Blog Page 2762

ফুরিয়ে যাচ্ছে শয্যা

 জেনারেল হাসপাতালে সিট খালি আছে ১০টি ও ফৌজদারহাটে ১৩টি
# করোনায় নতুন হাসপাতালের খোঁজে চট্টগ্রাম,পাইপলাইনে রয়েছে রেলওয়ে হাসপাতাল, বন্দর হাসপাতাল ও সিটি কর্পোরেশন জেনারেল হাসপাতাল: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর #

ভূঁইয়া নজরুল :
হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগী। কিন্তু করোনা চিকিৎসায় হাসপাতাল কোথায়? তাহলে কি চিকিৎসা ছাড়াই মারা যাবে করোনা রোগীরা? আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে আর মাত্র ১০টি ও ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে খালি আছে ১৩টি বেড। দুই হাসপাতালে মিলিয়ে ২৩টি বেড। কিন্তু চট্টগ্রামে প্রতিদিন শনাক্ত হচ্ছে প্রায় একশ রোগী। এই রোগীদের চিকিৎসার কি হবে?
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের একজন সিনিয়র চিকিৎসক ডা. আবদুর রব গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় সুপ্রভাতকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ২০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। হু হু করে রোগী আসছে হাসপাতালে। এসব রোগীকে আমরা কোথায় ভর্তি করাবো? সিট খালি আছে মাত্র ১০টি।’
তিনি আরো বলেন, ১০টি আইসিইউ’র (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) মধ্যে সবগুলোতেই রোগী রয়েছে। এখন নতুন কোনো রোগীর আইসিইউ’র প্রয়োজন হলে দেয়া সম্ভব হবে না।
করোনা চিকিৎসা পদ্ধতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমন অনেক রোগী রয়েছে যাদের সামান্য একটু অক্সিজেন সাপোর্ট পেলে বাঁচানো যাবে। কিন্তু এখন যদি আমরা রোগীদের ভর্তি করাতে না পারি সেই সাপোর্ট কীভাবে দেবো?
জেনারেল হাসপাতালে যেখানে ১০০টির মধ্যে মাত্র ১০টি সিট খালি রয়েছে সেখানে করোনা চিকিৎসায় নগরীর আরেক হাসপাতাল বিআইটিআইডিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেখানে মোট ৩০টি সিটের মধ্যে ১৭টিতে রোগী ভর্তি রয়েছে। আর ১৩ জন রোগীকে ভর্তি নিতে পারবেন। এবিষয়ে কথা হয় বিআইটিআইডির পরিচালক ডা. এম এ হাসানের সাথে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে ৩০টির বেশি রোগী ভর্তি করা সম্ভব নয়। সেই হিসেবে হয়তো আর ১৩ জনকে ভর্তি করানো যাবে।’
তিনি আরো বলেন, আমার এই হাসপাতালে আবার আইসিইউ সাপোর্ট নেই। তাই মুমূর্ষু রোগীদের আইসিইউ সুবিধা দেয়ার সুযোগ নেই। তবে ফিল্ড হাসপাতাল রয়েছে সেখানে কিছু রোগী ভর্তি হতে পারে।
এদিকে ফিল্ড হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেখানে ৫০ শয্যার হাসপাতালে ইতিমধ্যে ৩৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। সেখানেও আর ১৫ জনের বেশি রোগী ভর্তি নেয়ার সুযোগ নেই।
তাহলে কি চট্টগ্রামে আর মাত্র ৩৮ জন (জেনারেল হাসপাতালে-১০, বিআইটিআইডিতে ১৩ ও ফিল্ড হাসপাতালে ১৫) রোগী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে? এবিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার বলেন, ‘চিন্তার কোনো কারণ নেই কাল শুক্রবার কিছু রোগী ডিসচার্জ হবে তখন হাসপাতালগুলোতে কিছু সিট খালি হবে। একইসাথে আমরা বিকল্প হাসপাতালও চালু করার ব্যবস্থা করছি।’
বিকল্প হাসপাতাল কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আজ বৃহস্পতিবার রেলওয়ে হাসপাতাল ভিজিট করেছি। সেখানে ১০০ জনকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। একইসাথে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জেনারেল হাসপাতাল ও বন্দর হাসপাতাল রয়েছে। এসব হাসপাতালের প্রতিটিতে ১০০টি করে সিট রয়েছে। তাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সমস্যা হবে না। ইতিমধ্যে আমরা নতুন চিকিৎসকও পেয়ে গেছি। ফলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
কিন্তু দীর্ঘদিন অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকা এসব হাসপাতালগুলোতে সেই ধরনের চিকিৎসা উপকরণ নেই? এমন প্রশ্ন করা হলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, মহামারির সময়ে কখনো প্রস্তুতি নিয়ে কিছু করা যায় না। তবে গণহারে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব, সমস্যা হবে না, আমাদের সেই পদ্ধতি জানা আছে।
চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসায় হাসপাতালের কোনো ক্রাইসিস হবে না উল্লেখ করে চট্টগ্রামে করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সদরঘাটে আমাদের জেনারেল হাসপাতালটি করোনা চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য দিয়ে দেয়া হবে। এছাড়া ভাটিয়ারিতে শিপ ব্রেকার্স এসোসিয়েশনের একটি হাসপাতাল রয়েছে। তখন পুরো হাসপাতালটি করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে। আমরা এবিষয়ে কথা বলে রেখেছি। একইসাথে রেলওয়ে ও বন্দর হাসপাতাল তো রয়েছেই। তাই সমস্যা হবে না বলে মনে করছি।
তবে আইসিইউ নিয়ে সমস্যা হতে পারে বলে অনেক চিকিৎসক মনে করছেন। এবিষয়ে বিআইটিআইডির পরিচালক ডা. এম এ হাসান বলেন, ‘আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গড়ে ৫ শতাংশের আইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে নতুন আইসিইউ ইউনিট লাগবে।‘
এদিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ বলেন, বর্তমান পদ্ধতিতে সব রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে না। মুমুর্ষু রোগীদের শুধু হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে বাকিদের বাসায় রেখে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। তবে হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে হবে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫১৪ জন। এদের মধ্যে মারা গেছে ২৮ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছে ৯৩ জন। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত বুধবার চট্টগ্রামে আক্রান্ত হয়েছে ৯৫ জন, এর আগে মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৫ জন ও ১১ মে আক্রান্ত হয়েছিল ৪৮ জন। চট্টগ্রামে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ৩ এপ্রিল।

