Blog Page 2723

মিরসরাইয়ে বাড়ছে করোনা রোগী

রাজু কুমার দে, মিরসরাই

মিরসরাইয়ে এক দুই তিন করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। রোববার উপজেলায় দুই ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে একজন নিজ  বোনের সংর্স্পশে এসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী অন্যজন পুরুষ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এনিয়ে মিরসরাইয়ে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ছয়ে গিয়ে  ্েঠকেছে।

এদিকে সোমবার প্রচ- গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে উপজেলাবাসী। সকালে বিভিন্ন বাজারে সাধারণ মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও দুপুরে পরে লোক সমাগম কমতে তাকে। বারইয়ারহাট বাজারে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখতে করা হয় মাইকিং।

জানা গেছে, মিরসরাইয়ের করেরহাট ইউনিয়নের পশ্চিম অলিনগর গ্রামে গত ৭ মে একজন স্কুল ছাত্রীর করোনা শনাক্ত হয়। ৮ মে ওই ছাত্রীর সংর্স্পশে আসা ৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। রবিবার রাতে ওই ছাত্রীর ছোট বোনের করোনা পজেটিভ এসেছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। অন্যদিকে একই দিন উপজেলার হাইদকান্তি ইউনিয়নের এক ব্যক্তির করোনা পরীক্ষায় পজেটিভ এসেছে। তবে তিনি সরকারি চাকরির সুবাদে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থাকায় ওই উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে নমুনা দিয়েছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানূর রহমান।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানূর রহমান জানান, হাইদকান্তি ইউনিয়নে যে ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন তিনি রাঙ্গুনিয়ায় নমুনা দিয়েছেন। বর্তমানের তার বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়েছে।

করোনা ঠেকাতে হলে বদলাতে হবে অভ্যাস

চট্টগ্রামে প্রতিদিন কমপক্ষে এক হাজার নমুনা পরীক্ষা প্রয়োজন : বিএমএ নেতা

নাকে হাত দেওয়া ও মুখোমুখি কথা বলা বন্ধ করতে পারলে করোনা মোকাবেলা সম্ভব : জনস্বাস্থ্য রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক

শুভ্রজিৎ বড়–য়া :

নভেল করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সবচেয়ে কঠিন সমস্যা হলো সামাজিক সংক্রমণ। আক্রান্ত ব্যক্তিদের অনেকেরই কোন ধরনের উপসর্গ না থাকায় এই সামাজিক সংক্রমণ ঠেকাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সারা বিশ্বকে। চট্টগ্রামেও মহামারির প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে না কীভাবে তারা আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে শনাক্ত হওয়া আক্রান্ত ব্যক্তি ব্যতীত উপসর্গহীন আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিশেষজ্ঞগণ পরীক্ষার পরিমাণ বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছেন এবং পরামর্শ দিচ্ছেন মানুষের দৈনন্দিন অভ্যাস পরিবর্তনের।

চট্টগ্রামে গত রোববার নতুন শনাক্ত ৪৯ জনসহ বর্তমান করোনা রোগীর সংখ্যা ২৬৮ জন। এর মধ্যে ঢাকা, রাজবাড়ী, কুমিল্লা ও কক্সবাজারে শনাক্ত ৭ জনও রয়েছেন। তারমধ্যে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ৬৭ জন। বর্তমানে ২০৬ জন রোগী আইসোলেশনে আছেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২২৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১৯ জন।

বেশ কয়েকজন আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা কিভাবে আক্রান্ত হয়েছেন তা তারা জানেন না। অনেকে আবার দাবি করছেন, তারা বিভিন্ন প্রয়োজনে বাহিরে গেলেও সামাজিক দূরত্ব মেনে এবং মুখে মাস্ক পড়েছিলেন। গতকালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নতুনভাবে শনাক্ত ৪৯ জনের মধ্যে একজন চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ছোট ভাই। তার বয়স ৩২ এবং তিনি বর্তমানে নগরীর নাসিরাবাদ এলাকার মেয়র গলির নিজ বাসস্থানে অবস্থান করছেন।

তিনি কিভাবে আক্রান্ত হলেন জানতে চাইলে তার মা হাসিনা মহিউদ্দিন সুপ্রভাতকে বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে ঢাকায় তার সন্তান হয়। তাই সে ঢাকা ছিলো। ঢাকা থেকে গত ৩০ এপ্রিল  চট্টগ্রামে আসে। ঢাকা-চট্টগ্রামের এ যাতায়াত ছাড়া সে বাড়ির বাইরে যেতো না। কিন্তু গত কিছুদিন আগে বাসার নিচে কিছু কাঠের কাজ করা হয়। সে তদারকির জন্য নিচে গিয়েছিলো। এরপর থেকে তার অ্যাজমার সমস্যা দেখা দেয়। অবশ্য তার আগে থেকেই ডাস্ট এলার্জি সমস্যা আছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘তার এই সমস্যার কথা শুনে আমাদের জামাতা তার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করায়। গতকাল রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা এখন সম্পূর্ণ ভালো। সে এখন আমাদের বাসার তিনতলায় সম্পূর্ণ আলাদা একটি রুমে নিজেকে আইসোলেট করে রেখেছে। তবে রিপোর্টটা নিয়ে আমাদের সংশয় থাকায় আমরা আবার তার নমুনা পাঠানোর কথা ভাবছি।’

এ ঘটনাসহ আরো বেশ কয়েকটি ঘটনা জানিয়ে চট্টগ্রাম জেলা জনস্বাস্থ্য রক্ষা কমিটির আহবায়ক ডা. মাহফুজুর রহমানের কাছে সামাজিক সংক্রমণ ও তা মোকাবেলা করার কৌশল জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘সামাজিক সংক্রমণ ঠেকাতে আমাদের পুরনো যা যা অভ্যাস আছে, তা বাদ দিতে হবে। এক্ষেত্রে বাঙালিদের আলাদাভাবে দোষ দেয়াটা ঠিক নয়। সারা বিশ্বের সকল মানুষই একে অপরের সাথে যোগাযোগ রাখার ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক। ফলে সবাই সবার কাছাকাছি চলে যায়, মুখোমুখি দাঁড়ায় এবং কথা বলে। তাই এ করোনা সংক্রমণের সঙ্কটপূর্ণ মুহূর্তে আমাদের পুরনো অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। ’

অনেকে মুখে মাস্ক পরছে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে বাইরে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন। এই নিয়ম মেনে চলার পরেও কিভাবে সংক্রমিত হচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাস্ক পরলে কারো যদি হাঁচি বা কাশি হয় তার বড় ড্রপলেটগুলো সেখানে আটকে যায়। কিন্তু ১২০ ন্যানোমিটারের ভাইরাস আটকানো কাপড়ের বা সার্জিক্যাল মাস্কের পক্ষে সম্ভব নয়। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়টি নিয়ে সংশয় আছে। কারণ আমরা কথা বলতে বলতে একটা মানুষের খুব নিকটে চলে যাই। এটি এ সময়ের জন্য আমাদের স্বভাবজাত সমস্যা। তাই রাস্তায় চলাচলে সামাজিক দূরত্ব মানলেও কথা বলার সময় আমাদের আরো সাবধান হতে হবে।’

কী ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করলে করোনাভাইরাস এ সংক্রমিত হওয়া থেকে বাঁচা যাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মুখে মাস্ক পরলেও সামাজিক দূরত্ব অর্থাৎ তিন ফুট দূরে থাকাটা নিশ্চিত করতে হবে। এরপরেও কথা বলার সময় মুখোমুখি হয়ে কথা বলা যাবে না। অর্থাৎ কেউ যখন কারো সাথে কথা বলবে তার দিকে না তাকিয়ে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে কথা বলতে হবে। এরপর বাইরে থেকে বাসায় ফিরে তার কাপড়-চোপড় আনটাচড (স্পর্শ হয় না এমন) কোন একটি জায়গায় রাখতে হবে। ২৪ ঘণ্টা আনটাচ অবস্থায় কাপড়-চোপড়ের এ ভাইরাস লেগে থাকলেও সেটি সেখানে মারা যাবে। আর সর্দি, কাশি, হাঁচি ও জ্বর এ ধরনের কোন সমস্যা থাকলে নিজেকে ঘরের মধ্যে আলাদা করে রাখতে হবে। বেশি খারাপ অবস্থা মনে হলে হাসপাতালে সাবধানতার সাথে যেতে হবে।’

