সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক »
অনুদানের টাকায় নির্মিত সিনেমা ‘দেবী’র বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগ তুলেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা। সিনেমাটিতে ধূমপানের দৃশ্য দেখানোর মাধ্যমে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) লঙ্ঘন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
আইনে বলা হয়েছে- ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩)-এর ৫(ঙ) ধারায় সিনেমা, নাটক এবং প্রামাণ্যচিত্রে ধূমপান ও অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের দৃশ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ। কোনও ব্যক্তি এই ধারার বিধান লঙ্ঘন করলে অনূর্ধ্ব তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং একই ব্যক্তি পুনরায় এই ধরনের অপরাধ সংঘটন করলে উক্ত দণ্ডের দ্বিগুণ হারে দণ্ডনীয় হবেন।’
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান- প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ব্যাপকভাবে ধূমপানের দৃশ্য ব্যবহারের কারণে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা চলচ্চিত্র ‘দেবী’ এরই মধ্যে দেশের তামাক বিরোধীদের মধ্যে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। আইন অনুযায়ী ধূমপানের দৃশ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ হলেও, রাষ্ট্রীয় অনুদানপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রে বার বার দেখানো হয়েছে এই দৃশ্য।
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সিনেমাটির ফার্স্টলুক পোস্টারে ধূমপানের দৃশ্য ব্যবহার করা হয়। তবে তামাক বিরোধী সংগঠনগুলোর প্রতিবাদের মুখে তখন সেটি পরিবর্তন করা হয়েছিল।
আইন অনুসারে, ২০১৩ সালের ২ মে পরবর্তী যে কোন সময়ে বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত সিনেমায় তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের দৃশ্য প্রদর্শন দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। অথচ গত ১৯ অক্টোবর ২০১৮ থেকে বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ‘দেবী’ সিনেমাটির প্রদর্শন শুরু হলেও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের এই সুস্পষ্ট নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, সিনেমাটির পরিবেশক জাজ মাল্টিমিডিয়ার অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি দেওয়া ট্রেলারেও আইন মানা হয়নি বলে জানিয়েছে প্রজ্ঞা।
তামাক বিরোধী সংগঠনগুলোর অভিযোগ, ‘দেবী’ সিনেমায় ধূমপানের দৃশ্য দেখানো হয়েছে ব্যাপকভাবে। এই সিনেমা দেখে কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরা ধূমপানে উদ্বুদ্ধ হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে তারা।