বাড়ি ফিরলেন আরো ৪ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন পুলিশসহ আরও ৪ জন। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব।
হাসপাতাল সূত্র জানা যায়, হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়া ৬ জনের মধ্যে একজন করোনা সাসপেক্টেড রোগী। সুস্থ হওয়া ৪ হলেন, দামপাড়া পুলিশ লাইন মাহবুব আলম (৩০) ও আবুল কাশেম (৫০) এবং মির্জা নুরুল কবীর (৪৪) ও জিল্লুর রহমান (৩২)। এছাড়া করোনাভাইরাস পজিটিভ নিয়ে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডা. লক্ষীপদ দাসকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব বলেন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন চিকিৎসক, পুলিশসহ আরও চারজন। এছাড়া করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সাসপেক্টেড আরও একজন রোগীও সুস্থ হয়েছেন। আগামী ১৪ দিন তাদের হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেনারেল হাসপাতালে একশোটার বেডের মধ্যে নব্বইটাতে রোগী আছে। আগামীতে আমাদের শয্যা সংকট নিরসন না হলে রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলায় করোনা আক্রান্ত শনাক্তের মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৫১২ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৩ জন।

জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে প্রিমিয়ার ও ইডিইউ’র শোক

জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান, প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান, উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সামস উদ-দোহা এবং রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া।
এক শোকবার্তায় তারা বলেন, বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক জগতের অভিভাবক ছিলেন ড. আনিসুজ্জামান। তার এ শূন্যতা কেবল বাংলাদেশের নয়, পুরো উপমহাদেশেরই অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তার গবেষণা এ পৃথিবীর জন্য অমূল্য সম্পদ। শুধু জ্ঞান ও শিক্ষায় নয়, ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি প্রত্যক্ষ অবদান রেখেছেন। ভূমিকা রেখেছেন স্বাধীনতা পরবর্তী দেশ গঠনে। নানামুখী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি জাতিকে চিরকৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন। তার অবদান কোনোদিন ভুলবার নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান শিক্ষায় অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হয়েছেন। বাংলা শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পদ্মভূষণ পেয়েছেন। এছাড়া তিনি ১৯৯৩ ও ২০১৭ সালে দু’বার আনন্দবাজার পত্রিকা কর্তৃক আনন্দ পুরস্কার, ২০০৫ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি লিট ডিগ্রি এবং ২০১৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী পদক লাভ করেন। ২০১৮ সালের ১৯ জুন বাংলাদেশ সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির শোক
এদিকে পৃথক বিবৃতিতে শোক জানিয়েছেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রফেসর আনিসুজ্জামানের সঙ্গে দীর্ঘ ষাট বছরের সম্পর্ক ছিল। প্রফেসর আনিসুজ্জামান কেবলমাত্র আমার শিক্ষকই ছিলেন না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকর্মীও ছিলেন। ১৯৬৯ সালে আমরা দু’জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শিক্ষকতায় ব্রতী হন। ১৯৭১ সালের মুক্তিসংগ্রামেও একত্রে ছিলাম। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান যথার্থ অর্থেই একজন মুক্তচিন্তার অধিকারী মানবপ্রেমিক পণ্ডিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে জাতি অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হলো।
আরো শোক জানিয়েছেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক, রেজিস্ট্রার খুরশিদুর রহমান, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

মশক নিধনে চসিক’র ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু

চান্দগাঁওয়ে চসিকের মশক নিধন ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

মশকমুক্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ার লক্ষে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। ১৪ মে নগরীর চান্দগাঁও ‘বি’ ব্লক মসজিদের সামনে ওষুধ ছিটিয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, সমন্বিত মশক নিধন ব্যবস্থাপনার আওতায় প্রথম পদক্ষেপটি হচ্ছে পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা। চারপাশের যেসব জায়গায় এডিস মশা জন্মায়, সেসব জায়গায় যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে, সে ব্যাপারে সকলকে সচেতন হতে হবে।
আবহাওয়াগত কারণে নগরীতে এখন মশার উপদ্রব বেড়েছে। এই ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতি ওয়ার্ডের ঝোঁপঝাঁড় পরিষ্কার ও নালায় যেখানে মশার জন্ম হয় সেখানে ওষুধ ছিটানো হবে। ক্রাশ প্রোগ্রাম ছাড়াও চসিকের নিয়মিত কার্যক্রমের মধ্যে প্রতিদিন মশক নিধন স্প্রে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সিটি মেয়র বলেন, আমাদের যে পরিমাণ মশা ধ্বংসকারী ওষুধ আছে এই ওষুধের সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাপ্তবয়স্ক মশা নিধনের জন্য এডাল্টিসাইড এবং মশার লার্ভা (ডিম) ধ্বংসের জন্য লার্ভিসাইড ওষুধ ছিটানো হবে। ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন মেয়র।
মেয়র আরো বলেন, বাসা-বাড়ি, ছাদ-আঙিনা নিজ নিজ উদ্যোগে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। করোনা মহামারির এ সময় মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে। মশা থেকে মুক্তি পেতে সামাজিক সচেতনতাও জরুরি প্রয়োজন। করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে সারা দেশে সবকিছু বন্ধ রয়েছে, থমকে আছে সকল প্রকার অর্থনৈতিক কর্মকা-। অর্থনীতির চাকা বন্ধ থাকায় প্রান্তিক মানুষের জীবনের স্রোতও যেন থমকে গেছে। জীবন অবশ্যই আগে। কারণ, জীবন না থাকলে জীবিকার কোন প্রশ্নই আসে না। তবে জীবিকা না থাকলে জীবন টিকবে কি করে? তার মানে, মহামূল্যবান জীবনকে রক্ষা করতেই জীবিকাই একমাত্র অক্সিজেন। উভয়ে উভয়ের পরিপূরক বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা মহামারীর আঘাতে ক্ষুধায় যেন মানুষ না মরে। যতদিন যাবত এর টিকা আবিস্কার না হচ্ছে ততদিন সতর্কতামূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার কোনো বিকল্প নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, মো. সাইফুদ্দিন খালেদ সাইফু, চসিক প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি

গভীর বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
গভীর বঙ্গোপসাগরের আন্দামানের দক্ষিণে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে গভীর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বইছে। এটি শুক্রবার নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পতেঙ্গা কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ মেঘনাধ তঞ্চগ্যা বলেন, ‘গভীর বঙ্গোপসাগরের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে তা সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে সাগরের ওই এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বইছে।’
এদিকে আবহাওয়াবিদদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে এখনই এবিষপয় চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ উপকূল থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে এই লঘুচাপ।
চলতি মাসের আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে এক বা একাধিক নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এসব নিম্নচাপ থেকে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, বছরের এসময়ে সাগরে নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়ে থাকে। এপ্রিল-মে ও সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম।

১১৫ টাকার ওষুধ ১৮০ টাকা, ১০ হাজার টাকা জরিমানা

হাটহাজারীতে ওষুধের দোকানে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন

 হাটহাজারী

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাটহাজারী

এক ভোক্তার অভিযোগ পেয়ে হাটহাজারী পৌরসভা সদরের ফর্মেসিতে (ওষুধের দোকান) ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচলানা করেন উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে এ অভিযান চালানো হয়। ওষুদের বেশি দাম রাখায় যোগমায়া ফার্মেসিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রম্নহুল আমিন সুপ্রভাতকে বলেন,  ভোক্তার অভিযোগ করেন, যোগমায়া ফার্মেসিতে সাফকিন নামের একটা ওষুধের দাম রাখা হচ্ছে ১৮০ টাকা। অথচ অন্য দোকানে ১১৫ থেকে সর্বোচ্চ ১২০ টাকায় ওষুধটি বিক্রি হচ্ছে।  যোগমায়া ফার্মেসির মালিক বিষয়টি স্বীকার করেছেন, ওষুধের গায়ে ১৩০ টাকা লেখা ছিল। কিন’ কলম দিয়ে ৩ কে ৮ বানিয়ে দিয়েছেন তিনি।’

তিনি আরো বলেন,  ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪০ ধারায় যোগমায়া ফার্মেসি থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

 

 

মেয়াদোত্তীর্ণ সেমাই ও মূল্য তালিকা না থাকায় জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনার প্রভাব ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও বাজার মনিটরিং করার সময় নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা না থাকায় জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নগরীর কোতোয়ালি, ডবলমুরিং, সদরঘাট ও বাকলিয়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় ৬টি দোকান থেকে ৭ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: উমর ফারুক সুপ্রভাতকে বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও বাজার মনিটরিং করার সময় নগরীর ডবলমুরিং এলাকার একটি দোকান থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ সেমাই জব্দ করা হয়। এসময় ওই দোকানিকে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি আরো ৫ দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তালিকা দেখাতে না পারায় ৬টি মামলায় ৭ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে নগরীর খুলশি, বায়েজিদ, চান্দগাও ও চকবাজার এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিয়ান পরিচালনা করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন। তবে অভিযানে কোন জরিমানা আদায় করা হয়নি।

৭৬ শতাংশ রোগী বাসায় !

