নিজস্ব প্রতিবেদক :
টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ‘ক্রোক’ করার আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুল আলম। গতকাল রোববার বিকালে তিনি এ আদেশ দেন।
এর আগে সকালে একই আদালতে প্রদীপ ও তার স্ত্রী’র সম্পত্তি ক্রোক করার জন্য মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুল আলমের আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-২ এর উপ সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন। গত ২৩ আগস্ট ৪ কোটি ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৭৯ টাকার সম্পদ অর্জন করে স্ত্রীর নামে হস্তান্তর ও স্থানান্তরের অভিযোগে প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুদক।
এ ব্যাপারে দুদকের পিপি মাহমুদুল হক মাহমুদ বলেন, ‘আদালত দুদকের আবেদন গ্রহণ করে সাবেক ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর ৪ কোটি ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৭৯ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৪ ধারা এবং ২০০৭ সালের দুদক বিধিমালার ১৮ ধারায় আদালত ওই আদেশ দিয়েছেন।’
প্রদীপ কুমার দাশ বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের উত্তর সারোয়াতলী গ্রামের মৃত হরেন্দ্র লাল দাশের ছেলে। নগরের পাথরঘাটা আর সি চার্চ রোডে তাদের নিজস্ব একটি আবাসিক ভবন আছে। ওই ভবনে তার স্ত্রী চুমকি কারণ সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শাপলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে সংঘটিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় প্রদীপ গ্রেফতারের পর থেকে তার স্ত্রী পলাতক রয়েছেন।