নিজস্ব প্রতিনিধি, ফটিকছড়ি :
ফটিকছড়িতে ত্রাণের চাল মিলল ইউপি সদস্যের দোকানে
সাধারণ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত, যান চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে
সুপ্রভাত ডেস্ক :
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি আরেক দফা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, ঈদের ছুটির আগের চার দিন আর পরের দুই দিন মিলে এই সাধারণ ছুটি বাড়বে।
বাংলাদেশে ঈদের ছুটি রয়েছে ২৪, ২৫ ও ২৬শে মে।
সেক্ষেত্রে ২৮শে মে তারিখ পর্যন্ত ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হলেও পরের দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সাধারণ ছুটি হবে ৩০শে মে পর্যন্ত। গত ২৬শে মার্চ থেকে বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি চলছে।
মি. হোসেন বলেন, সাধারণ ছুটির সময় কড়াকড়ি থাকবে, এবং এ সময় গণপরিবহন যেমন বন্ধ থাকবে, তেমনই কোন ধরণের ব্যক্তিগত গাড়িও এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাতায়াত করতে পারবে না এবং শহরের মধ্যে এগুলোর চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
সবাইকে ঈদে নিজ নিজ বাড়িতে বা বর্তমান অবস্থানে থাকার জন্য তিনি আহবান জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, খুব দ্রুতই ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। ওই প্রজ্ঞাপনে ছুটির শর্তগুলো জানিয়ে দেয়া হবে।
এর আগে সর্বশেষ সাধারণ ছুটি ১৬ই মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ২৬শে মার্চ থেকে প্রথম দফার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
সাধারণ ছুটির কারণে সড়ক, নৌ, রেল ও বিমান পথে যাত্রীবাহী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তবে এরই মধ্যে গত ১০ই মে থেকে শর্তসাপেক্ষে দোকানপাট খুলে দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি এবং কিছু অফিসও এরই মধ্যে খুলেছে।
বাঁশখালীতে দুপক্ষের বিরোধে প্রাণ গেল এক ব্যক্তির
সংবাদদাতা, বাঁশখালী :
পূর্ব শত্রম্নতার জেরে বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০টায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক যুবক খুন হয়েছে।
তিনি এলাকার নেছার আহমদের পুত্র মাওলানা মো. খালেদ বিন ওয়ালিদ (২৩) । মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরো একজন যুবক গুরুতর আহত হয়েছে। তিনি আবু সালেকের পুত্র মাওলানা হাফেজ ইব্রাহিম (২২)। দুজনই পটিয়া উপজেলার এক মাদ্রাসা থেকে সম্প্রতি কামিল পাশ করেছেন। করোনা দুর্যোগের কারণে তারা নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিল।
বুধবার সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, পিপিএম ঘটনাস’ল পরিদর্শন করেন। খুনিদের দ গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইলশা গ্রামে নুরম্নল আবছারের মদিনা ব্রিক ফিল্ড ও দিদারম্নল আলম ঝুন্টুর এমবিএম ব্রিক ফিল্ড নিয়ে দীর্ঘদিন ধওে গোলাগুলি ও রক্তড়্গয়ী সংর্ঘষ চলে আসছিল। উভয়পড়্গে গত ৩ বছরে অনন্ত ১২ বার রক্তড়্গয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল। এই নিয়ে উভয়পক্ষে ১২/১৩টি করে মামলাও আছে। বেশ কয়েকবার পুলিশ অস্ত্রও উদ্ধার করেছিল।
পুরো বাঁশখালীর মানুষের কাছে এটা সন্ত্রাসী জোন হিসেবে বেশ পরিচিত। এই নিয়ে সম্প্রতি পুলিশের উপসি’তিতে দুই গ্রম্নপে বৈঠক করে মীমাংসাও করে দেয়া হয়। গত মঙ্গলবার রাতে দিদারম্নল আলম ঝুন্টু বাড়ির পাশে মসজিদে তারাবির নামাজ পড়ে ঘুরছিলেন। এই অবস্থায় কতিপয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে তিনি পালিয়ে প্রাণ রক্ষা পান।
সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া এলোপাতাড়ি গুলি মাওলানা মো. খালেদ বিন ওয়ালিদ এবং মাওলানা হাফেজ ইব্রাহিমের শরীরে বিদ্ধ হয়। সন্ত্রাসীরা ১০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে।
স্থানীয়রা আহত দুইজনকে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত ডাক্তার মো. খালিদকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত ইব্রাহিমকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এমবিএম ব্রিক ফিল্ডের মালিক দিদারুল আলম ঝুন্টু বলেন, আমি প্রাণে বেঁচে গেলেও আমার মামাত ভাই খুন ও আহত হয়েছে।
মদিনা ব্রিক ফিল্ডের মালিক নুরম্নল আবছার বলেন, ‘ ঝুন্টু ভাইয়ের সাথে বিরোধ আছে ঠিক। তা মীমাংসা হয়ে গেছে। আমার কোন লোক এই হত্যাকা- ঘটায়নি।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘পূর্ব শত্রম্নতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। তারপরও পুলিশ খুনিদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।’
নাজুক অর্থনীতির মুখে সৌদি আরব
বিবিসি বাংলা :
একটা সময় সৌদি আরবের পরিচিতি ছিল কর দিতে হয় না এমন একটি দেশ হিসেবে। তবে সম্প্রতি দেশটির নাগরিকদের জন্য করের হার বাড়ানোর পাশাপাশি আগামী মাস থেকে মাসিক ভিত্তিতে দেয়া সরকারি সহায়তা বাতিল করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
এমন এক সময় সৌদি কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তটি নিলো, যখন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বিশ্ববাজারে তেলের দাম অর্ধেকের বেশি কমার ফলে দেশটির সরকারের আয় ২২ শতাংশ কমে গেছে, আর স্থগিত হয়ে গেছে বড় কয়েকটি প্রকল্প।
রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি সৌদি আরামকো জানিয়েছে, এই বছরের প্রথম তিন মাসে প্রতিষ্ঠানটির লাভ ২৫ শতাংশ কম হয়েছে।
বিবিসি’র মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ মাইকেল স্টেফান্স বলেন, “সৌদি আরবের অর্থনীতির অবস্থা খুবই খারাপ, এবং স্বাভাবিক পর্যায়ে আসতে এর বেশ সময় লাগবে।”
সৌদি অর্থনীতির একটা বড় নির্ভরশীলতা এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অদক্ষ শ্রমিকদের ওপর। আর এই শ্রমিকদের অধিকাংশই ঘনবসতিপূর্ণ এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকেন।
অন্যদিকে, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তার নিজের দেশে বিপুল জনপ্রিয় হলেও সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজি হত্যার অভিযোগের তীর তার দিকে হওয়ায় পশ্চিমা বিশ্বের চোখে তিনি বেশ ঘৃণিত একজন ব্যক্তিত্ব।
২০১৮ সালে ইস্তানবুলের সৌদি দূতাবাসের ভেতরে সৌদি সরকারের কর্মকর্তাদের হাতে জামাল খাসোগজির নৃশংস হত্যার ঘটনার পূর্ণ তদন্ত কখনোই সম্পন্ন হয়নি।
তার উপর প্রায় পাঁচ বছর ধরে প্রতিবেশী দেশ ইয়েমেনের সাথে চলা যুদ্ধে সৌদি আরবের খুব একটা লাভ হয়নি।
অন্যদিকে কাতারের সঙ্গে চলা দ্বন্দ্বের কারণে ছয় দেশের গাল্ফ আরব কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) সদস্য দেশগুলোর মধ্যকার ঐক্যও টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে।
তাই প্রশ্ন উঠছে, সৌদি আরব কি আসলেই বড় ধরণের সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে?
‘উত্তরণের পথ রয়েছে’
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পৃথিবীর সব জায়গাতেই অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে – সৌদি আরবও এর ব্যতিক্রম নয়।
‘পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড’ নামে সৌদি আরবের একটি সার্বভৌম তহবিল রয়েছে, যার অর্থ মূল্য ৩২ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ( বা ব্রিটিশ মুদ্রায় ২৬ হাজার কোটি পাউন্ড)।
আবার তাদের সৌদি আরামকো – যে তেল কোম্পানিটির সিংহভাগের মালিকানা রাষ্ট্রের – রয়েছে।
গত বছর এই সংস্থাটির বাজারমূল্য নির্ধারিত হয় ১.৭ লাখ কোটি ডলার – যা দুটো বড় মার্কিন কোম্পানি গুগল এবং অ্যামাজনের একত্রিত মূল্যের চেয়েও বেশি।
ওই প্রতিষ্ঠানের মাত্র ১.৫ শতাংশ বিক্রি করে সৌদি আরব আড়াই হাজার কোটি ডলার পায়, যা শেয়ার বিক্রির হিসেবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লেনদেন।
২০০৭ থেকে ২০১০ পর্যন্ত রিয়াদে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা স্যার উইলিয়াম প্যাটি বলেন, এই অর্থনৈতিক মন্দা থেকে উত্তরণের জন্য সৌদি আরবের সামনে অনেকগুলো পথ রয়েছে।
“তাদের অর্থনীতি চালু রাখার জন্য তাদের হাতে প্রচুর অর্থের মজুদ রয়েছে এবং তেলের দাম কমে গেলেও তারা তাদের মার্কেট শেয়ার অপরিবর্তিত রেখে অথবা আরো শক্তিশালী করে ফিরে আসতে পারে।”
গত সেপ্টেম্বরে সৌদি তেল শোধনাগারে ইরানের মিসাইল হামলার পর এবং এরপর জানুয়ারিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর হামলায় ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড কমান্ডার কাসেম সোলেইমানির মৃত্যুর পর আপাতত ইরানের পক্ষ থেকে সৌদি আরবের প্রতি কোনো ধরণের হুমকি নেই বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসলামিক স্টেট গ্রুপ এবং আল কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত জঙ্গি বা জিহাদি গ্রুপগুলোর কাছ থেকে হুমকি অনেক কমে গেলেও সৌদি আরবের সামনে বেশ কয়েকটি বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
অর্থনীতি
গত কয়েক বছর সৌদি কর্তৃপক্ষের নেয়া সংস্কার কার্যক্রমের সুফল পাওয়ার আশা করছিলেন যেসব সৌদি নাগরিক, এ সপ্তাহে দেয়া সরকারি ব্যয় সঙ্কোচনের ঘোষণা তাদের অনেকের কাছেই অবাঞ্ছিত মনে হবে।
ব্যয় সঙ্কোচনের সিদ্ধান্তকে দেশটির অর্থমন্ত্রী নিজেই ‘দুঃখজনক পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এই বছরের প্রথম তিন মাসে বাজেট ঘাটতির পরিমান দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯০০ কোটি ডলার।
তবে এই প্রথমবারই যে সৌদি আরব ব্যয় সঙ্কোচনের পদক্ষেপ নিলো, তা কিন্তু নয়।
১৯৯৮ সালের মে মাসে আমি আবুধাবিতে জিসিসির একটি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলাম, যেখানে তৎকালীন যুবরাজ আবদুল্লাহ উপসাগরীয় অঞ্চলের শাসকদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে তেলের ওপর নির্ভর করলে আরব দেশগুলোর অর্থনীতি দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এর কিছুদিন পর তেলের প্রতি ব্যারেলের দাম ১০০ ডলারের বেশি হয়েছিল। তবে তার আগেই সরকার কোন প্রতিষ্ঠানে নতুন কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি এবং সারা দেশে সব ধরণের নির্মাণকাজ স্থগিত করেছিল।
তবে এবার পরিস্থিতি ওই সময়ের চেয়েও খারাপ হতে পারে।
তেলের দাম কমা এবং করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব – এই দুই ঘটনায় পুরো সৌদি আরবে সব ধরণের প্রকল্প থেমে গেছে। এখন প্রশ্ন উঠছে যে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়ন আসলে কতটা সম্ভব হয়ে উঠবে।
‘ভিশন ২০৩০’ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তেল বিক্রির লভ্যাংশ এবং বিদেশি শ্রমিকদের শ্রমের ওপর সৌদি অর্থনীতির যেই প্রথাগত নির্ভরশীলতা রয়েছে, তার পরিবর্তন।
সেই লক্ষ্যে মরুভূমিতে ‘এনইওএম’ নামের একটি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগে ভবিষ্যতের জন্য মানানসই একটি শহর তৈরি করা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ যদিও বলছে যে শহরের নির্মাণকাজ পুরোদমে চলছে, তবে বিশ্লেষকদের বিশ্বাস প্রকল্প সম্পন্ন হতে দেরী হবে।
মাইকেল স্টেফান্সের মতে, “সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বেসরকারি খাত। করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশটিতে নেয়া পদক্ষেপের কারণে এরই মধ্যে চাকরিদাতারা সমস্যায় পড়ছেন এবং এর ফলে দীর্ঘমেয়াদে ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।”
বৈশ্বিক অবস্থান
জামাল খাসোগজি হত্যা এবং তার মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার ঘটনায় বিশ্বের সামনে সৌদি আরবের ভাবমূর্তি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এমন কি লন্ডনে সৌদি রাষ্ট্রদূতও বলেছিলেন যে এই ঘটনায় ‘আমাদের ভাবমূর্তিতে দাগ’ তৈরি হলো।
ওই ঘটনার বিচারের সময় শীর্ষ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি আলোড়ন তোলে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে। জাতিসংঘও সে সময় দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে।
কিন্তু সৌদি আরব এত বড় এবং এত গুরুত্বপূর্ণ একটি অর্থনীতি যে বিশ্বের পক্ষে এটিকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়।
সম্প্রতি কৌশলগতভাবে বিভিন্ন খাতে হাই-প্রোফাইল বিনিয়োগের চেষ্টা করছে তারা – যেমন ব্রিটিশ ফুটবল ক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেডের ৮০ শতাংশ কিনে নিতে চাইছে তারা।
ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরব যে যুদ্ধবিমানগুলো ব্যবহার করেছিল, সেগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে নেয়া। কাজেই এই তিন পক্ষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগ রয়েছে।
সৌদি যুবরাজ – এবং কার্যত শাসক – মোহাম্মদ বিন সালমান নিজের প্রধান যে দুই মিত্রের ওপর নির্ভর করতে পারেন, তারা হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভ্লাদিমির পুতিন।
কিন্তু এ বছর ইচ্ছাকৃতভাবে তেলের বাজারে যোগান বাড়িয়ে দিয়ে ওই দুই নেতাকেই ক্ষুদ্ধ করেছেন তিনি। তেলের দাম কমার ফলে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া, এই দুই দেশের অর্থনীতিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইরানের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক এখনও স্নায়ুযুদ্ধের পর্যায়ে রয়েছে, তবে কাতারের সাথে সম্পর্ক অপেক্ষাকৃত ভালো।
আর দেশের ভেতরে নারীদের গাড়ি চালানোর সুযোগ দিয়ে, সিনেমা হল উন্মুক্ত করে, গাড়ির র্যালি আয়োজনের মত কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজ সংস্কারের চেষ্টা করছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
বাইরে থেকে দেখলে যা মনে হয়, তা হলো আগের চেয়ে সৌদি আরব অনেক কম উগ্র একটি জায়গা।
তবে পর্দার আড়ালে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন বেড়েছে। যুবরাজের নীতি নিয়ে সমালোচনা তো দূরের কথা, প্রশ্ন করার ফলেই অনেককে কারাদণ্ড পেতে হচ্ছে – যাদের অনেকের বিরুদ্ধেই ‘জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি’ হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়া, শাস্তি হিসেবে শিরশ্ছেদের প্রথা এখনও চালু রয়েছে এবং বরাবরের মতই মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনার অন্যতম কেন্দ্রে রয়েছে সৌদি আরব।
এ ধরণের পরিস্থিতির মধ্যেই আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে সৌদি আরব।
আর এসব সমালোচনার কারণে সৌদি আরবের মিত্র দেশগুলোও কখনো কখনো তাদের নিয়ে বিব্রত বোধ করে।
চৌত্রিশ বছর বয়সী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে অপ্রতিরোধ্য বলেই মনে হচ্ছে। তার ৮৪-বছর বয়সী পিতা বাদশাহ সালমানের সমর্থন রয়েছে তার পেছনে এবং সিংহাসনের সম্ভাব্য উত্তরাধিকারীদের পর্যায়ক্রমে সরিয়েও দিয়েছেন তিনি।
২০১৭ সালে রাজপ্রাসাদে আকস্মিক অভ্যুত্থানে সিংহাসনের দাবিদার মোহাম্মদ বিন নায়েফকে সরিয়ে যুবরাজ হন মোহাম্মদ বিন সালমান। এরপর এ রকম আরো অনেক সিনিয়র নেতা এবং রাজ পরিবারের সদস্যদের আটক করেন তিনি।
অপেক্ষাকৃত বয়স্ক এবং রক্ষণশীল সৌদি নাগরিকদের মধ্যে ‘এমবিএস’-এর রীতিবহির্ভূত সিদ্ধান্ত এবং নীতির সমালোচনা রয়েছে। তারা মনে করেন মোহাম্মদ বিন সালমানের নীতির কারণে সৌদি আরব ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে যাচ্ছে।
আবার বিদেশে ‘এমবিএস’-এর ভাবমূর্তি যেমনই হোক, সৌদি আরবের তরুণদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা ব্যাপক।
তরুণদের কাছে তিনি জনপ্রিয়, কারণ তারা তাকে সৌদি জাতীয়তাবাদের প্রতীক হিসেবে মনে করে। তবে তার জনপ্রিয়তার আরো বড় একটি কারণ হলো, তরুণরা মনে করে ‘এমবিএস’ তাদের একটি সমৃদ্ধিশালী অর্থনৈতিক ভবিষ্যত উপহার দিতে পারবেন।
তরুণদের ওই স্বপ্ন যদি পাঁচ বছর পর বাস্তবে রূপ না নেয়, তাহলে তখনই হয়তো বলা যাবে যে সৌদি রাজতন্ত্রের ভবিষ্যৎ সত্যিই নিরাপদ কি-না।
বাংলাদেশ বিমান : পুরনো টিকিটে ভ্রমণ করতে পারবেন
সুপ্রভাত ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাতিল হওয়া ফ্লাইটের যাত্রীরা পুরনো টিকিটেই ভ্রমণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
আজ বুধবার দুপুরে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাব্বির হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এতে বলা হয়, আগামী বছরের ১৪ মার্চ পর্যন্ত বিমানের অব্যবহৃত টিকিটে ভ্রমণ করা যাবে। চাইলে এই সময়ের মধ্যে যাত্রীরা টিকিট বাতিল করে অর্থ ফেরত নিতে পারবেন।
অর্থনীতি রক্ষায় ২০ লাখ কোটি রুপির প্যাকেজ ঘোষণা মোদির
সুপ্রভাত ডেস্ক :
করোনাভাইরাস মহামারির কবল থেকে দেশের অর্থনীতিকে রক্ষায় ২০ লাখ কোটি রুপির বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
গতকাল জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
এসময় মোদি বলেন, ‘এই আর্থিক প্যাকেজ আত্মনির্ভরশীল ভারতকে এগিয়ে দেবে। সব প্যাকেজ একসঙ্গে করলে ২০ লাখ কোটি রুপির মত হবে। যা দেশের জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশ। ২০২০ সালে ২০ লাখ কোটি রুপির প্যাকেজ আত্মনির্ভরশীল ভারত অভিযানকে নতুন গতি দেবে।’
লকডাউন বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে মোদি আরও বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা বলছেন- করোনাভাইরাস আরও কিছুদিন এখানে থাকবে। তাই বলে আমাদের জীবনকে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করুক, এটা হতে দিতে পারি না। আমাদের এর সঙ্গেই বাঁচতে হবে।
আমরা মাস্ক পরব এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখব, তবে আমাদের স্বপ্নগুলোকে কিছুতেই ত্যাগ করব না।’
এনিডিটিভি জানিয়েছে, ভারতের জনসংখ্যা ১৩৩ কোটি হিসেবে ধরলে প্রত্যেকের ভাগে ১৫ হাজারের কিছু বেশি রুপি পড়বে।
আজ বুধবার বিকালে বিশেষ এই আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা রয়েছে।
করোনাভাইরাস : বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ছুঁইছুঁই
সুপ্রভাত ডেস্ক :
মহামারি করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৯৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মঙ্গলবার গ্রীনিচ মান সময় ২২০০ টায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি একথা জানায়।
খবরে বলা হয়, কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে মোট ২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
এর মধ্যে কেবলমাত্র ইউরোপের দেশগুলোতে করোনায় ১ লাখ ৫৯ হাজার ২০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা ৮২ হাজার ছাড়িয়েছে।
এরপরের অবস্থানে থাকা ব্রিটেনে কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে মোট ৩২ হাজার ৬৯২ জনে, ইতালিতে ৩০ হাজার ৯১১ জনে এবং স্পেনে ২৬ হাজার ৯২০ জনে দাঁড়িয়েছে।
ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের সময়সীমা বাড়ল
সুপ্রভাত ডেস্ক :
অনাদায়ী ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের সময়সীমা আরও এক মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামী ১৫ জুলাই ২০২০ পর্যন্ত এই ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা যাবে।
ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে আজ বুধবার এ নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সাধারণ ও সংস্থা নির্বিশেষে সকল শ্রেণির ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ও পরিশোধের সুবিধার্থে আগামী ১ আষাঢ়, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ১৫ জুন ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়সীমা পুনঃবর্ধিত করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, প্রচলিত বিধি অনুযায়ী প্রতি বাংলা বছরের ৩০ চৈত্র তারিখের মধ্যে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়টি বিবেচনা করে গত ৯ এপ্রিল অনাদায়ী ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের সময়সীমা এক মাস করেছিল ভূমি মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ, আজ বুধবার (১৩ মে) ছিল বর্ধিত এ সময়সীমার শেষ দিন।
পোশাক শিল্প : যুক্তরাষ্ট্রে দু’বছর শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সুপ্রভাত ডেস্ক :
বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য আগামী দু’বছর শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহকারী ম্যাথিউ পটিনজারের সাথে ফোনে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা যেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরের ক্রয়াদেশ বাতিল না করে সে জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহায়তা চান ড. মোমেন।
এসময় করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই সহকারী। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
সমুদ্রে ভাসমান মিয়ানমারের অধিবাসী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ম্যাথিউ পটিনজার।
সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার দায়িত্ব কেবল বাংলাদেশের নয়। অন্যান্য দেশেরও উচিত তাদের আশ্রয় দেওয়া এবং দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন দেশে নিয়ে যাওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া ড. মোমেন বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য বন্ধুরাষ্ট্রসমূহের জোরালো ভূমিকা পালনেরও আহ্বান জানান। করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের জন্য বিশেষ বরাদ্দ প্রদানেরও অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশের বিনিয়োগের পরিবেশ ভালো উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান ড. মোমেন। তিনি দেশের ১০০টি অর্থনৈতিক জোনের মধ্যে কয়েকটি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক জোন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অনুরোধ করেন। তাছাড়া, বাংলাদেশে ২৮টি আইটি পার্ক তৈরি হচ্ছে এবং বাংলাদেশের পরিশ্রমী ও মেধাবী যুবকদের জন্য আইটি সেক্টরকে সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে তিনি এ খাতেও যুক্তরাষ্ট্রকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা ভুল তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্তকরে, হিংসাত্মক এবং ধর্মীয় উস্কানিমূলক প্রচারণা চালায়, কেবল তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বাংলাদেশের গণমাধ্যম অন্য যেকোন দেশের চেয়ে মুক্তভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভোগ করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে এখন পিপিই ও মাস্ক তৈরি হচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনে বাংলাদেশ থেকে এ সমস্ত চিকিৎসা সামগ্রী আরো বেশি পরিমাণ আমদানি করতে পারবে। বাংলাদেশের ঔষধ সামগ্রী যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরোধ করেন।
এসময় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী বিষয়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রেরিত এক পত্রের জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন হোয়াইট হাউসের এই মুখপাত্র।
টেকনাফে নির্মিত হচ্ছে ৩০০ শয্যার দুটি আইসোলেশন হাসপাতাল
জিয়াবুল হক, টেকনাফ :
কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথকভাবে নির্মিত হচ্ছে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট দুটি আইসোলেশন হাসপাতাল। আপাতত করোনা রোগীদের এই দুই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএমের অর্থায়নে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ও আইসিডিডিআর’বির অর্থায়নে ২০০ শয্যা বিশিষ্ট পৃথক দুটি আইসোলেশন হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে।
আইওএম কতৃক হাসপাতালটি তৈরি হচ্ছে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদার অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবিরে। অপরদিকে আইসিডিডিআর’বির কতৃক হাসপাতালটি তৈরি হচ্ছে উপজেলার আইসিডিডিআর’বির ডায়রিয়া হাসপাতাল কমপ্লেক্সে।
হাসপাতাল দুটির অবকাঠামোর কাজ চলছে । ইতিমধ্যে আইওএম কতৃক নির্মাণাধীন হাসপাতালের কাজ এই মাসের শেষের দিকে শেষ হবে। আগামী মাসের শুরু থেকে পুরোদমে চিকিৎসা সেবা চলবে। অপরদিকে আইসিডিডিআর’বি কর্তৃক হাসপাতালের কাজও চলছে । আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে এই হাসপাতালের কাজ শেষ হতে পারে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহি অফিসার সাইফুল ইসলাম সাইফ বলেন, টেকনাফের বিপুল স্থানীয় ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ চিন্তা করে পৃথকভাবে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট দুটি আইসোলেশন হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী উভয়কে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে পৃথক এই দুই হাসপাতালে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল বলেন, টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে এখনও পর্যন্ত কোন রোহিঙ্গা করোনায় আক্রান্ত হয়নি। তবে উপজেলাতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ জন। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ভবিষৎ চিন্তা করে টেকনাফে পৃথক দুটি আইসোলেশন হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে।
লেদা রোহিঙ্গা শিবিরে আইওএম কতৃক নির্মিত ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রোহিঙ্গা জনগোষ্টি ছাড়া শিবির সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। অপরদিকে আইসিডিডিআর’বি কতৃক নির্মিত ২০০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন হাসপাতালে উপজেলার স্থানীয়দের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।