৭ নভেম্বরের চেতনা আমাদের প্রেরণার উৎস : ডা. শাহাদাত

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর আধিপত্যবাদীচক্রের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্ররক্ষার দৃঢ় প্রত্যয়ে সিপাহি-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল। ৩ থেকে ৬ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর অনিশ্চিত অবস্থা বিরাজ করছিল। হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছিল আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব। সেদিন সিপাহি-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমেই রক্ষা পায় সদ্য অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা। নস্যাৎ হয়ে যায় স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র। ক্যান্টনমেন্টের বন্দিদশা থেকে জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে মুক্ত করে বিপ্লবী সিপাহিরাা। তাদের বিপ্লবের মাধ্যমে আধিপত্যবাদ, একনায়কতন্ত্র ও একদলীয় শাসনের অবসান ঘটেছিল। ৭ নভেম্বরের উত্তাল দিনগুলির ন্যায় আজও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন। এ অবস্থায় দেশপ্রেমিক জনগণকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনায় তীব্র আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
তিনি ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গতকাল বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ২ নম্বর গেটস্থ বিপ্লব উদ্যানে র‌্যালি ও পুষ্পস্তবক অর্পণ পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শামীম বলেন, আধিপত্যবাদী শক্তির তাঁবেদার একদলীয় সরকারের দুঃশাসনে দেশের মানুষ আজ নির্যাতিত। গণতন্ত্রকে দেয়া হয়েছে নির্বাসনে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। সরকারি দল ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড এক রকম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইন আদালত, গণমাধ্যম সবই সরকারের নিয়ন্ত্রণে। বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে নিতে দেশের প্রধান বিচারপতিকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। তাই ৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, জাতীয় জীবনে ৭ নভেম্বর এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭৫ সালের এদিনে জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সৈনিক-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে এসেছিল সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে। ৭ নভেম্বরের চেতনা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রেরণার উৎস। ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত রুখে দেয়ার জন্য অকুতোভয় সিপাহি-জনতা ইস্পাতকঠিন ঐক্যে শপথবদ্ধ হয়ে ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক বিপ্লব সংঘটিত করেন। এই ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনাকে ধারণ করে গণজাগরণ সৃষ্টির মাধ্যমে বর্তমানে অগণতান্ত্রিক সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নেমে আসতে হবে।
ডা. শাহাদাত বলেন, বর্তমানে আবারো বিদেশি শক্তির ক্রীড়নক সরকার রাষ্ট্রক্ষমতা জোর করে আঁকড়ে ধরেছে। সরকারের নতজানু নীতির কারণেই দেশের সার্বভৌমত্ব দিনের পর দিন দুর্বল হয়ে পড়েছে। একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচনে দেশের গণতন্ত্র আজ মৃতপ্রায়।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বর্তমান গণতন্ত্রের লেবাসে দেশে আধিপত্যবাদীশক্তির তাঁবেদারেরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে বিরোধীদলের ওপর চালাচ্ছে দমন-নিপীড়ন। দেশ আজ নানামুখী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের জালে জড়িয়ে পড়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন। তা নেওয়া বহুমুখী পরিকল্পনার অংশ হিসাবে দেশ আজও এগিয়ে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন-এর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সহসভাপতি মো. মিয়া ভোলা, সামশুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, হারুন জামান, মাহবুবুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, ইকবাল চৌধুরী, এসএম আবুল ফয়েজ, জাহিদুল করিম কচি, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক এসএম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক শাহ আলম, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ,
সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, মো. কামরুল ইসলাম, সহসাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, মো. সালাউদ্দিন, মাহাবুবুল হক, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, সম্পাদকবৃন্দ হামিদ হোসেন, ইব্রাহীম বাচ্চু, ফাতেমা বাদশা, মনোয়ারা বেগম মনি, এইচএম রাশেদ খান, ইয়াকুব চৌধুরী, আবদুল বাতেন, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. সেকান্দর, ডা. নুরুল আবচার, আবদুল্লাহ আল হারুন, নগর বিএনপির সহসম্পাদকবৃন্দ এ কে এম পেয়ারু, সালউদ্দিন কায়সার লাবু, মো. ইকবাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, শাহজাহান, খোরশেদ আলম কুতুবী, জেলী চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন বুলু, আবু মুসা, শফিক আহমদ, আবদুল মতিন, আবুল খায়ের মেম্বার, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, আবদুল হাই, আলী আজম, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ জাকির হোসেন, মনির আহমদ চৌধুরী, জসিম উদ্দিন জিয়া, হাজি বাদশা মিয়া, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, নুর হোসেন, আবদুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গীর আলম, হাজি নুরুল হক, মনিরুজ্জামান টিটু, এডভোকেট আবদুল আজিজ, মনিরুজ্জামান মুরাদ, নগর সদস্য ইউসুফ সিকদার, জাকির হোসেন, মো. ইলিয়াস, তসলিম হোসেন, বুলবুল আহমদ, জেসমিনা খানম, আইয়ুব খান, আতিকুর রহমান, সকিনা বেগম, আঁখি সুলতানা, রেজিয়া বেগম মুন্নি, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, এসএম মফিজ উল্লাহ, আবদুল্লাহ আল সগির, কাজী শামছুল আলম, মো. আসলাম, আবদুজ জাহের, খন্দকার নুরুল ইসলাম, শরীফুল ইসলাম, ফারুক আহমেদ, হাজি মো. মহসিন, আলাউদ্দিন আলী নূর, মো. রফিক চৌধুরী, মো. বেলাল, মোশারফ জামান, শায়েস্তা উল্লাহ, মো. সেকান্দর, মো. আজম, মো. সাইফুল আলম, এডভোকেট এফ এ সেলিম, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম বাবলু, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, সাদেকুর রহমান রিপন, হাজি মো. এমরান, হাজি আবু ফয়েজ, সিরাজুল আলম মুনসি, মো. হাসান, কামরুল ইসলাম, মো. হাসান, মনজুর কাদের, ফরিদুল আলম, মনজুর মিয়া, নূর হোসেন নুরু, মামুন আলম, জসিম মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, আবুল কালাম আবু, সাব্বির আহমদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, এমএ হালিম বাবলু, নাসিম আহমেদ চৌধুরী, হাজি জাহেদ, হাসান ওসমান, এসএম আজাদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি