Blog Page 2769

৫০০ পার হলো আক্রান্তের সংখ্যা

একদিনে রেকর্ড ৯৫ জন পজিটিভ, সদরঘাট থানার ওসিসহ ১৩ জন পুলিশ শনাক্ত, করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া সেই আওয়ামী লীগ নেতার করোনা পজিটিভ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
পরীক্ষা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েই চলেছে করোনা রোগীর সংখ্যা। গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামে ৮৫ জন শনাক্তের পর বুধবার ৯৫ জন শনাক্ত হলো। আর নতুন করে এই শনাক্তে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৫১৪ জনে গিয়ে ঠেকলো। নতুন আক্রান্ত ৯৫ জনের মধ্যে নগরীতে ৭৯ জন ও নগরীর বাইরের উপজেলাগুলোতে রয়েছে ১৬ জন। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় চট্টগ্রামের এসব রোগী করোনা পজিটিভ হয়েছেন।
চট্টগ্রামে মোট করোনা আক্রান্তদের মধ্যে এপর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৮৮ জন এবং মারা গেছেন ২৬ জন।
এদিকে বুধবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৩১টি নমুনার মধ্যে ৪৯টি পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ৪৯টি পজিটিভের মধ্যে চট্টগ্রামের ৩৮টি ও অন্যজেলার ১১টি। ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১২ মে মঙ্গলবারের ৪৬টি নমুনার মধ্যে ২০টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ২০টির মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালীর ১২ জন, রাঙামাটির ৫ জন, খাগড়াছড়ির ৩ জন রয়েছে। অপরদিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ৯০টি নমুনার মধ্যে ৪৫ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ৪৫ জনের মধ্যে নগরীর ৪১ জন ও উপজেলার চারজন রয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে চট্টগ্রামের ২টি নমুনা গিয়েছিল সেগুলো নেগেটিভ এসেছে বলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী নিশ্চিত করেন।
এদিকে বিআইটিআইডিতে চট্টগ্রামের ৩৮ জনের মধ্যে মহানগরীর ৩৩ জন হলেন- পাহাড়তলীর ৩৭ বছরের যুবক, ইপিজেডের ৩৫ বছর বয়সী যুবক, চকবাজারের ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ, দামপাড়া পুলিশ লাইনের ২৩, ২৪ ও ২৩ বছর বয়সী তিন পুলিশ সদস্য, ফয়’স লেক এলাকার ৪৬ বছর বয়সী পুরুষ, বিআইটিআইডির ৩০ ও ৫০ বছর বয়সী দুই পুরুষ, সিটি গেইট এলাকার ৪১ বছর বয়সী পুরুষ, হালিশহর নয়াবাজারের ৪৮ বছর বয়সী পুরুষ, উত্তর কাট্টলীর ২৬ বছর বয়সী নারী, পাহাড়তলীর ৪০ বছর বয়সী একজন ডাক্তার, নিউ মনসুরাবাদের ১৯ বছর বয়সী যুবক, হালিশহরের ২৪ বছর বয়সী যুবক, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৪১ বছর বয়সী এক নারী ডাক্তার, সদরঘাট এলাকার ২৯ বছর বয়সী এক যুবক, চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪৬ বছরের এক পুরুষ, দামপাড়া পুলিশ লাইনের ৪৫ বছর ও ৩২ বছর বয়সী দুই পুলিশ সদস্য, সদরঘাট এলাকার ৪২ বছর বয়সী পুরুষ, সদরঘাট থানার ওসি ফজলুর রহমান (৪০), সদরঘাটের ৪৩ বছর বয়সী আরেক পুরুষ, একই এলাকার ৪০, ৩০, ৩০, ৪০ বছর বয়সী আরো চার পুরুষ, হালিশহর মুন্সীপাড়ার কাউন্সিলর প্রার্থী হোসেইন মুরাদ (৫৫)- যিনি বুধবার সকালে মারা গেছেন। একই এলাকার ৩৮ বছর বয়সী আরো এক যুবক, কৈবল্যধাম ফিরোজশাহ কলোনির ৭২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ ও চকবাজারের ৫০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ রয়েছেন। অপরদিকে উপজেলার মধ্যে রাউজানের ৩৫ বছরের যুবক, সাতকানিয়ার ২৬ বছরের যুবক, চন্দনাইশের ২৫ বছরের যুবক, পটিয়ার ৩৫ বছরের যুবক, সাতকানিয়ার ৪২ বছর বয়সী পুরুষ, সীতাকু-ের ফৌজদারহাটের ৪৭ বছর বয়সী এক পুরুষ।
এদিকে আজ নতুন করে ৯৫ জন করোনায় শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৫১৪ জন। এর আগে ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন (কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিল্লা ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল। এরমধ্যে সাতকানিয়ার এক বৃদ্ধ একজন মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, পটিয়ায় ৬ বছরের এক শিশু মারা গেছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দেড় ঘন্টার মধ্যে, সরাইপাড়া লোহারপুল এলাকার এক নারী মারা যাওয়ার পর করোনায় শনাক্ত হয়েছেন, নিমতলা এলাকার এক নারী মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, সরাইপাড়া লোহারপুল এলাকায় এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, সাগরিকার এক নাইটগার্ড মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, মোহরার এক নারী মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন এবং সর্বশেষ এনায়েত বাজারের লোকটি মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হলো। এছাড়া ৬ মে পাহাড়তলী লাকী হোটেল মোড় এলাকার বাসিন্দা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এছাড়া গত ৬ মে মারা যাওয়ার পর নমুনা রিপোর্টে করোনা শনাক্ত হয়েছেন তিনজন, ৭মে বৃহস্পতিবার সাগরিকা এলাকার এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন। ৮মে রাতে বিআইটিআইডিতে আইসোলেসনে থাকা অবস্থায় মারা গেল ৫৫ বছর বয়সী এক পুরুষ। এছাড়া গত ১২ মে মঙ্গলবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেল হাটহাজারির এক নারী। করোনা শনাক্ত নিয়ে ৩৭ নম্বর হালিশহর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর গতকাল ১৩ মে সকালে মারা যাওয়ার পর রিপোর্টে করোনা পজিটিভ এসেছে। এছাড়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে আরো একজন। এনিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৬ জনে দাঁড়ালো। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৮৮ জন।

