সুপ্রভাত ডেস্ক »
দেহের ‘লাম্প’র বায়োপসিতে কোনো জটিলতা ধরা না পড়ায় এই দফায় ২৬ দিন হাসপাতালে থেকে বাড়িতে ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
রোববার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে প্রাইভেটকারে করে তিনি গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফেরেন।
এ সময়ে তার পাশে ছিলেন প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি। বাড়িতে পৌঁছানোর পর তাকে হাত ধরে গাড়ি থেকে নামান পুত্রবধূ।
বাসায় তাকে অভ্যর্থনা জানাতে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, শিরিন সুলতানা ও আফরোজা আব্বাসসহ নেতারা।
বাড়ির ফটকে নাজিম উদ্দিন আলম, হেলেন জেরিন খান, শাম্মী আখতার, সাইফুল আলম নিরব, ইশরাক হোসেন, এসএম জাহাঙ্গীর, আবদুল আলিম নকি, এজি শামসুল হকসহ অনেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতাল থেকে খালেদার গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে যান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবউন খান সোহেল, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলসহ কয়েকশ নেতা-কর্মী।
এই দফায় গত ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, তিনি কিছুদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত ২৫ অক্টোবর জানানো হয়, খালেদা জিয়ার দেহে একটি লাম্প রয়েছে, তার বায়োপসি করা হবে।
সেই বায়োপসিতে ক্যান্সারের কোনো লক্ষণ ধরা পড়েনি বলে চিকিৎসকদের ভাষ্য।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বুহ বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যেতে হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের মহামারী শুরুর পর পরিবারের আবেদনে গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ তাকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়েছিল তার পরিবার। তবে সরকার বলেছে, সাময়িক মুক্তির শর্ত অনুযায়ী তাকে দেশে রেখেই চিকিৎসা দিতে হবে।
কারামুক্তির পর বাসায় থাকা অবস্থায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এজন্য বছরের মাঝামাঝিতে ৫৪ দিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল তাকে।
সূত্র : বিডিনিউজ