সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
আগামী সপ্তাহে অলিম্পিকের ম্যারাথন ও রেস ওয়াকসের ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ হোকাইদোতে। টোকিওর তুলনায় এই প্রদেশে আবহাওয়ার অনেকটাই স্বস্তিদায়ক হওয়ায় এখানে ম্যারাথন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও এখন সেখানে হিটওয়েভের কারণে প্রচন্ড গরম অনুভূত হচ্ছে, যা আয়োজকদের চিন্তিত করে তুলেছে।
২০১৯ সালেই টোকিও থেকে এই দুটি ইভেন্ট সড়িয়ে নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অলিম্পিক আয়োজক কমিটি। তারপরেও স্বস্তি মিলছে না, সেখানকার আবহাওয়া এখন এতটাই উতপ্ত যে শুরুর সময় পরিবর্তন করেও তাতে যে খুব একটা সুবিধা হবে তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছেনা।
সাধারনত গ্রীষ্ম মৌসুমে হোকাইদোর আবহাওয়া খুব একটা অস্বস্তিকর হয়না। টোকিওর তুলনায় পাঁচ থেকে ছয় ডিগ্রী গরম সেখানে কমই থাকে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিও (আইওসি) বিষয়টি নিয়ে দু:শ্চিন্তায় পড়েছে। গত সপ্তাহে সেখানকার আবহাওয়া ৩৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস (৯৩ ডিগ্রী ফারেনহাইট) পর্যন্ত উঠেছিল। আগামী সপ্তাহ জুড়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাষে বলা হয়েছে তাপমাত্রা ৩১ থেকে ৩৪ ডিগ্রীর মধ্যে ওঠানামা করবে। এর মধ্যে রেস ওয়াকস ও ম্যারাথন আয়োজন কিছুটা হলেও কঠিন হয়ে পড়বে বলে আয়োজকরা শঙ্কা জানিয়েছেন।
এর মধ্যেই হোকাদোর একটি শহরে এ বছরে জাপানের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রী পর্যন্ত উঠেছিল। পুরুষদের ২০ কিলোমিটার রেস ওয়াক আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। এরপরপরই অনুষ্ঠিত হবে নারীদের রেস ওয়াক ও পুরষ এবং নারীদের ম্যারাথন ইভেন্ট।
টোকিওর তাপমাত্রাও পুরো অলিম্পিক জুড়েই ৩০-৩৪ ডিগ্রীর মধ্যে ওঠানামা করেছে। যে কারণে আয়োজকদের জন্য করোনা মহামারির পাশাপাশি গরমের বিষয়টিও শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। গরম থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন ধরনের বাড়তি আয়োজন করতে হয়েছে।
গেমসের স্বত্ব পেতে বিডে টোকিও দাবী জানিয়েছিলে গ্রীষ্মের এই সময়টাই একজন এ্যাথলেটের জন্য নিজের সেরাটা দেবার জন্য আদর্শ সময়। কিন্তু এরমধ্যেই টোকিওর প্রচন্ড গরমে বেশ কয়েকজন এ্যাথলেট ও স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
টেনিস ম্যাচগুলো দিনের শেষভাগে সড়িয়ে নেয়া হয়েছে। রাশিয়ান টেনিস খেলোয়াড় ডানিল মেদভেদেভতো অভিযোগ করে বলেই ফেলেছেন এভাবে চলতে থাকলে আমি নিশ্চিত মরে যাবো।
টোকিও ২০২০ গেমসের প্রধান নির্বাহী তোশিরো মুতো স্বীকার করেছেন গরমের বিষয়টি নিয়ে তাদের বাড়তি নজর দিতে হচ্ছে। এ পর্যন্ত গেমসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৩০ জন গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যে বেশীরভাগই গেমস স্টাফ ও স্বেচ্ছসেবক। যদিও তাদের মধ্যে কারোর অবস্থাই গুরুতর নয়।