3D illustration of Coronavirus, virus which causes SARS and MERS, Middle East Respiratory Syndrome

চট্টগ্রামে বুধবার শনাক্ত ৯৫ জন করোনা রোগীর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭ জন

সালাহ উদ্দিন সায়েম :
চট্টগ্রামে গেল বুধবার নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয় ৯৫ জনের। কিন্তু এদের মধ্যে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মাত্র ৭ জন। আক্রান্ত বাকি ৮৮ জন হোম আইসোলেশনে (বাড়িতে আলাদা বসবাস) রয়েছেন।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে ১৩ মে পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫১২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৭ জন আর সুস্থ হয়েছেন ৮৯ জন। তাহলে আক্রান্তের মধ্যে আর বাকি থাকে ৩৯৬ জন। কিন্তু বুধবার পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৯৪ জন। বাকি ৩০২ জন অর্থাৎ প্রায় ৭৬ শতাংশ রোগী আছেন হোম আইসোলেশনে।
আক্রান্ত হওয়ার পরও হোম আইসোলেশনে কেন?
৩ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটি নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার নতুন এই গাইড লাইন প্রণয়ন করে। নতুন এ গাইডলাইন অনুযায়ী, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর শরীর সুস্থ থাকলে রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে পারবে না। তাকে হোম আইসোলেশনে (বাড়িতে আলাদা বসবাস) থাকতে হবে। তবে রোগীর শ্বাসকষ্ট ও অন্য শারীরিক জটিল সমস্যা থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারবে।
চট্টগ্রামে গত ১০ দিন ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ৯ দিনে চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪০১ জন। ৯ দিন পর আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য প্রশাসন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির করোনা চিকিৎসার নতুন গাইড লাইন মেনে হাসপাতালে রোগী ভর্তি করাচ্ছেন। এ কারণে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা কমে গেছে।
চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর সুপ্রভাতকে বলেন, হাসপাতালে যেহেতু শয্যা সংকট, তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির করোনা চিকিৎসার নতুন গাইড লাইন মেনে চলছি। এখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ থাকলে রোগীদের আমরা বাড়িতে আইসোলেশনে থাকতে বলছি। তবে আক্রান্ত ব্যক্তির যদি শ্বাসকষ্ট ও অন্য কোনো জটিল সমস্যা থাকলে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি সুপ্রভাতকে জানান, আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হলে তার সাথে আমরা কথা বলে বাসায় আইসোলেশনে থাকার মতো পরিবেশ আছে কি-না জানতে চাই। রোগী রাজি হলে আমরা তাকে বাসায় থাকতে বলি। যদি বাসায় আইসোলেশনের পরিবেশ না থাকে তাহলে আমরা তাকে হাসপাতালে চলে আসতে বলি।
চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসার জন্য আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১০০টি, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালে রয়েছে ৫০টি আর ফিল্ড হাসপাতালে রয়েছে ৫০টি। তিনটি হাসপাতালে ২০০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছে ৯৪ জন। কিন্তু চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ৩৯৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন।

করোনায় এসএমই ও কুটির শিল্পে হাজার কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা

আজিজুল কদির :
দেশের অর্থনীতির বড় জায়গা জুড়ে রয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ও কুটির শিল্প খাত। এই খাতে নিয়োজিত আছে ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৮শত ৬০ জন দক্ষ অদক্ষ শ্রমিক। করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের সব বিপণী বিতানসহ সব ধরনের মেলা আয়োজন বন্ধ থাকায় এই খাতের অবস্থা নাজুক। পাশাপাশি এ বছর পহেলা বৈশাখের সব অনুষ্ঠান স্থগিত হওয়ায় গোটা এসএমই ও কুটির শিল্প খাত রয়েছে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে।
এই খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু পহেলা বৈশাখ পর্যন্ত সময় ধরেই এই খাতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ১০০০ কোটির মতো। আর করোনা ভাইরাসের কারণে সাধারণ ছুটিসহ দোকানপাট বন্ধ রাখার সময়কাল ঈদুল ফিতর পর্যন্ত বাড়লে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। এ পরিস্থিতিতে এই খাতকে বাঁচিয়ে রাখতে ঘোষিত প্রণোদনা প্রদান খুবই জরুরি।
জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি বাংলাদেশ (নাসিব) চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি মো: নুরুল আজম খান বলেন, বছরে ৮ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা টার্নওভার হয় এসএমই খাত থেকে। এর মধ্যে শুধু পহেলা বৈশাখ আর ঈদুল ফিতরের সময় টার্নওভার হয় এর প্রায় অর্ধেক। সেই হিসাবে এই খাতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৪ থেকে ৫ শত কোটি টাকা।
নুরুল আজম খান বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে চলমান অবস্থা যত বেশি দীর্ঘায়িত হবে, এই খাতের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা তত বেশি কঠিন হয়ে পড়বে। আগামী তিন মাসে ব্যাপকভাবে কর্মসংস্থান, প্রোডাকশন প্ল্যান ও সাপ্লাই চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদেরকে সহায়ক জামানতের পরিবর্তে ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং গ্রুপ গ্যারান্টিকে জামানত হিসেবে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জামানত ব্যতিরেকে সহজ শর্তে শুধুমাত্র একটি ইউনিফর্ম আবেদনের মাধ্যমে এই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ প্রদান করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) চট্টগ্রামের উপ মহাব্যবস্থাপক জামাল নাসের চৌধুরী বলেন, আমাদের কালুরঘাট, ফৌজদারহাট, পটিয়া, ষোলশহর বিসিক শিল্প এলাকায় মোট ২৩৮টি ছোট বড় শিল্পকারখানা আছে। তারমধ্যে করোনার প্রথমদিকে ৩৫টি কারখানা খোলা থাকলেও বর্তমানে শতকরা ৬৫ ভাগ কারখানা উৎপাদনরত।
করোনায় এই পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ কত জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিল্প উদোক্তাদের তথ্য অনুসারে বিসিকের কাছে ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৭শ ৩৪ কোটি ৮৮ লক্ষ। তবে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করতে আরো সময় লাগবে। আর তার উপর ভিত্তি করে ঘোষিত সরকারি প্রণোদনাটা দেয়া হবে।
উদোক্তা ও ফ্যাশন ডিজাইনার আইভি হাসান বলেন, করোনার ভয়াবহতা কবে লাঘব হবে তা অজানা। সরকার বিরাজমান এই মহাবিপর্যয়ের মাঝে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে হলে অন্যান্য খাতের পাশাপাশি ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পখাতকে ঘুরে দাঁড়ানোর সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এজন্যে এ খাতের জন্য সরকার ঘোষিত প্রণোদনা সহায়তা উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছাতে হবে। সেই সাথে অন্তত যেন চলতি বছর ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ফি মওকুফ, সুদবিহীন, ট্যাক্স, ভ্যাটবিহীন সুযোগ করে দেয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে।

