সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রাথমিক তদন্তে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ, অবৈধ নিয়োগের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
প্রাথমিক তদন্তের বরাতে দুদক সূত্র জানায়, শিরীণ আখতার বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ এবং শিক্ষক নিয়োগ নীতি লঙ্ঘন করে প্রতিটি নিয়োগে ১৬-২০ লাখ টাকা নিয়েছেন এবং এভাবে প্রায় ১০০ জনের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন।
তদন্তে আরও জানা যায়, ২০২৩ সালের ৪ জুন তিনি ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি সেমিনার আয়োজন করে সাড়ে ১৮ লাখ টাকা অপব্যবহার করেছেন। এছাড়া সামুদ্রিক বিজ্ঞান ও মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের খরচ বাড়িয়ে সাড়ে ৪৪ লাখ টাকা এবং একই দিনে অপর একটি সভা করার জন্য আরও সাড়ে ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
দুদক জানতে পেরেছে, সাবেক উপাচার্য শিরীণ আখতার স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে একটি ব্যক্তিগত সিন্ডিকেট তৈরি করেছিলেন যাদের মাধ্যমে তিনি ঘুষ ও অবৈধ আর্থিক সুবিধা নিতেন।
চবির প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে শিরীণ আখতার ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর নিয়োগ পান এবং ২০২৪ সালের মার্চে পদত্যাগ করেন।