সদরঘাট থানার ওসিসহ ১৩ পুলিশের করোনা শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সদরঘাট থানার ওসি ফজলুর রহমান ফারুকী, দুজন এসআই, এএসআই, ৭জন কনসটেবলসহ নগর পুলিশের ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আজ বুধবার রাতে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) আবু বকর সিদ্দিক রাত পৌনে ১২টার দিকে জানিয়েছেন, বুধবার সদরঘাট ওসি, এস আই, এএস আই ও কনস্টেবল সিএমপির ১৩ জন পুলিশ সদস্যের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
তবে সদরঘাট থানা লকডাউন করা হবে কিনা তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।

শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিলও ভাবনায়

 সুপ্রভাত ডেস্ক :

করোনাভাইরাস সঙ্কটে টানা দুই মাস বন্ধের কারণে যে কাজগুলো জমছে, তা দ্রুত শেষ করতে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিলের বিষয়টি আছে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ভাবনায়।

তবে এখনও সেই পরিস্থিতি হয়নি উল্লেখ করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলছেন, প্রয়োজন হলে তা করা যাবে।

গত ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া সাধারণ ছুটি কয়েক দফায় বেড়ে ৩০ মে পর্যন্ত গেছে। পরিস্থিতির উন্নতি দেখলে এরপর অফিস-আদালত খুলতে পারে।

লকডাউনের মধ্যে জরুরি সেবার অফিসগুলো খোলা থাকলেও অন্যান্য সরকারি অফিস থেকে যাদের নিয়মিতভাবে বিভিন্ন সেবা নিয়ে কাজ করতে হয় তারা বিপাকে পড়েছেন। বেশিরভাগ সরকারি অফিসগুলোতে অনেক কাজ ঝুলে গেছে। আদালতে বাড়ছে মামলাজট।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সেজন্যই মাথায় এসেছে সাপ্তাহিক ছুটি এক দিনে নামিয়ে আনার বিষয়টিতে।

এই ভাবনায় সমর্থন দিচ্ছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি আমি পজিটিভলি দেখছি। অফিস-আদালতে ছুটি কমানো প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।”

সাপ্তাহিক ছুটি তুলে দিলে তাতে সুবিধা পাওয়া যাবে কি না- সেই জিজ্ঞাসায় তিনি বলেন, “ছুটি কমালে অবশ্যই সুবিধা পাওয়া যাবে। কাজের সময় বাড়লে কাজ বেশি হবে।”

সাবেক আরেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়া মনে করেন, এক্ষেত্রে সার্বিক দিক বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরকার সবকিছু বিবেচনা করেই (শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি নিয়ে) সিদ্ধান্ত নেবে, এটা একটা অপশন হতে পারে।”

লকডাউনের কারণে কোন অফিসে বা কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে কী পরিমাণ কাজ জমেছে, তা হিসাব করার উপর জোর দেন মোশাররাফ হোসাইন।

“আরেকটি বিবেচ্য বিষয় হবে… ইকোনমিকে আবার অ্যাক্টিভেট করার জন্য যেসব পদক্ষেপ নিতে হবে, তখন সব মিনিস্ট্রি বা সব ডিপার্টমেন্টের কাজ সমান হবে না। কোনো কোনো মন্ত্রণালয় বা কোনো কোনো বিভাগের কাজ বেশি হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি যারা বাস্তবায়ন করে তাদের কাজ একটু বেশি হবে।

“বেসরকারি সেক্টরে যাদের প্রোডাকশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের তা পুষিয়ে নিতে হবে। তাদের তো বেশি কাজ করতেই হবে। সেটা মেজারমেন্ট করে কাপল অব মেজার্স নিতে হবে। এটা (শনিবারের ছুটি বাতিল) একটা বিকল্প হিসেবে হয়ত তখন সরকার বিবেচনা করতে পারে। তবে পেন্ডিং ওয়ার্ক এবং রিকস্ট্রাকশন করতে কী পরিমাণ কাজ করতে হবে তার উপর নির্ভর করবে। আই হোপ গভর্নমেন্ট সব কিছু বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে।”

স্বাধীনতার পর দেশে সাপ্তাহিক ছুটি ছিল শুধু রোববার। এরশাদ আমলে সাপ্তাহিক ছুটি রোববারের পরিবর্তে প্রথমে শুক্র ও শনিবার করা হয়। পরে তা শুধু শুক্রবার করা হয়। ১৯৯৬ সাল ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার সাপ্তাহিক ছুটি পুনরায় দুদিন করে।

সাপ্তাহিক ছুটি কমানো বা বাড়ানোর বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে হয়। তাতে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে নির্বাহী আদেশে সরকার তা কার্যকর করে।

২০১৩ সালে বিরোধী জোট বিএনপির লাগাতার হরতালের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠালেও তাতে সায় মেলেনি।

লকডাউন শেষে যখন অফিস-আদালত খুলবে তখন শনিবারের ছুটি বাতিল করা নিয়ে সরকারের কোনো চিন্তাভাবনা আছে কি না- জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাপ্তাহিক ছুটি কমানোর প্রয়োজন এখনও তারা না দেখলেও প্রয়োজনে তা হতেও পারে।

তিনি বলেন, “এখনও বিষয়টি মাথায় নেই। কারণ জরুরি প্রয়োজনের অফিসগুলো ২৪ ঘণ্টাই চলছে। শুক্র-শনিবারেও আমরা কাজ করছি, কোনো কিছু ডিউ রাখছি না। বাসায় বসেও কাজ হচ্ছে, যে কোনো সময়ই আমরা ফাইল সই করতে পারি।

“সরকারের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দিনরাত বলে এখন কিছু নেই, তাদের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন, ফ্রন্ট লাইনে কাজ করতে গেলে এটা হবেই।”

লকডাউনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোর কাজ ‘খুব বেশি পেন্ডিং নেই’ জানিয়ে ফরহাদ বলেন, সাপ্তাহিক ছুটি কমানোর মতো পরিস্থিতিতে আমরা এখনও পড়িনি।

“চিন্তাভাবনাটা (শনিবারের ছুটি বাতিল) নতুন, পরিস্থিতি হলে অবশ্যই এ রকম হতে পারে। যেহেতু মাঠ পর্যায়ে প্রচুর কাজ হচ্ছে, আমাদের ওই প্রেসারটা এখনও নেই যে সাপ্তাহিক ছুটি কমাতে হবে। তবে প্রয়োজন হলে এ রকম কিছু অবশ্যই হবে, যেহেতু এগুলোর প্র্যাকটিস আছে। তবে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে সে সিদ্ধান্ত হতে হবে।”

১৭ আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি

মোহাম্মদ রফিক :
দেড়মাস বন্ধ থাকার পর ১৭টি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল (বেবিচক) কর্তৃপক্ষ। ফ্লাইট চালু হলেও কঠোর বিধিবিধান মানতে হবে যাত্রী, বিমান সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে। তবে ঠিক কত তারিখ থেকে ফ্লাইট চালু করা হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। বুধবার বেসামরিক বিমান চলাচল (বেবিচক) এর ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বেবিচক সূত্র জানিয়েছে, ফ্লাইটে ওঠার আগে যাত্রীর গায়ের তাপমাত্রা ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা এর বেশি থাকলে তার যাত্রা বাতিল হবে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারের নির্দেশে আগামী শনিবার পর্যন্ত প্রায় দেড়মাস বাংলাদেশের সঙ্গে ১৭টি আন্তর্জাতিক রুটসহ অভ্যন্তরীণ সব ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে ।
বুধবার বেবিচক কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান,করোনাকে প্রতিরোধ করে ফ্লাইট চালুর সব ধরনের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। ফ্লাইট চালু হলেও কঠোর বিধিবিধান মানতে হবে যাত্রী, বিমান সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে। তবে ফ্লাইটে ওঠার আগে কোনো যাত্রীর গায়ের তাপমাত্রা ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা এর বেশি হলে বাতিল হবে তার যাত্রা।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল (বেবিচক) এর ওয়েবসাইটে এক সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ সার্কুলারে ভবিষ্যতে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করে নিরাপদে বিমান চলাচল করতে যাত্রী, বিমানবন্দর, বিমান সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের ৩৫টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালু হলে বিমানবন্দরের টার্মিনালে একাধিক ফ্লাইটের যাত্রীরা একসঙ্গে থাকতে পারবেন না। প্রতিটি ফ্লাইটে ওঠার আগে যাত্রীদের বোর্ডিং পাস নেওয়ার পর নির্ধারিত এলাকার মধ্যে থাকতে হবে। সবাইকে মাস্ক ও গ্লাভস পরতে হবে। বিমানবন্দরে আসার আগে এগুলো পরে আসতে হবে। টার্মিনালে ঢোকার পর যাত্রীরা যে বিমানে করে যাবেন, তারাই নতুন গ্লাভস, মাস্ক দেবে। নতুন মাস্ক ও গ্লাভস পরে ফ্লাইটে ওঠার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে হবে। বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হবে।
বেবিচকের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রত্যেক যাত্রীকে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ফরম পূরণ করতে দেওয়া হবে। এই ফরমে যাত্রীর নাম, বয়স, লিঙ্গ, জন্মতারিখ, বর্তমান ঠিকানা, এয়ারলাইনসের নাম, ফ্লাইট নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, শরীরের তাপমাত্রা, মোবাইল ও ই-মেইল নম্বর পূরণ করতে হবে। একইসঙ্গে ফরমে তিনটি প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ টিক দিয়ে উত্তর দিতে হবে। এক নম্বর প্রশ্নে থাকবে, ‘আপনার (যাত্রী) কি জ্বর বা কফ হচ্ছে?’ দ্বিতীয় প্রশ্নে থাকবে, ‘আপনার কি জ্বর এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে?’ এবং তৃতীয় প্রশ্নে থাকবে, গত ১৪ দিনে কোভিড-১৯ বা এই রোগের কোনো উপসর্গ থাকার কারণে আপনাকে কোনো বিমানবন্দরে বোর্ডিং থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে কি না।
এসব প্রশ্নের যে কোনো একটির উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে সেই যাত্রীকে আর ফ্লাইটে উঠতে দেওয়া হবে না। স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী ওই যাত্রীকে পরবর্তী চিকিৎসা নিতে হবে। তবে এ তিনটি প্রশ্নের উত্তর ‘না’ হলেও যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি হলে তাকে আর ফ্লাইটে উঠতে দেওয়া হবে না।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থপনা পরিচালক এমডি মো. মোকাব্বির হোসেন জানান, বেবিচকের অনুমতি পাওয়া গেলে চালু হবে যাত্রীবাহী ফ্লাইট। ফ্লাইট চালুর ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুুতি রয়েছে বিমানের বলেও জানান তিনি।

সুস্থতার ছাড়পত্রে দুই হাসপাতাল ছাড়লেন ৮ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনার কোনো উপসর্গ না থাকায় একটি কোভিড-১৯ পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও বিআইটিআইডি হাসপাতাল থেকে সুস্থতার ছাড়পত্র পেলেন আরও আটজন। দুই হাসপাতালের চিকিৎসক এই তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. আবদুর রব বলেন, বুধবার ৬ জন জেনারেল হাসপাতাল থেকে রিলিজ হয়েছেন। তার মধ্যে দুইজন নগরীর বাসিন্দা ও তিনজন চট্টগ্রামের চার উপজেলার বাসিন্দা। নগরীর দুইজন হলেন সাগরিকার ডালি আক্তার (১৯) ও বাকলিয়া তুলাতুলি আবু মিঞা (৬৫)। এছাড়া চকরিয়া উপজেলার ফুলতলার নাসরিন সুলতানা (১৯) ও আনোয়ারা (৫৫), হাটহাজারী উপজেলার আব্দুল মোতালেব (২৮) এবং বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ি গ্রামের রেহানা আক্তার (৩০)।
বিআইটিআইডি হাসপাতালের কনসালটেন্ট ফারজিন আক্তার বলেন, ‘আজকে আমরা দুইজনকে ছাড়পত্র দিয়েছি। তারা দুজনই সীতাকু- উপজেলার বাসিন্দা। তাদের একজনের নাম গোলাম ফারুক (৪৪) এবং অন্যজনের নাম মেহেদী হাসান (৩০)।’
পৃথক দুই হাসপাতালে চিকিৎসক জানান, ছাড়পত্র পাওয়া ৮ জনকে আগামী ১৪ দিন হোম কোয়ারান্টিনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

তিনজন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু

3D illustration of Coronavirus, virus which causes SARS and MERS, Middle East Respiratory Syndrome

নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা আক্রান্ত হয়ে মুমুর্ষ অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আশরাফ আলী (৭৬), বিআইটিআইডি হাসপাতালে জয়নাল আবেদীন (৭২) ও পটিয়া থেকে আসার পথে পঞ্চানন বিশ্বাস (৫৫) মৃত্যুবরণ করেন। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও বিআইটিআইডি হাসপাতাল থেকে এই তথ্য জানা যায়।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগের সমন্বয়ক ডা. আব্দুর রব বলেন, ‘চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন পজিটিভ কেসের রোগী মারা গেছেন। তার নাম আশরাফ আলী (৭৬)। তিনি আজ (বুধবার) সকাল ৮ টার দিকে ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)-তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। আশরাফ আলী নগরীর পাচঁলাইশ থানার কাতালগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা।’
মৃত ব্যক্তিকে কখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জানতে চাইলে তিনি সুপ্রভাতকে বলেন, ‘তাকে গত শনিবার রাত ১২ টার পর চট্টগ্রাম জেনারেলর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ভর্তির পর থেকে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপসহ অন্য রোগে ছিলো। এ নিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজ (বুধবার) বিকেলে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আরেকজন পজিটিভ কেসের রোগী জেনারেল হাসপাতালে আসার পথে মারা গেছেন। উনার নাম পঞ্চানন বিশ্বাস (৫৫)। তিনি পটিয়ার বাসিন্দা। উনার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ার প্রেক্ষিতে উনাকে জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে ভর্তি করানোর জন্য প্রেরণ করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি পথিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেন।’
অন্যদিকে বিআইটিআইডি হাসপাতালে কোভিড-১৯ পজেটিভ একজন রোগী মৃত্যুবরণ করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালটির কনসালটেন্ট ফারজিন আক্তার সুপ্রভাতকে বলেন, ‘আজ সকালে জয়নাল আবেদীন (৭২) নামের এক রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি গতকাল দুপুর তিনটায় বিআইটিআইডি হাসপাতলে ভর্তি হয়েছিলেন। ওনার শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ থাকার কারণে আমরা ওনার নমুনা সংগ্রহ করে জরুরি ভিত্তিতে ল্যাবে পাঠাই। আজ ইফতারের আগে উনার নমুনার ফলাফলে পজিটিভ আসে। আমরা ওনাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু উনি আইসিইউ পেশেন্ট ছিলেন। আমাদের হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় আমাদের পক্ষে তা দেয়া সম্ভব হয়নি।’
গতকাল মঙ্গলবার পরীক্ষা হওয়া ২৪৮ জনসহ বিআইটিআইডি এ নিয়ে ৫ হাজার ৪৮৮ জনের নমুনা এবং সিভাসুর ল্যাবে ১ হাজার ১৬২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (চমেক) ল্যাবে এখন পর্যন্ত ১৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যারমধ্যে চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ৪১৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

পাঁচ কারণে বাড়ছে রোগী

ভূঁইয়া নজরুল :
মঙ্গলবার একদিনে চট্টগ্রামে ৮৫ জন করোনা শনাক্ত হয়ে মোট সংখ্যা ৪১৯ জনে গিয়ে ঠেকেছে। এক সপ্তাহ আগে গত বুধবার (৬ মে) চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ১৪০ জন। অর্থাৎ, এক সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে তিনগুণ। হঠাৎ করে এতো বেড়ে গেল কেন করোনা রোগীর সংখ্যা?
চট্টগ্রামে গত ৩ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর শতক পূর্ণ হয়েছিল একমাস পরে। ৪মে তারিখে চট্টগ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৭ জন হয়। পরবর্তী ১০০ জন হতে সময় নিয়েছিল মাত্র চারদিন, অর্থাৎ ৮মে তারিখে চট্টগ্রামে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২০৮ জনে। আর ৮মে তারিখে যেখানে ২০৮ জন ছিল চারদিন পর ১২মে তারিখে রোগীর সংখ্যা হয় ৪১৯ জন। চারদিনে দ্বিগুণ হয়ে গেল। কেন এই বিস্তার?
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে একাধিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে জানা যায় মূলত পাঁচ কারণে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। প্রথমত- পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে, যথারীতি রোগী শনাক্তের হারও বেড়েছে। দ্বিতীয়ত- লকডাউন মেনে না চলায় দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ। তৃতীয়ত- গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানায় বেড়ে গেছে শ্রমিক কর্মচারীদের উপস্থিতি। চতুর্থত- রাস্তাঘাটে চলাফেরায় মানুষ সামাজিক দূরত্ব মানছে না। পঞ্চমত- ব্যাংকগুলোতে মানুষ নিজেরাই নিজেদের সুরক্ষা মেনে চলছে না।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, মে মাসজুড়েই বাড়তে থাকবে সংক্রমণের হার। গার্মেন্টসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা খুলে দেয়ায় এবং লকডাউন শিথিল হওয়ায় করোনা সংক্রমণ যে বাড়বে তা আমাদের অনুমেয় ছিল। ফলে সেই হারে বাড়ছে। সামাজিক সংক্রমণ এখন খুব দ্রুত হচ্ছে। আর এই প্রবৃদ্ধি তাই নির্দেশ করছে।
সামাজিক সংক্রমণের উদাহরণ দিতে গিয়ে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী বলেন, আমাদের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছোট ছেলে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর উনার স্ত্রী হাসিনা মহিউদ্দিনসহ ওই বাসার আরো দুই জন সংক্রমিত হয়েছেন। ঈদগাহ এলাকায় এক বাসায় সাতজন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। এভাবে একটি পরিবারে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে এবং এতে দ্রুত আক্রান্ত বাড়ছে।
রাস্তাঘাটে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়গুলো মানা হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, গার্মেন্টসের শ্রমিকদের বাসে করে কারখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই বাস আবার অফ টাইমে শহরের ভেতরে যাত্রী আনা নেয়া করছে। তাহলে এই শহরে করোনা বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। আমরা কেউ সুরক্ষা মানছি না।
এই সুরক্ষা না মানার বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ও কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এখন মানুষের মধ্যে নিজের সুরক্ষার বোধটুকু নেই। ব্যাংকগুলোতে নিরাপদ দূরত্ব মেনে থাকার পরামর্শ দেয়া হলেও গ্রাহকরা মানছে না। এখন মানুষ জীবনের চেয়ে জীবিকাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। আর তাতেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
তবে পরীক্ষা যেহেতু বাড়ছে রোগী স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে উল্লেখ করে ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ল্যাব প্রধান ডা. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে এখন পরীক্ষা বেড়েছে তাই স্বাভাবিকভাবেই করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়বে। তবে এখন সামাজিক সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তা দ্রুত বাড়তে থাকবে। লকডাউনেও চলছে শিথিলতা, ফলে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।’
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে দ্রুত হারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। গত ১২ মে মঙ্গলবার আক্রান্ত হয়েছিল ৮৫ জন, ১১মে ৬৫ জন, ১০মে ৪৮ জন, ৯মে ১৩ জন, ৮মে ১১ জন ও ৭মে ৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। গত ১২ মে পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪১৯ জন। এদের মধ্যে মারা গিয়েছে ২৬ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছে ৮৭ জন।

করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে না কণিকা কাপুরের প্লাজমা

সুপ্রভাত ডেস্ক :
করোনার থেকে মুক্তি পেয়ে আপাতত সুস্থ বলিউড গায়িকা কণিকা কাপুর । হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে এখন লাখনউয়ের বাড়িতেই আছেন তিনি। এ রোগ থেকে সুস্থ হয়ে করোনার চিকিৎসার জন্য প্লাজমা দান করার ইচ্ছ ছিলো গায়িকার। কিন্তু তার এ ইচ্ছাপূরণ হলো না।
করোনা থেকে সেরে উঠার পর তার প্লাজমা সংগ্রহও করা হয়। কিন্তু পরে জানানো হয় এই প্লাজমা করোনা গবেষণার কাজে ব্যবহার করা যাবে না। যে হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল, লাখনউয়ের সেই কিং জর্জস মেডিকেল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে ফের যোগাযোগ করেন। ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তার প্লাজমা যদি গবেষণার কাজে লাগানো যায়। সেই মতো তার প্লাজমা সংগ্রহও করা হয়।
প্লাজামা দাতার রক্তে হিমোগ্লোবিন যেন নূন্যতম ১২.৫ গ্রাম প্রতি ডেসিলিটার এবং শরীরের ওজন ৫০ কেজির বেশি হতে হয়। তার ডায়াবেটিস, কার্ডিও ভাস্কুলার সমস্যা, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস বা এই ধরনের অন্য কোনো রোগের ইতিহাস থাকা চলবে না। তবেই সেই প্লাজমা এমন গবেষণার কাজে লাগানো যায়। তবে কণিকার ঠিক কী কারণে প্লাজমা ব্যবহার সম্ভব নয় তা জানানো হয়নি কিং জর্জস মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে।
খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।

নিশো-মেহজাবীনের ‘ইমপসিবল লাভ’

সুপ্রভাত ডেস্ক :
সময়ের অন্যতম শীর্ষ জুটি আফরান নিশো ও মেহজাবীন চৌধুরী। এ দুজনকে ঘিরে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সর্বাধিক নাটক তৈরি হতে দেখা গেছে। তবে এবার যেটি দেখা যাবে, সেটি আগে আর হয়নি তাদের ঘিরে। টিভি পর্দার এই জুটিকে নিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভি নির্মাণ করেছে ঈদের বিশেষ নাটক, যার গল্প জাদুবাস্তবতা আর হ্যালুসিনেশনকে ঘিরে। ‘ইমপসিবল লাভ’ নাটকটি রচনা করেছেন আব্দুল্লাহ মাহফুজ অভি আর নির্মাণ করেছেন মাহমুদ নিয়াজ চন্দ্রদ্বীপ।নাটকটির গল্পে দেখা যাবে, ম্যাজিক রিয়েলিটি ঘরানার বিস্ময়কর প্রেমের গল্প। যেখানে দেখা যাবে প্রেমিকা মেহজাবীনের ওপর অভিমান করে সুইসাইড করে আফরান নিশো। অথচ এই গল্পের শেষটা হয় দুজনের প্রেমময় সংসার দিয়ে!
খবর : এনটিভিঅনলাইন’র।