ক্যারম-লুডুতে অবসর যাপন 

পরিবারের সঙ্গে লুডু খেলে অবসর কাটছে অনেকেরই -সুপ্রভাত

রুমন ভট্টাচার্য :
করোনা ভাইরাসে থমকে গেছে প্রায় সবকিছু। ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা কর হয়েছে। দীর্ঘ এই ছুটিতে ঘরবন্দি হওয়া মানুষ পরিবারের সঙ্গে থাকলেও অনেকেই একরকম বিরক্ত হয়ে উঠেছে। সঙ্কটময় এই অবস্থায় বেড়েছে বিভিন্নরকম ঘরোয়া খেলা। ছোট-বড় সকলে কেউ ঘরে লুডু, কেউ ক্যারম, কেউ দাবা খেলে পার করছে অবসর সময়।
পাঁচলাইশ এলাকা বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবি শান্তনু চৌধুরী বলেন, ‘খেলা যে শুধু মাঠেই খেলতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। ঘরোয়া খেলার জন্য বাইরে যেতে হয় না। ফলে ঝুঁকিও নেই। এই বন্ধে বাসায় ক্যারম খেলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকতে পারছি, একই সঙ্গে তাদের সঙ্গে নিয়েই অবসর সময়টা কাটিয়ে দিতে পারছি বেশ মজা করেই।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর খেলাধুলার সরঞ্জাম বিক্রির দোকানগুলোতে বিক্রি বেড়েছে ঘরোয়া খেলার উপকরণ-যেমন ক্যারম, লুডু, দাবা, বাগাডুলি ইত্যাদির। করোনা ভাইরাসে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে এসব ঘরোয়া খেলার উপকরণের চাহিদা ও দাম দুটোই বেড়েছে।
নগরীর কাজির দেউড়ি মার্কেটের বেশকয়েকটি স্পোর্টসের দোকান ঘুরে দেখা যায়, বড়-ছোট-মাঝারি বিভিন্ন সাইজের ক্যারম সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ সাইজের ক্যারমের দাম চাওয়া হচ্ছে ৬ হাজার টাকা। ৫০ সাইজের ৮ হাজার ও ৫৫ সাইজের ১০ হাজার টাকা। এছাড়া ছোটদের ক্যারম ১৫০০-২০০০ হাজার টাকা।
এ সময় ক্যারম কিনতে আসা ডিসি রোডের বাসিন্দা যীশু দাশ বলেন, ‘আগের চেয়ে ক্যারমের দাম অনেক বেড়েছে। ৩ হাজার টাকার ক্যারম এখন ৬ হাজার টাকা। অনেক দোকান ঘুরে ও দর কষাকষি করে শেষপর্যন্ত সাড়ে ৪ হাজার টাকায় ৪৫ সাইজের একটি ক্যারম কিনলাম। কি করব উপায় নেই, লম্বা বন্ধে বাসায় বসে থেকে সময় আর কাটছে না।’
খুচরা লুডু বিক্রেতা সুমন দাশ দাম বাড়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘চাহিদা বাড়ায় লুডুর দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। এছাড়া মার্কেটে সংকট আছে । ছোট-মাঝারি-বড় বিভিন্ন সাইজের লুডু রয়েছে। এখন সর্বনি¤œ ৩০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮০ টাকায় লুডু বিক্রয় হচ্ছে। আগে বড়গুলো বিক্রি করতাম ৫০ টাকায় আর এখন দাম বাড়ায় ৮০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।’
নগরীর বেটারি গলির বাসিন্দা গৃহিনী সুচিত্রা চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের বন্ধ শুরুর পর থেকে বাসায় একদম সময় কাটছিল না। পাশের দোকান থেকে বড় সাইজের একটি লুডু কিনেছি ৮০ টাকায়, দাম চাওয়া হয়েছিল ১০০ টাকা। স্বামী ও সন্তাদের নিয়ে প্রতিদিন লুডু খেলে অবসর সময় ভালোই পার করছি। ঘরোয়া খেলার সুবিধার হলো বাইরে যেতে হচ্ছে না। সে কারণে একটু নিশ্চিন্ত। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অবসর সময়টা বেশ মজা করে কাটানো যাচ্ছে। খেলায় মেতে উঠলে সময়টা যেমন আনন্দে কাটছে, তেমনি পরিবারের সবার সঙ্গে থাকার পাশাপাশি ছোটরাও বড়দের খুব সান্নিধ্যে থাকতে পারছে।’

এ মুহূর্তের সংবাদ

সেনা ও পুলিশ পাহারায় এনসিপি নেতারা গোপালগঞ্জ ছেড়েছেন

গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র

সারাদেশে ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা

জুলাই শহীদদের স্মরণে দেশের ৮৬৪ স্থানে নির্মিত হবে ফলক

সর্বশেষ

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে অন্তত চার জন নিহত, রাত ৮টা থেকে কারফিউ

সেনা ও পুলিশ পাহারায় এনসিপি নেতারা গোপালগঞ্জ ছেড়েছেন

গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র

সারাদেশে ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা

জুলাই শহীদদের স্মরণে দেশের ৮৬৪ স্থানে নির্মিত হবে ফলক

এ মুহূর্তের সংবাদ

গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র

এ মুহূর্তের সংবাদ

সারাদেশে ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা