‘হঠাৎ বৃষ্টি’র পরিচালক বাসু চট্টোপাধ্যায় আর নেই

সুপ্রভাত ডেস্ক :
প্রয়াত কিংবদন্তী পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার বাসু চট্টোপাধ্যায়। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। আজ বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে মৃত্যু হয় তার। পারিবারিক সুত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। আজ দুপুর ২টা নাগাদ মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বাসু চট্টোপাধ্যায়ের পরিবার ও পরিজনদের উদ্দেশে নিজের সমবেদনা ব্যক্ত করেছেন।
১৯৩০ সালে রাজস্থানের অজমের শহরে জন্ম হয় তার। তার মৃত্যুতে শিল্প মহলেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিচালক মধুর ভ-ারকর এ দিন টুইটারে লেখেন, ‘প্রবাদপ্রতিম পরিচালকের মৃত্যুতে গভীত ভাবে শোকাহত। তার সুক্ষ্ম রসবোধ এবং সহজ করে ছবির গল্প বলার ক্ষমতা সারা জীবন মনে থেকে যাবে।’ পরিচালক অশ্বিনী চৌধুরী লেখেন, ‘রেস্ট ইন পিস বাসুদা। পরিবারের প্রতি সমবেদনা।’ এই খবর শোনার পর পরিচালক সুজিত সরকার বলেছেন, ‘‘বাসু চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আমি প্রথম সহ পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলাম। একটি টিভ ইসিরিয়ালের শুট ছিল, দিল্লির সিআর পার্কে। ওর আত্মার শান্তি কামনা করি।’
তার পরিচালিত বিখ্যাত সিনেমাগুলি হল ‘সারা আকাশ’, ‘পিয়া কে ঘর’, ‘খাট্টা মিঠা’, ‘চক্রব্যূহ’, ‘বাতো বাতো মে’, ‘জিনা ইহা’,‘আপনে পেয়ারে’। দূরদর্শনে প্রচারিত জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘ব্যোমকেশ বক্সী’ এবং ‘রজনি’ -ও তারই পরিচালনা।
বলিউডের বাণিজ্যিক ছবির জমানায় বাস্তবকে সিনেপর্দায় তুলে ধরেছিলেন বাসু চট্টোপাধ্যায়। সত্তরের দশকে ভিন্ন ধারার ছবির এক নিদর্শন রেখেছিলেন তিনি। অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খন্না, দেব আনন্দ, মিঠুন চক্রবর্তী পাশের স্টার বা হিরো নয় মানবিক নায়ক হয়ে উঠেছিলেন তার ভাবনায়।
খবর : আনন্দবাজার’র।