অবশেষ ভাঙলো শাহরুখ-সানির দ্বন্দ্ব

সুপ্রভাত ডেস্ক :
মনোমালিন্যের জেরে দীর্ঘ ১৬ বছর কথা সানি দেওলের সঙ্গে কথা বন্ধ ছিল শাহরুখ খানের। ‘ডর’ ছবির শুটিং থেকেই দু’জনের মতবিরোধের সূত্রপাত। সেই দেওয়াল এ বার নিজেই ভেঙে দিলেন শাহরুখ। প্রযোজক আলি এবং করিম মোরানির কাছ থেকে ১৯৯৩ সালের ছবি ‘দামিনী’র স্বত্ব কেনা ছিল শাহরুখের রেড চিলিজ এন্টারটেনমেন্টের। সেই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সানি দেওল, মীনাক্ষী শেষাদ্রী, ঋষি কপূর প্রমুখ। ছেলে কর্ণ দেওলের সঙ্গে সেই ছবির রিমেক করতে চান সানি, এই খবর পাওয়া মাত্র শাহরুখ নিজে থেকেই ছবির স্বত্ব সানিকে দিয়ে দেন। প্রসঙ্গত, ‘ডর’-এ শাহরুখের খলচরিত্রকে গ্লোরিফাই করা নিয়ে পরিচালক যশ চোপড়ার কাছে আপত্তি জানিয়েছিলেন ছবির নায়ক সানি। শুটিং চলাকালীনও সানি-শাহরুখের মধ্যে দ্বন্দ্ব অব্যাহত ছিল। সানিকে শাহরুখের ছুরি মারার দৃশ্যের প্রতিবাদ করে যশ চোপড়াকে সানি বলেছিলেন, ‘একজন কম্যান্ডোকে কী ভাবে এক সাধারণ ছেলে ছুরি মেরে ঘায়েল করতে পারে?’ যদিও সানির কোনও কথাই শোনেননি পরিচালক। সেই সময়ে সেটেই মেজাজ হারান সানি। আর তার পর থেকেই শাহরুখের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এখন অবশ্য ‘দামিনী’র স্বত্ব নিজে থেকে ছেড়ে দিয়ে দু’জনের মধ্যকার বরফ গলালেন শাহরুখই।
খবর : আনন্দবাজার’র।

এ মুহূর্তের সংবাদ

সমাজ সমকালের কবি ইকবাল

গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষকে মুজিববাদ থেকে মুক্ত করব : নাহিদ ইসলাম

কার্ফিউয়ের সময় বাড়লো গোপালগঞ্জে

গোপালগঞ্জে সহিংসতায় ৪ জন নিহত, অর্ধশতাধিক আহত: পুলিশ প্রতিবেদন

আনোয়ারায় পুকুর ঘাটের নিচে মিলল অস্ত্র ও টাকা, আটক ১

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের দুঃসাহস মোকাবেলা করতে হবে: গোলাম পরওয়ার

পদত্যাগ করলেন ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ

সর্বশেষ

সমাজ সমকালের কবি ইকবাল

গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষকে মুজিববাদ থেকে মুক্ত করব : নাহিদ ইসলাম

কার্ফিউয়ের সময় বাড়লো গোপালগঞ্জে

গোপালগঞ্জে সহিংসতায় ৪ জন নিহত, অর্ধশতাধিক আহত: পুলিশ প্রতিবেদন

আনোয়ারায় পুকুর ঘাটের নিচে মিলল অস্ত্র ও টাকা, আটক ১

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের দুঃসাহস মোকাবেলা করতে হবে: গোলাম পরওয়ার

এ মুহূর্তের সংবাদ

সমাজ সমকালের কবি ইকবাল

এ মুহূর্তের সংবাদ

কার্ফিউয়ের সময় বাড়লো গোপালগঞ্জে