ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়াসহ মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে ১০০ দিনব্যাপী মশক নিধন ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজ সম্মুখ চত্বরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি গবেষণাদল গঠন করি। তাদের বিজ্ঞানভিত্তিক পরামর্শের আলোকে বিমানবাহিনী থেকে আগামী পাঁচ মাসের জন্য মশা নিধনের ওষুধ মজুদ করা হয়েছে। ৫৭টি হটস্পটসহ ৪১টি ওয়ার্ডে ১০০ দিনব্যাপী ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, চসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের পাশাপাশি দেড় হাজার আরবান ভলান্টিয়ার এবং রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা এ ক্রাশ প্রোগ্রামকে সফল করতে কাজ করবেন। অনেকে ছাদ বাগান করলেও ফুলের টবসহ বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা পানি পরিষ্কার করেন না, চসিকের কর্মীরা গেলেও পরিষ্কার করতে দেয়া হয় না। এ অবস্থা প্রতিরোধে প্রয়োজনে ড্রোন কিনে ছাদ পর্যবেক্ষণ করে জরিমানাসহ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়া হবে। উদ্বোধনের পর লোকের হাতে সচেতনতামূলক লিফলেট তুলে দেন মেয়র।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম আহসান বলেন, এবছর ডেঙ্গুতে যে কজন রোগী মারা গেছেন তারা একদম শেষ পর্যায়ে ভর্তি হতে এসেছিলেন। অথচ অসুস্থতার প্রাথমিক পর্যায়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে হয়তো তাদের বাঁচানো যেত।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার সচেতনতার উপর জোর দিয়ে বলেন, ঘরের আশপাশে মশা জন্মানোর মতো স্থান থাকলে তা পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনু, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. হাফিজুল ইসলাম। বিজ্ঞপ্তি