১৬ দিন ধরে সিটি স্ক্যানের সেবা পাচ্ছে না রোগীরা

চমেক হাসপাতাল

নিজস্ব প্রতিদেক »

চমেক হাসপাতালে রেডিওলোজি বিভাগে দুটো সিটি স্ক্যান রয়েছে। হাসপাতালে দীর্ঘ বছর ধরে একটি অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। অপর আরেকটি ৬ জুন থেকে অচল থাকায় ১৬ দিন ধরে সিটি স্ক্যানের সেবা পাচ্ছেনা রোগীরা। যার ফলে রোগীদের বেসরকারি হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে। খরচ করতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।

চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সাল থেকে চমেক হাসপাতালে সিটি স্ক্যান পরীক্ষা সেবা শুরু হয়। এভাবে টানা ২০১৪ সাল পর্যন্ত সেবা অব্যাহত থাকে। তবে ওই বছরই আগস্ট মাসে পুরোনো সিটি স্ক্যানটি অকেজো হয়ে পড়ে। এরপর ৪ বছর সিটি স্ক্যান বন্ধ থাকে হাসপাতালে। পরে ২০১৮ সালে নতুন একটি সিটি স্ক্যান বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আরও এক বছর পর ১৯ সালের দিকে নতুন মেশিন দিয়ে সেবা চালু হয়। এভাবে চলছে ২০২৩ সাল পর্যন্ত। মাঝে কয়েকবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এসে ঠিক করে দিয়ে যায়। সর্বশেষ চলতি মাসের ৬ জুন মেশিনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তা এখন পর্যন্ত ঠিক হয়নি।

সিটি স্ক্যান সচল থাকা অবস্থায় প্রতিদিন ৫০ জনের পরীক্ষা করানো যেত। সকাল ৮ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলত এই সেবা। পরীক্ষা ভেদে সিটি স্ক্যান বাবদ চমেক হাসপাতালে ফি ২ হাজার ও ৪ হাজার টাকা। কিন্ত বেসরকারি হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করতে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা প্রয়োজন হয়।

অর্থপেডিক্স বিভাগে ভর্তি হওয়া সামসুল ইসলাম নামে এক রোগী বলেন, সড়ক দুর্ঘনায় আমার পায়ের একটি হাঁড় ভেঙ্গেছে। ২১জুন হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসক আমাকে সিটি স্ক্য্যানসহ বেশ কয়েকটি চিকিৎসা দেয়। প্রায় সবগুলো পরীক্ষা বেসরকারি হাসপাতালে করাতে হচ্ছে। চিকিৎসা করাতেই সব টাকা চলে যাচ্ছে। মেশিনগুলো ঠিক হলে আমাদের মতো রোগীদের উপকার হতো।

এ প্রসঙ্গে রেডিওলোজি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. সাদেকুর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রকৌশলীরা মেশিনটি সচলে কাজ করে যাচ্ছেন। আগামীকাল (আজ) ছুটির দিন হলেও তারা কাজ করবেন। বর্তমানে মেশিনের পার্টস পরিবর্তন করা হচ্ছে। আশা করি আগামীকাল (২৪জুন) সচল করা যাবে। রোগীরা সেবা পাবেন।