Blog Page 2768

মুশফিকের ব্যাটের দাম উঠলো ২২ লাখ

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
আইপিএলে ক্রিকেটারদের নিলামে এমনটা দেখেছি। পাঁচ মিনিটের মধ্যে কোটি টাকার ক্রিকেটার বিক্রি হয়েছেন পনেরো কোটিতে। দশ লাখের ক্রিকেটারকে কেউ কিনেছে পাঁচ কোটিতে। এ সব দেখার পরও প্রশ্ন উঠেছে। সত্যিই কী এই বিশাল অঙ্কের টাকা পাওয়ার যোগ্য সেই ক্রিকেটার? কিন্ত চোখের সামনের ঘটে যাওয়া বাস্তবকে কী করে উড়িয়ে দেওয়া যায়!
ডিজিটাল অনলাইন অকশনে এ সব দেখার সুযোগ নেই। এখানে একটা সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে এগোতে হয়। বেস প্রাইজের পর নিদির্ষ্ট অঙ্কের টাকা ধরে সামনে পা ফেলতে হয়।তারপর যার টাকা বেশি, বাজি তার। সহজভাবে সব কিছু হলে প্রশ্ন ওঠে না। কিন্ত সিস্টেমকে তোয়াক্কা না করে চল্লিশ মিনিটে দাম যদি ২২ লাখে পৌঁছয়, তখনই অবাক লাগে। এমন কান্ডই ঘটল ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের ব্যাটের অকশনে। খেলার দুনিয়ায় যা অনেককে অবাক করেছে। উদ্দেশ্য মহৎ। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে ডিজিটাল অকশনে টাকা সংগ্রহ করতে বিশ্বে অনেকেই নেমে পড়েছেন। ইংল্যান্ডের জোস বাটলার, বেন স্টোকসরা ২০১৯ বিশ্বকাপের জার্সি, ব্যাট নিলামে তুলেছেন। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, তাসকিন আহমেদরা নিজেদের জিনিস অকশনে দিয়েছেন। সেদিন কিছু না হলে আজ কেন এমনটা হচ্ছে? ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গল টেস্টে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে মুশফিক ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। সেই ব্যাট তোলা হল অকশনে। আর সেখানেই যত গন্ডগোল। এখনও পর্যন্ত ৫৩টি বিড জমা পড়েছে। ব্যাটের দাম উঠেছে ৪২ লাখ টাকা।
১০ মে বেলা এগারোটায় বাংলাদেশে এই ব্যাটের অকশন শুরু হয়। ঘন্টা দু’য়েকের মধ্যে তা বন্ধও করা হয়। কেন? মুশফিকের ম্যানেজার বর্ষণ কবিরের সঙ্গে বুধবার সকালে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ব্যাটের বেস প্রাইজ ছিল ৬ লাখ টাকা। বলা হয়েছিল, যারা অংশ নিতে রাজি তাদের বেস প্রাইজের উপর দশ হাজার টাকা করে এগোতে হবে। ইচ্ছে থাকলেও বড় অঙ্কে যাওয়া যাবে না। কিন্তু দেখা গেল সিস্টেমের তোয়াক্কা না করে ৪০ মিনিটে ব্যাটের দাম ২২ লাখ টাকায় উঠল। এখানেই অবাক হই। তাই অকশন বন্ধ করে বিড পরীক্ষা করা হয়। আর তখনই ব্যাপারটি ধরা পড়ে। দশ হাজার টাকায় না গিয়ে কেউ কেউ লাফিয়ে লাখ টাকার উপর দাম চড়িয়ে দিচ্ছেন। বাধ্য হয়ে বিড ঘণ্টা তিনেক বন্ধ রাখার পর আবার চালু করা হয়।
শুধু সেদিনই নয়। মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় আবার পরীক্ষা করতে অকশন বন্ধ করা হয়। ঘন্টা পাঁচেক বিড পরীক্ষার পর আবার চালু হয়। ১৪ মে রাত দশটা পর্যন্ত এই অকশন চলবে।’
খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।

‘একদিন ধোনির কাছে সবকিছুর জবাব চাইবো’

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে হতভাগ্য ক্রিকেটার যদি কাউকে বলতে হয়, তাহলে বলতে হবে মনোজ তিওয়ারির নাম। শুধুমাত্র সুযোগের অভাবে বিচ্ছুরণ হয়নি তার অবিশ্বাস্য প্রতিভার। বাংলা দল তো বটেই, জাতীয় দলের জার্সি গায়েও নিজের প্রতিভার ছাপ রেখেছেন মনোজ। তবু সুযোগ মেলেনি। সেঞ্চুরি করার পর সুযোগ মেলেনি। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হওয়ার পর সুযোগ মেলেনি। কখনও জানানোই হয়নি, কেন তিনি বাদ গেলেন। এবার এসব কিছুর জবাব চাইছেন প্রাক্তন বাংলা অধিনায়ক। জবাব চাইছেন তার অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছে।
মনোজ তিওয়ারি ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অভিষেক করেন। ভারত থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল অজি পেস-ব্যাটারির সামনে। সাফল্য পাননি। অতঃপর বাদ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করার পরের ম্যাচে বসিয়ে দেওয়া হয়। সুযোগ পাননি পরপর ১৪ ম্যাচ। ১৪ ম্যাচ পরে ফিরেই একটি ম্যাচে ২১ এবং পরের ম্যাচে ৬৫ রান করেন। তারপর আবার বসিয়ে দেওয়া হয় তাকে। এভাবেই ওঠানামাতে শেষ হয়ে গিয়েছে মনোজের কেরিয়ার। ৩৪ বছর বয়সে আর দলে ফেরার সুযোগ নেই বললেই চলে।
সেই সুযোগ না পাওয়ার বেদনা এখনও বুকে চেপে নিয়ে ঘুরছেন মনোজ। বলছেন, ‘আমার বিশ্বাস আমার আরও সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল। বহুবার একথা বলেছি আমি। কখনও ভাবিনি ১০০ করার পর, ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হওয়ার পর এভাবে বাদ পড়তে হবে। তবে আমি দল এবং অধিনায়কের সিদ্ধান্তকেও সম্মান করি। নিশ্চয় ওদের কোনও পরিকল্পনা ছিল।’ মনোজ বলছেন ধোনিকে কোনও একদিন তিনি প্রশ্ন করতে চান। আইপিএলে একসাথে খেলার সময় সুযোগ পাননি। তাই ভবিষ্যতে কোনওদিন। তিনি বলছেন, ‘আমি পুনেতে একসঙ্গে খেলার সময় ওর কাছে জানতে চাইব ভেবেছিলাম। সুযোগ হয়নি। হয়তো আইপিএলের গুরুত্ব আলাদা ছিল বলে বা অন্য কোনও কারণে। ভবিষ্যতে কোনওদিন সুযোগ পেলে অবশ্যই জিজ্ঞেস করব, কেন আমাকে সুযোগ দেওয়া হয়নি।’
খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।

‘আমার দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙার ক্ষমতা রয়েছে হার্দিকের’

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৭। স্থানটা দক্ষিণ আফ্রিকার কিংসমেড ডারবান। টি-২০ বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ট ব্রডকে এক ওভারে ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন যুবরাজ। যা আজও গেঁথে রয়েছে ক্রিকেট অনুরাগীদের হৃদয়ে। ওইদিন ব্যাট হাতে টি-২০ ক্রিকেটে আরও একটি রেকর্ড গড়েছিলেন ‘পঞ্জাব কা পুত্তর’। সেদিন ১২ বলে যুবরাজের অর্ধশতরান হাঁকানোর রেকর্ডটি অক্ষত বিগত ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে।
ভারতীয় দলে এমন কোনও ব্যাটসম্যান আছেন কী যিনি আপনার এই রেকর্ড ভাঙতে পারেন? সম্প্রতি এমন প্রশ্নের উত্তরে যুবরাজ জানালেন হার্দিক পান্ডিয়ার মধ্যে মশলা রয়েছে তার টি-২০ ক্রিকেটে দ্রুততম অর্ধশতরানের রেকর্ড ভাঙার। হার্দিকের হার্ড হিটিংয়ের ফ্যান যুবরাজ জাতীয় দলের অল-রাউন্ডার কে ‘অসাধারণ প্রতিভা’ হিসেবে ব্যক্ত করেছেন স্পোর্টসস্ক্রিনের ইউ টিউব পেজে। এপ্রসঙ্গে ২০১৯ আইপিএলে নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে হার্দিকের ৩৪ বলে ৯১ রানের ঝোড়ো ইনিংসেরও অবতারণা করেছেন প্রাক্তন তারকা ব্যাটসম্যান। হার্দিকের ওই ইনিংসকে আইপিএলে দেখা তার সেরা ইনিংস হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি।
যুবির কথায়, ‘আমার মনে হয় টি-২০’তে আমার দ্রুততম অর্ধশতরানের রেকর্ড ভাঙার যাবতীয় রসদ হার্দিকের রয়েছে। হার্দিক একজন অসামান্য প্রতিভার অধিকারী। কিন্তু ওর মাথা ঠান্ডা করার জন্য একজনকে প্রয়োজন। হার্দিক কঠোর পরিশ্রমী, খুব ভালো ছেলে।’ একইসঙ্গে ২০২৩ বিশ্বকাপে ও দলের সম্পদ হয়ে উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন ছয় ছক্কার নায়ক। যুবির কথায় পিচের যে কোনওদিকে ফ্রি স্ট্রোক নিতে পারে হার্দিক।
হার্দিক ছাড়াও আরও একজনকে এই তালিকায় রেখেছেন যুবরাজ। তিনি আর কেউ নন, হার্দিকেরই জাতীয় দলের সতীর্থ এবং তার বিতর্কিত চ্যাট শো’য়ের সঙ্গী কেএল রাহুল।
উল্লেখ্য, ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ ই’র গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনি নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। দক্ষিণ আফ্রিকার কিংসমেড ডারবানে হওয়া সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৮ রানের বিশাল স্কোর খাড়া করেছিল টিম ইন্ডিয়া। পরে ১৮ রানে সেই ম্যাচ জিতেছিলে ভারত। ১৬ বলে ৫৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস এসেছিল যুবরাজের ব্যাট থেকে। মাত্র ১২ বলে অর্ধশতরান করেছিলেন যুবি। যা আজও অক্ষত।
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।

ক্রিকেট ফিরছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বিধ্বস্ত জনজীবন। থেমে গেছে সকল কার্যক্রম, থেমে আছে ক্রীড়াঙ্গনও। প্রায় দুই মাস হতে চলল মাঠের দরজা বন্ধ হয়ে আছে। তবে স্বস্তির খবর, ক্রিকেট শুরু হতে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। আগামী ২২ মে থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ভিন্সি প্রিমিয়ার লিগ (ভিপিএল) টি-টেন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনসে।
মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের ঘোষণায় বন্ধ হয়ে যায় ওই অঞ্চলের ক্রিকেট। এবার তাদের দিয়েই আইসিসির পূর্ণ সদস্যের কোনো দেশে ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের নিয়ে হতে যাচ্ছে ক্রিকেট ম্যাচ। ছয় দলের মোট ৭২ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে এই টি-টেন টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে ২২ মে আর পর্দা নামবে ৩১ মে।
এই দুই দ্বীপে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, দর্শকও যাবে খেলা দেখতে। সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কিশোর শ্যালো জানান, এই দ্বীপপুঞ্জে করোনা আক্রান্ত ১৮ জনের ১০ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে ক্রিকেটার ও দর্শকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিদিন অনুষ্ঠিত হবে ৩টি করে ম্যাচ। টুর্নামেন্টে মোট ম্যাচ রয়েছে ৩০টি। তবে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে, বলে যেন থুথু, ঘাম বা লালা যেন না লাগানো হয়।
খবর : আরটিভিঅনলাইন’র।

সারাদেশে ৩০ মে পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ

সুপ্রভাত ডেস্ক :

করোনা ভাইরাসজনিত রোগের (কোভিড-১৯) বিস্তার রোধ আগামী ৩০ মে পর্যন্ত সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. আবু নাছের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বৃহষ্পতিবার এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতির উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার সাধারণ ছুটি আগামী ৩০মে পর্যন্ত বর্ধিত করায় দেশব্যাপী চলমান গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত আগামী ৩০মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।

তবে জরুরি পরিসেবা যেমন-বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের কার্যক্রম (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর), পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাকসেবা ও সংশ্লিষ্ট কাজ, খাদ্যদ্রব্য, কাঁচাবাজার, সড়ক ও নৌপথে সকলপ্রকার পণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, ঔষধ, ঔষধশিল্প, চিকিৎসা সেবা ও চিকিৎসা বিষয়ক সামগ্রী পরিবহন, শিশুখাদ্য, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া, ত্রাণ, কৃষিপণ্য, শিল্পপণ্য, সার, বীজ, কীটনাশক, পশুখাদ্য, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ খাতের উৎপাদিত পণ্য, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য এবং জীবনধারণের মৌলিক পণ্য

উৎপাদন ও পরিবহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
পণ্যবাহি যানবাহনে যাত্রী পরিবহণ করা যাবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষায় সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিয়ে এগুচ্ছে সরকার : তথ্যমন্ত্রী

বাসস :

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খেটে খাওয়া মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় সুচিন্তিত ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এগুচ্ছে সরকার। তিনি আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন।

‘বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুহার ইউরোপ, আমেরিকার চেয়ে কম তো বটেই, প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তানের চেয়েও কম এবং পরম সৃষ্টিকর্তার দয়া ও বিশ্বে করোনার প্রাদুর্ভাবের পরই এমনকি করোনাভাইরাস বাংলাদেশে আসার আগেই প্রধানমন্ত্রীর নানা দূরদর্শী পদক্ষেপই এর কারণ’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, কোনো মানুষই যাতে মারা না যায় এবং আক্রান্ত না হয়, সেই লক্ষ্য নিয়েই আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
‘লকডাউন খুলে দিয়ে সরকার ভুল করেছে’- বিএনপি’র এ মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভী এবং আরো কোনো কোনো নেতার বক্তব্যে মনে হয়, তাদের পরামর্শ যদি ইউরোপ-আমেরিকা শুনতো, তাহলে তারাও এই বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতো। তাদের কথায় মনে হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চেয়েও বিএনপি নেতারা স্বাস্থ্য বিষয়ে বেশি জ্ঞান রাখেন। তারা এ ধরনের হাস্যকর কথা বলেছেন।’

ড. হাছান বলেন, যেখানে স্পেন-ইতালিতে এখনো প্রতিদিন প্রায় ২ শ’র মতো মানুষ মারা যাচ্ছে, সেখানে তারা লকডাউন শিথিল করেছে। ভারতে প্রতিদিন একশ’র বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে, সেখানেও অনেক জায়গায় লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। এ সবই করা হচ্ছে মানুষের জীবিকা রক্ষার জন্য। বাংলাদেশেও মানুষের জীবনের পাশাপাশি জীবিকা রক্ষার জন্যই নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী আওয়ামী লীগের ‘আমরা করোনার থেকেও শক্তিশালী’- এ মন্তব্যকে কটাক্ষ করার জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের সাধারণ সম্পাদক এ কথাটি প্রতীকী অর্থে বলেছিলেন। অর্থাৎ সম্মিলিতভাবে যাতে আমরা সবাই জাতি-ধর্ম-বর্ণ-দল-মত নির্বিশেষে এই করোনা মোকাবেলা করি সেই অর্থেই কথাটি বলেছিলেন। সেই কথার অর্থ না বোঝা তাদের ভাষাজ্ঞানের অভাব। আমি আশা করবো, বিএনপি নেতারা এ কথার সঠিক অর্থ বুঝবেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন ‘বিএনপি নেতারা শুধু সমালোচনা করছেন, কিন্তু পৃথিবীর দিকে তাকাচ্ছেন না, কারণ তাদের এই সমালোচনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারের কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।’

