নিজস্ব প্রতিনিধি, উখিয়া »
গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার দৃশ্যমান উন্নয়নের অন্যতম দপ্তর উখিয়া এলজিইডি অর্থায়নে নির্মিত প্রায় অর্ধশতাধিক আঞ্চলিক সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
টানা ৫ দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের ¯্রােতে কার্পেটিং সড়কগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।
চরম আকার ধারণ করেছে জনদুর্ভোগ। উপজেলা প্রকৌশলী বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর প্রাক্কলন তৈরি করে পুনঃসংস্কারের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
কিছু কিছু অংশের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।
সরেজমিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, খাল, পাহাড়, ছড়া ফসলী জমি জলাশয় ভরাট করে অপরিকল্পিত স্থাপনা তৈরির কারণে বৃষ্টি ও ঢলের পানি নিষ্কাশনে বাধা হওয়ায় জনপদ ভাঙচুর হচ্ছে।
এ সড়কগুলো দ্রুত মেরামত করা না হলে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার চরম অবনতি হবে এমনটি আশা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনসাধারণ।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, ভারী বর্ষণে অতিমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক গুলোর মধ্যে অন্যতম উখিয়া দারোগা বাজার হয়ে মরিচ্যা জিসি রোড ভায়া পাতাবাড়ী ১২ কিলোমিটার ভালুকিয়া পালং সড়ক হয়ে খেওয়াছড়ি মরিচ্যা ৫ কিলোমিটার। টাইপালং মাদ্রাসা থেকে কুতুপালং হাইস্কুল ভায়া হাতিমোরা পর্যন্ত ১২২০ মিটার, লম্বাঘোনা রাস্তার মাঝামাঝি স্থানে একটি কালভার্টের এপ্রোচ সরে গিয়ে জন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মরিচ্যা গুরা মিয়া গ্যারেজ হয়ে নাপিত পাড়া পর্যন্ত ৫শ মিটার সড়কের কার্পেটিং উপড়ে গিয়ে ছোটখাট যানবাহন চলাচলের অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জালিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী জানায়, জুম্মাপাড়াস্থ প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কের অস্থিত্ব বিলিন হয়ে গেছে।
ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উপকূলের পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে বয়ে যাওয়া এলজিইডি সড়কের।
তবে ওই সড়কে দায়িত্বরত ঠিকাদার ইফা এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, টানা বর্ষণে পুনঃসংস্কার কাজে ব্যাঘাত ঘটলে তা পুষিয়ে নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সড়ক সংস্কারের যাবতীয় উপকরণ ও শ্রমিক কর্মস্থলে উপস্থিত রাখা হয়েছে। যে কারণে কাজের ধীরগতি হওয়ার কোন কারণ নেই। যতদ্রুত সম্ভব এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হবে।
উপসহকারী প্রকৌশলী আমিনুল হক মজুমদার জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পিএফ পাড়া, লম্বাঘোনা, কুতুপালং উত্তর পাড়া, পশ্চিমপাড়া, থাইংখালী বৈদ্যঘোনা, ছোরা খোলা, কোর্টবাজার বটতলী, ছাগলবাজার, থাইংখালী হয়ে ধামনখালী সড়ক ও আনজুমান পাড়া সড়কসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামীণ সড়কের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
এসব সড়কে (এলসিএস) মহিলা কর্মীরা মাটি দিয়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ করতে দেখা গেছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ভাঙন কবলিত সড়কের প্রাক্কলন তৈরি করে পুনঃসংস্কারের জন্য চলমান রাখা হয়েছে। কক্সবাজার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুর রহমান বলেন, জেলাব্যাপী যেসমস্ত সড়ক উপসড়কের ক্ষতি হয়েছে, সেগুলো দ্রুত মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।