বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, জনগণের কোনো মূল্য আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে নেই, কারণ তারা ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে। যদি জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে হয়, তাহলে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করতে হবে। এ লক্ষে আমরা ধীরে ধীরে একদফার আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। সরকার পতনে চট্টগ্রাম থেকেই এক দফার আন্দোলন শুরু হবে।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকালে কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ে বিভাগীয় শ্রমিক দলের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আগামী ১৪ জুলাই চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক সমাবেশ সফল করার লক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আবদুল্লাহ আল নোমান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করছে না। এখনও তারা নিজেদের আখের গোছানোর জন্য সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি করে জনগণকে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। শ্রমজীবি মানুষ আজ পরিবার পরিজন নিয়ে দিশেহারা।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, হারুনুর রশিদ ভিপি, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।
প্রধান বক্তা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, আওয়ামী লীগের কাজই হচ্ছে গণতন্ত্রকে হত্যা করা আর বিএনপির কাজ হচ্ছে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। আজকে সারাদেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়। নিজের ভোট নিজে দিতে চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। বাংলাদেশে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই অবৈধ সংসদ বাতিল করতে হবে। অন্তবর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। এছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
বিশেষ অতিথি গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে যেমন সাংবাদিকদের হয়রানি করছে। একইভাবে অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন করে শ্রমিকদেরও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এই আইনের মাধ্যমে দ্রুত সাজা দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। তাই সকল শ্রেণি পেশার রাজনীতিকদের পাশাপাশি শ্রমিক সমাজও রাজপথে নামবে জনগণের দাবি আদায়ে।
এস এম ফজলুল হক বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে এখন কারাগারে পরিণত করে ফেলেছে। এখানে কারো কোন অধিকার নেই। বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে। তাই আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়–য়া, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সাচিং প্রু জেরি, মশিউর রহমান বিপ্লব, উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম, রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, বান্দরবন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আফসার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা প্রমুখ।