তিনি বলেন, আজকের এই পরিণতিতে পৃথিবীর প্রায় সব দেশে সমস্ত দল একযোগে সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে জনগণকে রক্ষার জন্য। এমনকি ভারতেও প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ তাদের নেতৃতাধীন জোট সরকারের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সেই কাজটি বিএনপি করেনি, করতে পারেনি, কারণ তারা সেই সংস্কৃতিটি লালন করেনা বরং তারা ‘পলিটিক্স অব ডিনায়াল’ আর ‘পলিটিক্স অব কনফ্রনটেশন’-এ বিশ্বাস করে। হাছান মাহমুদ আক্ষেপ করে বলেন, আমরা আশা করেছিলাম মানুষের এই দুর্যোগের সময় তারা তাদের চিরাচরিত ‘না বলার রাজনীতি আর সাংঘর্ষিক রাজনীতি’ থেকে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু‘ দুঃখজনক হলেও সত্য তারা বেরিয়ে আসতে পারেনি।
করোনা মোকাবেবলায় মানুষের জন্য সরকারের বিভিন্ন সহায়তা কর্মসূচির বিবরণ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষকে সরকারি সহায়তার আওতায় আনা হয়েছে। আজকে প্রধানমন্ত্রী আরো ৫০ লাখ পরিবারকে এককালীন ২ হাজার ৫শ’ টাকা করে সরাসরি পৌঁছে দেয়ার কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন। এগুলো যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

করাচির মন্দিরে আফ্রিদির ত্রাণ বিতরণ

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
পাকিস্তানের একটি হিন্দু মন্দিরে গিয়ে দুঃস্থদের খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করলেন প্রাক্তন পাক অলরাউন্ডার শাহিদ আফ্রিদি। যার জন্য প্রাক্তন ক্রিকেটারকে কুর্নিশ জানাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের জেরে সমস্যায় পড়েছেন দুঃস্থ মানুষেরা। দু’বেলা-দু’মুঠো অন্নের জোগান করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে দুঃস্থ-গরিব পরিবারগুলি। এমন দুর্দিনে তারা যাতে অভুক্ত না থাকেন, তার জন্য অনেকদিন আগে থেকেই উদ্যোগ নিয়েছেন আফ্রিদি ও তার সংগঠন। পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে তার ফাউন্ডেশন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাচ্ছে আফ্রিদিকে।
সম্প্রতি একটি হিন্দু মন্দিরে যান তিনি। সেখানেও খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করেন। যার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে আফ্রিদি লেখেন, ‘আমরা একসঙ্গে সঙ্কটে পড়েছি। তাই ঐক্যবদ্ধভাবেই লড়তে হবে। একতাই আমাদের শক্তি। খাবার দিতে শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে গিয়েছিলাম।’ পাক স্কোয়াশ তারকা জাহাঙ্গির খানকেও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন আফ্রিদি।
এই মহৎ কাজে যে সমস্ত খাবারের ব্র্যান্ড তার পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন আফ্রিদি। এখনও পর্যন্ত ২২ হাজার পরিবারের কাছে রেশন পৌঁছে দিতে পেরে খুশি তিনি।
খবর : ঢাকাটাইমস’র।

থ্যালাসেমিয়া ও রক্তের অসুখে করোনা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?

সুপ্রভাত ডেস্ক :
কোভিড-১৯-এর ভয়ানক দাপটে অন্যান্য অসুখের কথা আমরা প্রায় ভুলতে বসেছি। আর তারই মারাত্মক ফল পেতে হচ্ছে হাতেনাতে। অন্যান্য ক্রনিক অসুখে আক্রান্তরা করোনা সংক্রমণের ভয়ে নিজেদের চিকিৎসার জন্যে চিকিৎসকের কাছে যেতে ভয় পাচ্ছেন। এর ফলে তাদের অসুখ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়া-সহ নানা ক্রনিক রক্তের অসুখের রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক ভাবে কিছুটা কম হওয়ায় এদের কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের প্রবণতা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি।
থ্যালাসেমিয়া অসুখটা ঠিক কী?
থ্যালাসেমিয়া মূলত একটি বংশগত অসুখ। এই রোগে রক্তের হিমগ্লোবিন তৈরি করে এমন দুটি জিন অস্বাভাবিক থাকে। এই অস্বাভাবিকতার রকম ফেরে আলফা থ্যালাসেমিয়া মেজর, বিটা থ্যালাসেমিয়া মেজর, থ্যালাসেমিয়া মাইনর ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের থ্যালাসেমিয়া দেখা যায়। আমাদের রাজ্য তথা দেশে থ্যালাসেমিয়া বলতে বিটা থ্যালাসেমিয়া মেজরই বোঝায়। এদেশে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, মহারাষ্ট্রে এই সমস্যার প্রকোপ বেশি। ভারতে প্রতি ঘণ্টায় এক জন করে থ্যালাসেমিয়া-যুক্ত শিশু জন্ম নিচ্ছে। থ্যালাসেমিয়া ট্রেটরা আসলে এই রোগের বাহক বা ক্যারিয়ার। দু’টি জিনের একটি খারাপ থাকায় এদের শরীরে কোন রোগলক্ষণ থাকে না কিন্তু পরবর্তী প্রজন্মে এরা রোগটিকে বয়ে নিয়ে যায়। থ্যালাসেমিয়া-সহ রক্তের অসুখের রোগীদের কাছে করোনা অত্যন্ত বিপজ্জনক।
থ্যালাসেমিয়া মাইনর বা থ্যালাসেমিয়া ইন্টারমিডিয়া রোগীদের আসলে খুবই মৃদু ধরনের থ্যালাসেমিয়া থাকে। সে জন্য যেখানে থ্যালাসেমিয়া মেজর রোগীদের মাসে এক থেকে তিন বার রক্ত নিতে হয় সেখানে থ্যালাসেমিয়া মাইনরে প্রতি এক বছর বা দুই বছর অন্তর রক্ত নিতে হয় বা অনেক সময় রক্ত না নিলেও চলে। যে কোনও থ্যালাসেমিয়াতেই অ্যানিমিয়া থাকে। এছাড়া লিভার, কিডনি বা হার্টে আয়রন জমে বলে চিকিৎসকদের সঙ্গে এদের নিয়মিত যোগাযোগ রাখাও প্রয়োজন হয়।
হার্টের অসুখ, ডায়াবিটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতোই থ্যালাসেমিয়া-সহ রক্তের অসুখের রোগীদের কাছে করোনা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এদের সংক্রমনের ঝুঁকি বেশি। তাই এই বিশ্ব মহামারির সময় নিয়ম মেনে বাড়িতে থাকতে হবে। বাজার-দোকানে যাওয়া একেবারে মানা। সাবান দিয়ে হাত ধোয়া বা মাস্ক পরার মতো সাধারন নিয়ম মানতেই হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলে চরম বিপদের ঝুঁকি থাকে।
রক্তের রোগীদের কোভিড-১৯ এর উপসর্গ
থ্যালাসেমিয়া-সহ ক্রনিক রক্তের অসুখে অনেক সময় করোনার প্রচলিত উপসর্গ নাও থাকতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আর পাঁচ জনের মতোই জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট দিয়ে রোগের লক্ষণ শুরু হয়। কিন্তু রক্তের অসুখে সামান্য দুর্বলতা, গা ম্যাজম্যাজ আর তার পরেই শুরু হয় প্রবল শ্বাসকষ্ট। তাই কোনও রকম শারীরিক অসুস্থতা বোধ করলেই দ্রুত সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করতে হবে। এখন বেশির ভাগ গ্রামের হেলথ সেন্টারে থ্যালাসেমিয়া ও অন্যান্য রক্তের অসুখের কাউন্সিলর আছে।
রক্ত নেওয়ার দরকারে দেরি নয়
থ্যালাসেমিয়া ও হিমোফিলিয়া-সহ ক্রনিক রক্তের অসুখ থাকলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর রক্ত নেওয়ার দরকার হয়। ব্লাড ট্রান্সফিউশনের নির্ধারিত সময় পনেরো-কুড়ি দিন পর্যন্ত পেছিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে জরুরি ভিত্তিতে রক্তের দরকার হলে নিকটবর্তী হাসপাতালে যেতে হবে। যে কোনও শারীরিক অসুবিধের সম্মুখীন হলে তা গোপন না করে বাড়িতে জানিয়ে অবশ্যই হেমাটোলজিস্টের পরামর্শে সঠিক চিকিৎসার সাহায্য নিলেই অসুখ অনেকটা সামাল দেওয়া যাবে।
খবর : আনন্দবাজার’র।

জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান আর নেই

বিবিসি বাংলা »

বাংলাদেশের খ্যাতিমান শিক্ষক, লেখক জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ঢাকার সম্মিলিতি সামরিক হাসপাতালে মারা গেছেন তিনি বেশ কিছুদিন ধরে হার্ট কিডনির জটিলতা কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন

অধ্যাপক আনিসুজ্জামান শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন কিন্তু সাহিত্যগবেষণা, লেখালেখি সাংগঠনিক কার্যক্রমের জন্য তাঁর ভূমিকা ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে উল্লেখ করা হয়েছে

আনিসুজ্জামানের রচিত সম্পাদিত বহু বাংলা ইংরেজি বই, শিল্পসংস্কৃতি ইতিহাসের বিবেচনায় খুবই গুরুত্ব বহন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলছিলেন সমাজ, সংস্কৃতি রাজনীতি ভাবনার ক্ষেত্রে চেতনার বাতিঘরের ভূমিকা পালন করেছেন তিনি

একজন শিক্ষক,একজন সমাজমনস্ক মানুষ, প্রগতিশীল চিন্তার অধিকারী একজন অনন্য সাধারণ মানুষ হিসেবে তাকে আমরা সব সময় বিবেচনা করি,” বলছিলেন মি.হোসেন

১৯৬১ সালের রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠানে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯৬৭ সালে একটি খবর ছাপা হয়রবীন্দ্রনাথের গান পাকিস্তানের জাতীয় ভাবাদর্শের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে বেতার টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রচার হ্রাস করতে বলা হয়। এর প্রতিবাদে বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বিবৃতিতে আনিসুজ্জামান স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন এবং সেটা বিভিন্ন কাগজে ছাপতে দেন

লেখক গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলছিলেন সেই সময় থেকেই আনিসুজ্জামান তাঁর ভূমিকার জন্য মধ্যবিত্ত বাঙালির সংস্কৃতির আন্দোলনের অগ্রগণ্য পথিকৃৎ হয়ে দাঁড়ান

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলছিলেনদেশের প্রতিটি সংকটকালে তাঁর বক্তব্য, মন্তব্য এবং ভূমিকা দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করেছে

আনিসুজ্জামান ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই ফেব্রুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ৪৭এর দেশভাগের পর তাঁর পরিবার প্রথমে বাংলাদেশের খুলনাতে আসেন। পরে ঢাকায় স্থায়ী হন। ১৯৫৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা সাহিত্যে অনার্স ১৯৫৭ সালে এম.. পাস করেনএরপর মাত্র ২২ বছর বয়সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন

আনিসুজ্জামান ছিলেন সমাজের চেতনার বাতিঘর

১৯৬৯ সালের জুন মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের রিডার হিসেবে যোগ দেন। অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলছিলেন বাংলা একাডেমির বাংলা বানান রীতির অভিধানসহ যেকোন প্রকল্পে তাঁর অবদান ছিল সীমাহীন

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনসংগ্রামে অবদান রেখেছেন . আনিসুজ্জামান। ১৯৭১ সালে মুজিব নগর সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ছিলেন তিনি

১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান বাংলা ভাষায় অনুবাদের যে কমিটি ছিল সেটার নেতৃত্বে ছিলেন তিনি

এছাড়া ১৯৯১ সালে গঠিত গণ আদালতের একজন অভিযোগকারী ছিলেন তিনি। মহিউদ্দিন আহমেদ বলছিলেন তখনকার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া মোটেই সহজ কাজ ছিলো না

তিনি বলছিলেনবাংলা ভাষার উপর দখল থাকার ব্যাপার না, পুরো বাংলাদেশের স্পিরিটটা, মানুষের আশাআকাঙ্ক্ষা, সংবিধানে ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দের তাৎপর্য, উৎপত্তি বোঝার মত যে ক্ষমতা থাকা দরকার সেটার অভাব মেটাতে পেরেছিলেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান

শিক্ষা, শিল্পসাহিত্য, সাংগঠনিক ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ,একুশে পদক সহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন

তিনি শিল্পকলা বিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকাযামিনীএবং বাংলা মাসিকপত্রকালি কলম‘-এর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন

 

১৪ দিন ছুটি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন

সুপ্রভাত ডেস্ক :

চলমান সাধারণ ছুটি আরো ১৪ দিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন নির্দেশনা মানা সাপেক্ষে সপ্তম দফায় আগামী ১৭ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে সাপ্তাহিক, শবে কদর ও ঈদের ছুটি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সপ্তম দফায় ছুটি বাড়িয়ে আদেশটি জারি করা হয়। আদেশে বলা হয়, কারোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সরকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১৬ মে’র পর শর্তসাপেক্ষে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ১৭ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি থাকবে। সাধারণ ছুটির সঙ্গে ২১ মে’র শবে কদরের ছুটি, ২২, ২৩, ২৯ ও ৩০ মে’র সাপ্তাহিক ছুটি এবং ২৪, ২৫ ও ২৬ মে’র ঈদের ছুটি যুক্ত হবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, ছুটিতে ঈদের আগের চারদিন ও পরের দুদিন অর্থাৎ সাতদিন সাধারণ পরিবহন চলাচলে খুব কঠোরতা থাকবে। লরি, কাভার্ড ভ্যানের মতো অতি জরুরি পরিবহন ছাড়া অন্য সব যানবাহন চলাচলে কঠোরতা থাকবে। আর যে যেখানে আছেন, সবাই সেখানেই ঈদ করবেন।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর তা বাড়িয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। তৃতীয় দফায় ছুটি বাড়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত, চতুর্থ দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর ৫ মে ও সর্বশেষ ছুটি ১৬ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।

এর আগে গেল ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। পরে দফায় দফায় ছুটি বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়।

এ মুহূর্তের সংবাদ

সমাজ সমকালের কবি ইকবাল

গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষকে মুজিববাদ থেকে মুক্ত করব : নাহিদ ইসলাম

কার্ফিউয়ের সময় বাড়লো গোপালগঞ্জে

গোপালগঞ্জে সহিংসতায় ৪ জন নিহত, অর্ধশতাধিক আহত: পুলিশ প্রতিবেদন

আনোয়ারায় পুকুর ঘাটের নিচে মিলল অস্ত্র ও টাকা, আটক ১

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের দুঃসাহস মোকাবেলা করতে হবে: গোলাম পরওয়ার

সর্বশেষ

‘আমাকে বাঁচাতে কেউ আসছে না’

‘এই জয় তরুণ প্রজন্মকে উজ্জীবিত করবে’

সমাজ সমকালের কবি ইকবাল

কবিতা

যাযাবর

গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষকে মুজিববাদ থেকে মুক্ত করব : নাহিদ ইসলাম

বিনোদন

‘আমাকে বাঁচাতে কেউ আসছে না’

খেলা

‘এই জয় তরুণ প্রজন্মকে উজ্জীবিত করবে’

এ মুহূর্তের সংবাদ

সমাজ সমকালের কবি ইকবাল