বর্তমানে পোশাক ও শিল্প কারখানাসহ অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাধারণ ছুটি শেষ করে কাজে ফিরেছেন। ফলে সামাজিক সংক্রমণের সম্ভাবনা আরো বাড়ছে। এই সংক্রমণ মোকাবেলায় কী করা যায় তা জানতে চাওয়া হয় বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক ফয়সল চৌধুরীর কাছে। তিনি বলেন, ‘সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতা ও সাবধানতার বিকল্প কিছু নেই। এরপরেও আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা প্রয়োজন। আর শনাক্ত করার জন্য টেস্টের পরিমাণ বাড়াতে হবে। চট্টগ্রামে প্রতিদিন কমপক্ষে এক হাজার নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। চট্টগ্রামে অনেক ডায়াগনস্টিক ল্যাবে আরটি-পিসিআর মেশিন আছে। কিন্তু পরীক্ষার জন্য বায়োসেফটি রুমের প্রয়োজন। চট্টগ্রামের হালিশহরের শেভরনে বায়োসেফটি রুম আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে শেভরনের মালিকদের সাথে কথা বলেছি। সরকার যদি তাদের পরীক্ষার অনুমোদন দেয় এবং কিট সরবরাহ করে তাহলে শেভরনে পরীক্ষা করা সম্ভব। এতে করে পরীক্ষার কোয়ান্টিটি আরো বাড়বে।’

পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্তের পরিমাণ বাড়লে আক্রান্তদের আইসোলেট করার প্রয়োজন সৃষ্টি হবে। হাসপাতালে বেড সংকট এড়াতে কিী করা যায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে হাসপাতালে সংকট হত না। কিন্তু সরকারিভাবে বেশ কিছু হুজুগে সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। যদি সরকারিভাবে প্রথম অবস্থায় বেসরকারি হাসপাতালগুলোর যেকোনো একটি হাসপাতালকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে নিতো, তাহলে হাসপাতালে সংকট হতো না। সে ক্ষেত্রে চট্টগ্রামে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোকে ব্যবহার করা যায়। এই সিদ্ধান্ত নিলে নতুনভাবে যেসব হাসপাতালগুলো তৈরি করছে, তাতে যে খরচ হচ্ছে এবং হবে তার তুলনায় অনেক কম খরচে আরো বেশি শয্যার হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা সম্ভব হবে।’

বকেয়া বেতনের দাবিতে আগ্রাবাদে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বকেয়া বেতনের দাবিতে ইপিজিডের মেসার্স পাপেলা সুজ লিমিটেডের দুটি কারখানার কয়েকশ শ্রমিক দ্বিতীয় দিনের মতো আজও সড়কে বিক্ষোভ করেছে। সকাল ১০টার দিকে আগ্রাবাদ এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অফিসও ঘেরাও করে শ্রমিকরা।

এর আগে গতকাল রোববারও বকেয়া বেতনের দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ করেন পাপেলা সুজ লিমিটেডের দুটি কারখানার কয়েকশ শ্রমিক। ডবলমুরিং থানা পুলিশ জানিয়েছে, গত ১০ মে পাপেলা সুজ লিমিটেডের দুটি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মার্চ ও এপ্রিল মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু বিকাশের মাধ্যমে শ্রমিকদের টাকা পরিশোধ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। কর্তৃপক্ষ আগামী ১৩ মে বেতন পরিশোধ করার কথা বললে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে সড়কে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) জেনারেল ম্যানেজার মো. খুরশীদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, গত ১০ মে মেসার্স পাপেলা সুজ কারখানা শ্রমিকদের দুই মাসের বেতন পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু বিকাশে টাকা পরিশোধ করা নিয়ে সমস্যা দেখা দিলে আগামী ১৩ মে বেতন পরিশোধ করার কথা শ্রমিকদের জানায় কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এক পযায়ে  তারা বেতনের দাবিতে প্রতিষ্ঠানটির আগ্রাবাদ হেড অফিস ঘেরাও করে।

ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাস জানান, ইপিজেডে পাপেলা সুজ কারখানার কয়েকশ শ্রমিক বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে তাদের  আগ্রাবাদ হেড অফিস ঘেরাও করে। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।

প্রসঙ্গত, ইপিজেডের চার নম্বর রোডে পাপেলা সুজ লিমিটেডের পোশাক ও জুতা তৈরির প্রতিষ্ঠানে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে বলে জানা গেছে।

উৎসবভাতা পাচ্ছে না সিএমপি’র ৯৭ বাবুর্চি ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী !

নিজস্ব প্রতিবেদক :

গত কোরবানির ঈদ থেকে কোন উৎসব ভাতা পাচ্ছেন না নগর পুলিশে কর্মরত ৯৭ জন বাবুর্চি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তাদের দাবি, এর আগে প্রতিটি ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় উৎসবে তারা ভাতা পেয়ে আসছিলেন। এবার ঈদেও তারা উৎসব ভাতা পাবেন না। এতে তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। 

জানা গেছে, নগর পুলিশে ৯৭ জন বাবুর্চি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছেন। তারা গাউছিয়া ট্রেডার্স নামে একটি কোম্পানির মাধ্যমে অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত। এর মধ্যে পুলিশ কমিশনারের বাসায় ৪জন, সিএমপির বিভিন্ন বিভাগের উপকমিশনাদের বাসায় ২জন করে কর্মরত। বাকিরা ১১টি পুলিশ মেস, ১০টি ট্রাফিক মেস ও ৬টি ব্যারাকে কর্মরত। বর্তমানে বাবুর্চি ১৭ হাজার ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ১৬ হাজার ৬০০ টাকা মাসিক বেতন পাচ্ছেন। তারা কোন উৎসব ভাতা পাচ্ছেন না।

নাম প্রকাশ না করে একজন বাবুর্চি বলেন, ঈদুল আযহা, ঈদুল ফিতর, দুর্গাপূজা, বাংলা নববর্ষসহ রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় দিবসে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্মচারিদের উৎসব ভাতা দিলেও সিএমপির বাবুর্চি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

আরেক পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলেন, সারা বছর চাকরি করে বেতনটা শুধু পাই। সামনে ঈদ। পরিবারের লোকজনদের কিছু কিনে দিতে হবে। শুধু বেতনের টাকা দিয়ে উৎসব পালন করা কষ্টকর হয়ে পড়বে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজে যেতে হয়।

গাউছিয়া ট্রেডাস এর মালিক মোহাম্মদ তানভীর বলেন, বাবুর্চি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য উৎসব ভাতাটা দীর্ঘদিন ধরে চালু ছিল। কিন্তু গত বছর পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়া হয়।

 ৯৭ জন কর্মচারিকে কাজ ভাগ করে দেয়ার জন্য সিএমপিতে কুকু চাকমা নামের এক উপ-পরিদর্শক কাজ করেন। তিনি বলেন, গত বছর থেকে বাবুর্চি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বেতন বাড়িয়ে দিয়ে পুলিশ হেড কোয়াটার উৎসব ভাতা বন্ধের প্রজ্ঞাপন জারি করে। যার কারণে তাদের উৎসব ভাতা দেয়া হচ্ছে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুবর রহমান।

অনলাইনে চলছে বেসরকারি স্কুল

করোনায় শিক্ষা ব্যবস্থা

ভূঁইয়া নজরুল :

দেবমাল্য চক্রবর্তী সেন্ট প্লাসিডের ফাদার ফ্রেবিয়ান স্কুলের কেজি শ্রেণীর শিক্ষার্থী। করোনাকালে স্কুলবিহীন বাসায় বন্দিজীবন কাটছে। আর এরই মধ্যে চলতি সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া স্কুলের অনলাইন ভিডিও ক্লাস করতে পেরে সে খুব আনন্দিত। দীর্ঘদিন পর ক্লাস শিক্ষকদের দেখতে পেয়ে যেনো নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। বিকল্প উপায়ে ক্লাসে ফিরতে পেরে ওর মতো এধরনের অনেক শিক্ষার্থীর ঝিমিয়ে পড়া পড়ালেখায় যেনো গতির সঞ্চার হয়েছে।

শিক্ষকরাও নতুন নতুন পদ্ধতি নিয়ে হাজির হচ্ছেন। কেউবা বাসায় হোয়াইট বোর্ড স্থাপন করে ক্লাসের আদলে ক্লাস নিয়ে তা ভিডিও করে ফেইসবুকে আপলোড করে পাঠাচ্ছে শিক্ষার্থীদের দিচ্ছে। আবার কেউবা জুম ভিডিও অ্যাপসের মাধ্যমে সরাসরি ক্লাস করছেন, আবার কেউবা ক্লাসের বিষয়াদি শিক্ষার্থীদের কাছে অনলাইনে পৌঁছে দিচ্ছে। দূর শিক্ষণের মাধ্যমে কিভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা যায় সেই চেন্তায় মত্ত শিক্ষকরা।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক রাজীব চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের স্কুল থেকে জুম ভিডিও’র মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতিদিন রুটিন অনুযায়ী ক্লাস নিচ্ছি। এতে শিক্ষার্থীরা ক্লাসের মাঝখানে আমাদের প্রশ্ন যেমন করতে পারছে, তেমনিভাবে আমরা উত্তরও দিচ্ছি। নতুন এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়ে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে।

শুধু চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নয়, নগরীর সরকারি স্কুলগুলো ছাড়া বেসরকারি প্রায় সব স্কুলেই চলছে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম। এদের মধ্যে কেউবা ভিডিও আপলোড করছে, আবার কেউবা লাইভ ক্লাস নিচ্ছে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত একটি কলেজে শিক্ষকতা করেন মিসেস তানিয়া পিয়া। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে জারিফ ইয়াছার এলিমেন্টারি স্কুলে ক্লাস ফাইভে পড়ে। লকডাউন শুরু হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই অনলাইনে বিষয় ভত্তিক শিক্ষকরা লাইভ ক্লাস নিচ্ছেন। আমাদেরকে সেই রুটিনও স্কুল থেকে দিয়ে দেয়া হয়েছে। রুটিন অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা ক্লাস পাচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আরো বাড়ছে বলে মনে হয়।’

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এমনও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা কোনোদিন ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তা নেয়নি তারাও এবার প্রতিষ্ঠানের নামে ফেইসবুক খুলে শিক্ষার্থীদের পড়া দিচ্ছে। এবিষয়ে কথা হয় ছোটোদের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেন্ট মেরিসের অধ্যক্ষ মেরি সঙ্গীতা বলেন, ‘আমরা প্রতিষ্ঠানের নামে একটি ফেইসবুক একাউন্ট খুলেছি। সেই পেইজে শ্রেণীভিত্তিক শিক্ষকদের ক্লাসের ভিডিও আপলোড করে দেয়া হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা বাসায় বসে পড়ালেখার সুযোগ পাচ্ছে।’

অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা কি হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সিলেবাস অনুযায়ী পড়া শেষ করার চেষ্টা করছি। ঈদের ছুটির পর স্কুল খুললে পরীক্ষা নেয়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। যদি পরীক্ষা নেয়ার কোনো সুযোগ না হয় তাহলে পড়ালেখা যাতে চালিয়ে নেয়া যায় আমরা সেই চেষ্টা করছি।

অপরদিকে নগরীর অন্যতম প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মহিলা সমিতি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ জয়শ্রী সেন বলেন, আমাদের কিছু শিক্ষক ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনলাইনে ক্লাস নিলেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমরা এখনো শ্রেণী কার্যক্রম শুরু করিনি।

তবে এগিয়ে রয়েছে ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। নগরীর অন্যতম এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে প্রতিটি শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও শ্রেণী শিক্ষক দিয়ে একেকটি ওয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করা হয়েছে। এই গ্রুপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিজস্ব একটি অনলাইন আইডি রয়েছে। সেই আইডিতে কি কি পড়তে হবে তা জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জুম ভিডিওর মাধ্যমে অনলাইনে লাইভ ক্লাসের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া ওয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে শ্রেণী শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ রাখা হয়েছে এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে।’

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইন শিক্ষায় এগিয়ে এলেও নগরীর সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সংসদ টেলিভিশনের ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের উপর নির্ভরশীল। এবিষয়ে সরকারি মুসলিম হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হায়দার হেনরি বলেন, ‘মূলত আমরা সংসদ টেলিভিশন ফলো করতে বলেছি শিক্ষার্থীদের। তারপরও বিষয়ভিত্তিক কিছু ক্লাস আপলোড করা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের নামে চালু করা ফেইসবুক পেইজে।’

তারপরও সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সংসদ টেলিভিশনের বাইরে যাচ্ছে না জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক দেবব্রত দাশ বলেন, ‘আমরা সব প্রতিষ্ঠানকে সংসদ টেলিভিশনের অনুষ্ঠান ফলো করতে বলেছি। পরবর্তীতে স্কুল খুললে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে কিংবা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হবে।’

উল্লেখ্য, করোনার কারণে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে ল-ভ- হয়ে যাচ্ছে দেশের শিক্ষা ক্যালেন্ডার। এই অবস্থায় যে যার অবস্থান থেকে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে কাজ করছে।

ভার্চুয়াল কোর্ট : হালদায় ডলফিন হত্যা বন্ধে রিট

নিজস্ব প্রতিবেদক

হালদা নদীতে ডলফিন হত্যা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে সোমবার হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ভার্চুয়াল কোর্টে শুনানির জন্য রিটটি দায়ের করা করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম। তিনি জানান, রিটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ সচিব, স্থানীয় নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদি করা হয়েছে। আদালত তারিখ ঠিক করলে রিটের শুনানিও হবে বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, হালদায় নির্বিচারে ডলফিন হত্যা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনার পাশাপাশি ডলফিন হত্যা বন্ধে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানাতে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে ওই রিটে।

‘বন্যপ্রাণী আইন ২০১২ অনুযায়ী নির্বিচারে কোনো প্রাণী হত্যা করা যাবে না। এটা অপরাধ। কিছু অসাধু লোক নিষ্ঠুরভাবে এসব নিরহী প্রাণীকে হত্যা করেছে বলেন,আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম।

তিনি বলেন, ‘লকডাউনের এ সময় যখন প্রকৃতি তার নিজস্ব রূপে ফিরে আসছে, কক্সবাজার সমুদ্র  সৈকতেও ফিরে আসছে ডলফিন; এ অবস্থায় প্রাণীগুলোকে হত্যা করে পরিবেশের জন্য ক্ষতি করছে তারা। লকডাউনের এই সময়ে বিষয়টি জরুরি উল্লেখ করে আবেদন করেছি।’

করোনাকে হার মানালো আরো একজন

3D illustration of Coronavirus, virus which causes SARS and MERS, Middle East Respiratory Syndrome

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল থেকে করোনাকে হার মানিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন আরো একজন। তার নাম রিজিয়া বেগম (৫০)। তিনি নগরীর বায়েজিদ এলাকার বাসিন্দা। আজ  শুক্রবার রাত ৮ টায় তাকে করোনামুক্ত ঘোষণা করে বাড়ি পাঠানো হয়।

এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন বিভাগের সমন্বয়ক ডা. আব্দুর রব। তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা দুইজনকে রিলিজ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুধু রিজিয়া বেগমকে রিলিজ দিয়েছি। অন্যজনের অবস্থা বিবেচনা করে কাল পরশু রিলিজ দিয়ে দিব। রিজিয়া বেগম এখন সম্পূর্ণভাবে সুস্থ। তার একটা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আমরা তাকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছি এবং বলেছি, ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতে।’

আইসোলেশন ইউনিটের বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনতো আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই আইসোলেশন ইউনিটেও রোগীর সংখ্যা বেশি। বর্তমানে শুধু পজেটিভ রোগী আছে ৪০ জন। তারমধ্যে ২৯ জন পুরুষ ও ১৪ জন মহিলা। এছাড়া সাসপেক্ট রোগী আছে ১৮ জন। তারমধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণে আমরা সিরিয়াস রোগীদের রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া অন্যান্য রোগীদের বাসায় রেখে প্রদান করছি।’

চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৭ জন হলো। গত ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিল্লা ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল। এরমধ্যে সাতকানিয়ার এক বৃদ্ধ একজন মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, পটিয়ায় ৬ বছরের এক শিশু মারা গেছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দেড় ঘন্টার মধ্যে, সরাইপাড়া লোহারপুল এলাকার এক নারী মারা যাওয়ার পর করোনায় শনাক্ত হয়েছেন, নিমতলা এলাকার এক নারী মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, সরাইপাড়া লোহারপুল এলাকায় এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, সাগরিকার এক নাইটগার্ড মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, মোহরার এক নারী মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন এবং সর্বশেষ এনায়েত বাজারের লোকটি মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হলো। এছাড়া ৬ মে পাহাড়তলী লাকী হোটেল মোড় এলাকার বাসিন্দা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এছাড়া গত ৬ মে মারা যাওয়ার পর নমুনা রিপোর্টে করোনা শনাক্ত হয়েছেন তিনজন, ৭ মে বৃহস্পতিবার সাগরিকা এলাকার এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এনিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৩ জনে দাঁড়ালো। এছাড়া সর্বশেষ সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৪৯ জন।

এ মুহূর্তের সংবাদ

চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জন করোনা আক্রান্ত

ক্রীড়াঙ্গনের তিন অ্যাসোসিয়েশন ‘বিলুপ্ত’ ঘোষণা

সচিবালয়ে বুধবার প্রত্যেক মন্ত্রণালয় থেকে মিছিলের ডাক

অতি ভারী বৃষ্টির আভাস, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

যাত্রা শুরু করলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২

সর্বশেষ

চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জন করোনা আক্রান্ত

ক্রীড়াঙ্গনের তিন অ্যাসোসিয়েশন ‘বিলুপ্ত’ ঘোষণা

সচিবালয়ে বুধবার প্রত্যেক মন্ত্রণালয় থেকে মিছিলের ডাক

অতি ভারী বৃষ্টির আভাস, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত