Blog Page 2748

করোনা চিকিৎসায় বিআইটিআইডিতে দশটি সিলিন্ডার দিল আবুল খায়ের গ্রুপ

বিআইটিআইডি হাসপাতালে গতকাল মঙ্গলবার দশটি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করেছে আবুল খায়ের গ্রুপ- সুপ্রভাত

নিজস্ব প্রতিবেদক :

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেন সংকট নিরসনে দেশের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের গ্রুপ সারাদেশের জন্য ৩০০টি সিলিন্ডার আমদানি করে। এ সিলিন্ডারসহ নিজেদের উৎপাদিত অক্সিজেন বিনামূল্যে বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডিতে (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ) দশটি সিলিন্ডার বিতরণ করা হয়।

বিআইটিআইডি হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় হাসপাতালটির পরিচালকসহ চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ও আবুল খায়ের গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আবুল খায়ের গ্রুপের মানবসম্পদ বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মো. ইমরুল কাদের ভূঁইয়া বলেন, ‘যতদিন প্রয়োজন থাকবে ততদিন এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। দ্রুততম সময়ে কার্যক্রম শুরু করার জন্য আবুল খায়ের গ্রুপ আমদানি করা ৩০০টি নতুন সিলিন্ডার সংগ্রহ করে ইতিমধ্যে ফিলিং সম্পন্ন করেছে। প্রতিটি সিলিন্ডারের ধারণক্ষমতা ১ দশমিক ৪ কিউবিক মিটার।

তিনি আরো বলেন, ‘করোনা চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি প্রয়োজনে আবুল খায়ের গ্রুপের দেওয়া সিলিন্ডারের বাইরে অতিরিক্ত সিলিন্ডার অক্সিজেন ফিলিংয়ের জন্য পাঠায় তবে আমরা সেগুলো রি-ফিল করে দিবো। আমরা আমাদের এ অক্সিজেন প্ল্যান্ট করোনার সংকটপূর্ণ সময় পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারিভাবে চিকিৎসারত সবার জন্য বিনামূল্যে উন্মুক্ত করেছি।’

আবুল খায়ের গ্রুপের দশটি অক্সিজেন সিলিন্ডার বুঝে পাওয়ার পর বিআইটিআইডি পরিচালক বলেন, ‘করোনা রোগীর চিকিৎসায় অক্সিজেন হল মহাওষুধ। আমাদের হাসপাতালে আগে থেকে ১৪ টি সিলিন্ডার ছিল। অক্সিজেনের সংকট থাকায় আমরা এতদিন রেশনিং সিস্টেমে অক্সিজেন সেবা দিয়েছি। আজকে থেকে আমাদের কাছে ২৪ টি সিলিন্ডার থাকবে। ফলে অক্সিজেনের সংকট অনেকটুকুই নিরসন হবে। আবুল খায়েরের মত শিল্প গ্রুপগুলো করোনা চিকিৎসায় এ ধরনের উদ্যোগ নিলে জনগণের চিকিৎসা সেবায় অপূর্ণতা থাকবে না বলে আশা করি।’

প্রসঙ্গত, অক্সিজেনের প্রয়োজনে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদান করা হাসপাতালগুলোকে যোগাযোগের জন্য আবুল খায়ের গ্রুপ একটি হেল্পলাইন চালু করেছে। তারা জানিয়েছেন অক্সিজেনের প্রয়োজনে ০১৯৮৮৮০২১৬৬ নম্বরে যোগাযোগ করলে বিনামূল্যে অক্সিজেন রিফিল সুবিধা পাওয়া যাবে।

অক্সিজেন সংকট মেটাবে আবুল খায়ের গ্রুপ

আবুল খায়ের গ্রুপের অক্সিজেন প্ল্যান্ট- সুপ্রভাত

শুভ্রজিৎ বড়ুয়া #

নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় অতি প্রয়োজনীয় হলো অক্সিজেন। কেননা এ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে ফুসফুসের অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা আক্রান্তদের ফুসফুসে পানি জমায়। ফলে শ্বাসযন্ত্রে অক্সিজেন সরবরাহের  প্রয়োজন হয়। এমন সময়ে অন্য যেকোন ওষুধের চেয়ে অক্সিজেন সেবা সবচেয়ে বেশি কার্যকরী বলে জানা গেছে বিভিন্ন গবেষণায়। করোনা মহামারিতে দেশে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দিতে আবুল খায়ের গ্রুপ তাদের অক্সিজেন প্ল্যান্ট উন্মুক্ত করে দিয়েছে।

সরেজমিনে সীতাকু- উপজেলার শীতলপুর ইউনিয়নে অবস্থিত আবুল খায়ের স্টিল মিল ঘুরে জানা যায়, লিন্দে গ্রুপ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। এটি জার্মানির একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান। যা পৃথিবীর ১১০ টির বেশি দেশে অক্সিজেন উৎপাদন ও সরবরাহ করে থাকে। আবুল খায়ের গ্রুপ লিন্দে বাংলাদেশের মাধ্যমে ২০১২ সালে এ প্ল্যান্ট তৈরির কাজ শুরু করে। ২০১৫ সালে এ প্ল্যান্টের উৎপাদন শুরু হয়। মূলত ইস্পাত উৎপাদনের কাজে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও কার্বনের প্রয়োজন হয়। তাই তারা এ প্ল্যান্টটি স্থাপন করেছেন। এ প্ল্যান্টের উৎপাদিত গ্যাস তাদের নিজস্ব কাজে ব্যবহৃত হতো। এ প্ল্যান্ট থেকে দৈনিক ২৬০ টন অক্সিজেন উৎপাদন করা সম্ভব। সুতরাং, এটি দেশের সবচেয়ে বড় অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্ল্যান্ট।

আবুল খায়েরের এই অক্সিজেন প্ল্যান্টের সহকারি মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহার কাছে এ প্ল্যান্ট সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই প্ল্যান্ট দৈনিক ২৬০ টন অক্সিজেন উৎপাদন সম্ভব। আমরা এটি মূলত ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাজে ব্যবহার করতাম। ইন্ডাস্টিয়াল অক্সিজেন ও মেডিক্যাল অক্সিজেনের প্রসেসিং একরকম নয়। তাই আমরা গত কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে আমাদের প্ল্যান্টে মেডিক্যাল অক্সিজেন উৎপাদনের জন্য কিছু ইকুপমেন্ট নিয়ে আসি। পাশাপাশি বাইরে থেকে অক্সিজেনের জন্য ৩০০ পিস সিলিন্ডার ইমপোর্ট করি।’

করোনা সংকট পরবর্তীতে এ অক্সিজেন প্ল্যান্ট  নিয়ে বাণিজ্যিক কোন পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অক্সিজেন প্ল্যান্ট নিয়ে আমাদের বাণিজ্যিক কোনো পরিকল্পনা নেই। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নাম হল লিন্দে বাংলাদেশ। তারা তাদের সমস্ত ইকুপমেন্টসহ কারিগরি সহায়তা নেয় লিন্দে ভারত থেকে। বর্ডার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে একটি সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। ফলে আমাদের ডিএমডি (ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর) মেডিক্যাল অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। করোনা সংকট শেষ হয়ে গেলে আমরা মেডিক্যাল অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দিব।’

এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ম্যানেজার ও ইনচার্জ মো ইমরুল কাদের ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের এই প্ল্যান্টটি মূলত নিজস্ব উৎপাদন কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু দেশের এরকম একটি সংকট দেখে আমরা বিনামূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ সেবা প্রদান করার পরিকল্পনা নিয়েছি। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক আমরা আজকে (মঙ্গলবার) বিআইটিআইডিতে দশটি সিলিন্ডার প্রদানের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক অক্সিজেন সেবা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে এসেছি। পর্যায়ক্রমে আমরা দেশের সকল করোনা চিকিৎসার হাসপাতালে আমাদের সিলিন্ডার পৌঁছে দেব। এর আগে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালসহ সকল করোনা রোগীকে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। করোনা সংকট যতদিন থাকে, ততদিন পর্যন্ত যে কেউ আমাদেরকে তাদের সিলিন্ডার পাঠিয়ে বিনামূল্যে অক্সিজেন রিফিল করতে পারবেন।’

বন্দর থেকে ১৬ মে’র মধ্যে রেফার কনটেইনার ডেলিভারি না নিলে মাশুল চারগুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম বন্দরে রেফার কনটেইনার (ফ্রিজ সুবিধাসম্পন্ন কনটেইনার) রাখার একটি পয়েন্টও নেই। দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য এক হাজার নতুন পয়েন্ট (বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়ার পয়েন্ট) বাড়িয়ে ২৬০০ পয়েন্ট করা হলেও তা পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। এখন আর কোনা রেফার কনটেইনার রাখার জায়গা নেই বন্দরের ইয়ার্ডে। তাই বন্দরের ইয়ার্ডে পড়ে থাকা রেফার কনটেইনার ডেলিভারি নেয়ার জন্য তাগিদ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৬ মে’র মধ্যে এসব কনটেইনার ডেলিভারি না নিলে চারগুণ হারে স্টোররেন্ট (মাশুল) আদায় করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে চারগুণ হারে স্টোররেন্ট আদায় করা হবে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) স্বাক্ষরিত একটি আদেশও মঙ্গলবার জারি করা হয়েছে। এবিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ও সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে ১৬০০ রেফার কনটেইনার রাখার ধারনক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট সমস্যার কারণে গত ২৬ মার্চের পর থেকে অনেক আমদানিকারক কনটেইনার ডেলিভারি নেয়নি। এতে বন্দরে রেফার কনটেইনারের স্তূপ বাড়তে থাকায় নতুন করে আরো এক হাজার কনটেইনারের পয়েন্ট তৈরি (বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য) করা হয়। কিন্তু এখন তাও পূর্ণ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় দ্রুত কনটেইনার ডেলিভারি নিতে হবে আমদানিকারকদের।
জানা যায়, এসব রেফার কনটেইনার দিয়ে বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের ফল, পেঁয়াজ, আদা ও রসুন এসে থাকে। মূলত পচনশীল পণ্য এসব রেফার কনটেইনারে আনা হয়। অনেক আমদানিকারক ২০ ও ৪০ ফুটের এসব কনটেইনারগুলো ফ্রিজ হিসেবে বন্দরের ইয়ার্ডকে ব্যবহার করে এবং বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি করে। তবে ইয়ার্ডে নামার চারদিন পর থেকে প্রতি দিনে ২০ ফুট কনটেইনারের জন্য ৬ মার্কিন ডলার এবং ৪০ ফুট দীর্ঘ কনটেইনারের জন্য ১২ মার্কিন ডলার করে স্টোররেন্ট পরিশোধ করা হয়। আর এসবের সাথে যুক্ত হয় বিদ্যুৎ বিলের টাকা।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কারণে সাধারণ কনটেইনারও বেড়ে গিয়েছিল বন্দরের ইয়ার্ডে। কিন্তু সব ধরনের পণ্য অফডকে রাখার সিদ্ধান্ত দেয়ার পর কনটেইনারের জট কিছুটা কমেছে।

কোর্সেরায় মেতেছে ইডিইউ

 

অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় বিষয়। কর্মদক্ষতা ও ব্যবহারিক জ্ঞান উন্নত করার বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত প্লাটফর্ম ই-প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য প্লাটফর্ম হলো কোর্সেরা। আর বর্তমান সময়ে কোর্সেরার বিভিন্ন কোর্সে মেতে উঠেছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি পরিবার।
বৈশ্বিক মহামারী কভিড-১৯ এর কারণে স্বাভাবিক ক্যাম্পাস জীবন ব্যহত হওয়ায় চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি অতিদ্রুত চালু করে অনলাইন ক্লাস। কিন্তু কর্তৃপক্ষ অনুধাবন করে শুধুমাত্র ক্লাস কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের তৃষ্ণা মেটানো সম্ভব নয়। এরই প্রেক্ষিতে ঘরে বসেই যাতে ইডিইউ সংশ্লিষ্ট সকলে সমকালীন বিশ্বের সমপর্যায়ে নিজেদের উন্নত ও দক্ষ করে তুলতে পারে তার উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। তাই অনলাইনে জ্ঞানার্জনের বিশ্বের জনপ্রিয় প্লাটফর্ম কোর্সেরার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় ইডিইউ।
চুক্তির আওতায় ইডিইউ সংশ্লিষ্ট সকলেই ফ্রি’তে নিজেদের পছন্দের কোর্সে যুক্ত হতে পারবে। এমন সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি কেউই। তাই ডাটা সায়েন্স, ডাটা এনালিটিক্স, বিজনেস এনালিটিক্স, পাইথন, ডিজিটাল মার্কেটিং, গুগল আইটি সার্ভিস, প্রফেশনাল ইংলিশ, কন্টেন্ট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইন্টিগ্রেটেড মার্কেটিং কমিউনিকেশন ও লিডারশিপের মতো হালের জনপ্রিয় সব বিষয়ের অসংখ্য বিশেষায়িত কোর্সে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে নেয় ইডিইউ পরিবারের সদস্যরা। কোর্স নেয়ার ক্ষেত্রে নেই কোনো সীমাবদ্ধতা। অনেকগুলোতে কোর্সেই একে একে যুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
স্ব স্ব ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন পাঠদানের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ বিশ্বের নামকরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও প্রফেসররা তৈরি করেছে এসব কোর্স ও প্রোগ্রামগুলো। সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষায়িত প্রোগ্রামের আদলে তৈরি এ কোর্সগুলোতে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে ইডিইউর শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে বিশ্বের উন্নত বিদ্যাপীঠে পড়ার আমেজ। এবং নিজেদের সেই স্তরে উন্নীত করার সুযোগ।
নিয়মিত ক্লাসে চলমান থাকায় কেউ কেউ শুরুতে কোর্সগুলোয় যুক্ত না হলেও সেমিস্টার শেষ হওয়ায় এখন কোর্সেরার ধুম লেগেছে ইডিইউতে। ক্লাস ও এসেসমেন্ট শেষ হওয়ায় অফুরান সময়কে কাজে লাগানোর এমন সুবর্ণ সুযোগ প্রত্যেকেই কাজে লাগাচ্ছে, এমনটাই বললেন ইস্ট ডেল্টায় স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী সূর্য সেন।
স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রকিবুল কবির সম্প্রতি শেষ করলেন ‘বিজনেস এনালিটিক্স ফর ডিসিশান মেকিং’ কোর্সটি। ইডিইউ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এটি একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেকে সবসময়ই আধুনিক ও উন্নত রাখতে হয়। এক্ষেত্রে কোর্সেরার সঙ্গে ইডিইউর সংযুক্ত হওয়া আমাদের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা সকলেই লুফে নিয়েছে এ সুযোগ। নিজেদের একাডেমিক বিষয়ের বাইরেও নানা বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে চাইছে প্রত্যেকে।
ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, একজন মানুষের বিবিধ বিষয়ে আগ্রহ থাকে, কিংবা কর্মক্ষেত্রে বাড়তি অনেক কিছু জানার প্রয়োজন পড়ে। যা স্বাভাবিক সময়ের ব্যস্ততায় জেনে ওঠা সম্ভব হয় না। তাই বর্তমান স্থবির সময়কে কাজে লাগিয়ে ইডিইউ পরিবারের সদস্যদের প্রস্ফুটিত হবার সুযোগ করে দিতে ইডিইউর এই প্রয়াস। এর পাশাপাশি ইডিইউ নিয়মিত ওয়েবিনার ও ই-ওয়ার্কশপেরও আয়োজন করছে। এসব ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে দেশ-বিদেশের স্কলার ও প্রফেশনালরা ছড়িয়ে দিচ্ছেন তাদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান। বিজ্ঞপ্তি

৩৩, ২২ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ত্রাণ দিলেন ডা. শাহাদাত

২২নং এনায়েতবাজার ওয়ার্ডে ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করছেন ডা. শাহাদাত হোসেন

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, করোনা, ডেঙ্গুসহ সমস্ত ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে ব্লিচিং পাউডার বা ক্লোরিন সলিউশনই আমাদের একমাত্র অস্ত্র। করোনা ভাইরাস এর পাশাপাশি ডেঙ্গুর এডিশ মশার লার্ভা ধ্বংস করতে হলে ৫% ক্লোরিন সলিউশন জলকামান এর মাধ্যমে সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো নিয়মিত কিংবা একদিন পর পর যদি স্প্রে করে তাহলে এই রোগগুলোর প্রকোপ কমিয়ে আনা সম্ভব। তাছাড়া বাসা বাড়িসহ যত্রতত্র আমরা যাতে পানি জমিয়ে না রাখি সেটার দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ ডেঙ্গু রোগের এসিড মশা স্বচ্ছ পানিতে বংশবিস্তার করে।
আজ ১২ মে দুপুরে বাদশা মিয়া রোডস্থ নিজ বাসভবন এর সামনে ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গীবাজার ও ২২ নম্বর এনায়েত বাজার এবং ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের অসহায় দরিদ্র ৬ শতাধিক পরিবারের জন্য ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তরকালে তিনি একথা বলেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, উপদেষ্টা সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, ২২ নম্বর এনায়েত বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলী আব্বাস খান, ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, ২২ নম্বর এনায়েত বাজার ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রাশেদ উল্লাহ, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী মনোয়ারা বাবুল, বিএনপি নেতা মাহবুব আলম রানা, আমিনুর রহমান মিয়া, আবু মুসা, যুবদল নেতা মো. ওয়াসিম ইমরান সিদ্দীকি, জ্যাকশন মো. সাইফুল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি

চট্টগ্রাম আইনজীবী ভবনে বসলো হ্যান্ডওয়াশ বেসিন

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে হ্যান্ডওয়াশ বেসিন উদ্বোধন করেন অতিথিরা

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী ভবনের সামনে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধানে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধকল্পে মানুষের হাত ধোয়ার জন্য হ্যান্ডওয়াশ বেসিন স্থাপন করা হয় আজ ১২ মে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ম্যানেজিং বোর্ড সদস্য ও চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. শেখ শফিউল আজমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোকতার হোসেন। আরো উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইসা উদ্দিন, জেলা রেড ক্রিসেন্টের ইউনিট লেভেল অফিসার আবদুর রশিদ খান, সিটি রেড ক্রিসেন্টের ইউনিট লেভেল অফিসার মুহাম্মদ ইয়াহইয়া বখতিয়ার, জেলা ইউনিটের উচ্চমান সহকারী রফিকুল কাদের, যুব রেড ক্রিসেন্ট, চট্টগ্রামের যুব প্রধান মো. ইসমাইল হক চৌধুরী ফয়সাল। বিজ্ঞপ্তি

মাইজভাণ্ডারি গাউসিয়া কমিটি মোহরা শাখার উপহার বিতরণ

মোহরা গাউসিয়া কমিটির উদ্যোগে উপহার সামগ্রী বিতরণ করছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ

করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে সম্প্রতি ৪০টি পরিবারের মাঝে উপহারসামগ্রী বিতরণ করেছে মাইজভাণ্ডারি গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশের ৫ নম্বর মোহরা ওয়ার্ড শাখা।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নূরুন নবী সাহেদ। আরো উপস্থিত ছিলেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশের ৫ নং মোহরা ওয়ার্ড শাখা কমিটির সভাপতি ডা. এসএম কামরুজ্জামান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুহাম্মদ নাছের, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ মনজু, অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ মুসা, আল আমিন, শওকত, আরিফ পান, শোহেল, আরিফ, রুবেল, জাহেদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি

চকবাজার থানা ছাত্রলীগের ইফতার বিতরণ

পথচারীদের ইফতার বিতরণ করছেন চকবাজার থানা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ

নগরীর চকবাজারে পথচারী ও রিকশাচালকদের মাঝে ইফতার বিতরণ করেছে চকবাজার থানা ছাত্রলীগ। আজ ১২ মে দুপুর থেকে তারা ইফতার বিতরণ করে।
মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির নির্দেশনায় কাপাসগোলা কমিশনার কার্যালয় সামনে ছাত্রনেতা মুজিবুর রহমান রাসেল উদ্যোগে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চকবাজার থানা ছাত্রলীগ নেতা নেওয়াজ শরীফ অমি, অর্পণ বড়ুয়া, আশরাফ উদ্দিন সাকিব, চকবাজার ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা আবদুর রায়হান কিরন, নাবিল খান আবির, এছহাক খান তন্ময়, মো. মাসুম, রফিক সুলতান, ফরহাদুর রহমান ফয়সাল প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি

করোনা যোদ্ধাদের হাততালি দিয়ে উৎসাহিত করল পূর্বকোণ

করোনা প্রতিরোধে সম্মুখযোদ্ধাদের অভিবাদন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পূর্বকোণের উদ্যোগে পূর্বকোণ সেন্টারের সামনে “আমরাও জানি মানুষকে সম্মান দেখাতে, আমরাই বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মসুচিতে বক্তব্য রাখছেন পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. ম রমিজউদ্দিন চৌধুরী। পাশে অতিথিবৃন্দ এবং পূর্বকোণ পরিবারের সদস্যরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ঘড়ির কাঁটা টিক ৭টায়। তুমুল করতালি, ঢোল, ঘন্টি এবং গাড়ির হর্ণের শব্দে পুরো এলাকা প্রকম্পিত।  করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে এই আয়োজন।

দৈনিক পূর্বকোণ পরিবার গতকাল মঙ্গলবার পূর্বকোণ সেন্টারের সামনে “আমরাও জানি মানুষকে সম্মান দেখাতে, আমরাই বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মাতৃভূমিকে করোনাভাইরাসমুক্ত করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সামনের সারিতে কাজ করছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। মাঠে রয়েছেন পুলিশ, সেনাবাহিনী ও সংবাদকর্মী। করোনা প্রতিরোধে সম্মুখযোদ্ধাদের অভিবাদন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পূর্বকোণ এই কর্মসুচির আয়োজন করেছে। যে যেখানে ছিলেন সেখানেই দাঁড়িয়ে এক মিনিট হাততালি দিয়ে করোনাযোদ্ধাদের হাততালি দিয়ে উৎসাহিত করে এই কর্মসুচি সফল করে।

বক্তব্য রাখেন  বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খান, সিএমপি’র উপপুলিশ কমিশনার(উত্তর) বিজয় বসাক, পূর্বকোণ চেয়ারম্যান জসিমউদ্দিন চৌধুরী, সম্পাদক ডা. ম রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম এহসানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ নার্সিং ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধায়ক মোছা. ইনসাফি হান্না।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড্যাবের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, বিএমএ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, শুলকবহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম, পূর্বকোণের পরিচালক জাসির চৌধুরীসহ পূর্বকোণ পরিবারের সদস্যরা।

এতে বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খান বলেন, যারা জীবনের মায়া ত্যাগ করে নিজের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এটা বিশাল ত্যাগ। তাদের প্রতি সম্মান জানাতেই পূর্বকোণ আজ এই আয়োজন করার জন্য তিনি পূর্বকোণকে ধন্যবাদ জানান।

উপপুলিশ কমিশনার(উত্তর) বিজয় বসাক পূর্বকোণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই ধরনের উদ্যোগ তাদের কাজকে আরো বেগবান করবে। আমাদেরকে হাততালি দিয়ে সম্মাননা জানিয়েছে। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে আবার স্মরণ করে বলতে চাই জনগণই পুলিশ। পুলিশই জনগণ।

পূর্বকোণ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস’্যকর্মীরা এবং পুলিশ, সেনাবাহিনী ও সাংবাদিকসহ যারা সম্মুখযুদ্ধ করছেন তাদের সম্মান জানাতেই আজকের এই আয়োজন। পুলিশ, সাংবাদিক চিকিৎসক নার্স অনেকেই আক্রানত্ম হয়েছেন, মৃত্যুবরণ করেছেন। সবার জন্য প্রাণঢালা ভালবাসা। যারা অদৃশ্য শত্রম্নর বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করছেন তাদেরকে  সম্মান জানান তিনি।

পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. ম রমিজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জাতীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে আমরা একত্রে তালি দিয়ে এই করোনা ভাইরাসের দুর্যোগে চিকিৎসক, নার্সসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সংবাদকর্মীসহ সবাইকে উৎসাহ যোগানোর জন্য এই আয়োজন করেছি। যারা করোনাযুদ্ধে নিয়োজিত আছেন তাদেরকে দেশবাসী আজীবন স্মরণ করবেন।

যারা যেখানে কাজ করছেন সবাইকে আনত্মরিক মোবারকবাদ জানান তিনি। যাতে তারা আরো উদ্যামী হয়ে কাজ করতে পারেন তাদেরকে যথাযথ লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।

রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, জন্মের পর থেকেই ডাক্তারের সাথে পরিচয়। মৃত্যুর সময়ও ডাক্তার আমাদের পাশে থাকেন। ডাক্তারদের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আমাদের রাউজানের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী চিকিৎসকদের সেহরির ব্যবস্থা করেছেন। সেজন্য এমপি সাহেবকেও ধন্যবাদ জানাই। পূর্বকোণকেও ধন্যবাদ জানান তিনি।

 

 

 

চীনের উহানের বাসিন্দার স্বাস্থ্য পরীক্ষার ঘোষণা

ল্যাবে চলছে করোনা পরীক্সা

সুপ্রভাত ডেস্ক :

নতুন করে আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ায় চীনের উহানের ১ কোটি ৪০ লাখ বাসিন্দার স্বাস্থ্য পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, মঙ্গলবার উহানের কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধ সদর দপ্তর থেকে প্রত্যেক জেলা কর্তৃপক্ষকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে সব বাসিন্দার নিউক্লিক অ্যাসিড টেস্ট (ন্যাট) কীভাবে সম্পন্ন হবে সে ব্যাপারে একটি পরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঘোষণায় বলা হয়েছে, উহানের স্থায়ী ও অস্থায়ী সব বাসিন্দাদেরই পরীক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। বিশেষত আবাসিক এলাকা ও ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলের দিকে লক্ষ্য রাখা হবে।

গত ৩ এপ্রিলের পর উহানে কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। টানা ৩৭ দিন পর গত সপ্তাহে নতুন ছয় করোনা আক্রান্ত শনাক্তের পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে উহান কর্তৃপক্ষ।

নতুন আক্রান্তদের মধ্যে প্রথম যাকে শনাক্ত করা হয়েছে তিনি সানমিন নামের এক আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। তার বয়স ৮৯ বছর। জানা গেছে, মার্চের শুরুতেই তার দেহে করোনাভাইরাসের হালকা উপসর্গ দেখা যায়। কিন্তু, গত শনিবার তার করোনা শনাক্ত হয়। তাকে শনাক্ত করার পর ওই আবাসিক এলাকা ও তার আশেপাশের অঞ্চলের ৫ হাজার মানুষকে পরীক্ষা করে আরও ৫ জনকে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে উহান কর্তৃপক্ষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চীনা অধ্যাপক ও মহামারি বিশেষজ্ঞ জানান, নতুন পর্যায়ে সংক্রমণ এড়াতে গণহারে পরীক্ষা করা জরুরি। তিনি বলেন, ‘উহানের নতুন রোগীদের পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে যে, হালকা উপসর্গ বা উপসর্গহীন বাহকই দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের ক্ষেত্রে মূল ঝুঁকি।’

গত ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত উহানের প্রায় ১০ লাখ মানুষের নিউক্লিক পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানায় উহানের নগর স্বাস্থ্য কমিশন।

গত ডিসেম্বর মাসে চীনের মধ্যাঞ্চলের হুবেই প্রদেশের উহান শহরেই প্রথম নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত এ শহরে ৫০ হাজার ৩৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৩ হাজার ৮৬৯ জন। গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত শহরটি লকডাউনে ছিল। উহানের অধিকাংশ বাসিন্দাই সেসময় নির্দেশনা মেনে বাড়িতে ছিলেন।

 

এ মুহূর্তের সংবাদ

তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুলকে ট্যাগ করে যা বললেন সারজিস

গুমের ঘটনায় সেনা সদস্যের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির

টেলিকম নীতিমালায় সরকারের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তে বিএনপির উদ্বেগ

সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার

সর্বশেষ

তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুলকে ট্যাগ করে যা বললেন সারজিস

গুমের ঘটনায় সেনা সদস্যের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির

তিন বিমানবন্দরে ১৬ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে আজ রাতে

টেলিকম নীতিমালায় সরকারের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তে বিএনপির উদ্বেগ

সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি