবার রাতে আনোয়ারা থানা পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন মেয়েটির পিতা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ দুলাল মাহমুদ বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মেয়েটির বাবা থানায় একটি মামলা করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পিতা-পুত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।