সংস্কারের কাজ শুরু হবে কবে?

চবির ঝুলন্ত সেতু

চবি সংবাদদাতা

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পাহাড়ে ঘেরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। চবির সৌন্দর্যকে আরো ফুটিয়ে তুলতে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের পাশে খালের উপর নির্মিত হয় একটি ঝুলন্ত সেতু। রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুর আদলেই নির্মিত এ সেতুটি।
এই ঝুলন্ত সেতুটি এক সময় ছিল শিক্ষার্থীদের প্রিয় জায়গা। এই স্থাপনাকে ঘিরে চলতো আড্ডা, গান, গল্প আর তারুণ্যের উচ্ছ্বাস। কিন্তু অযত্ন অবহেলা ও সংস্কারের অভাবে এই ঝুলন্ত সেতুটি আজ মৃত প্রায়। চমৎকার ও দৃষ্টিনন্দন সেতুটি ২০১৮ সালের শেষের দিকে কাটাতারে মোড়ানো হয়। দুর্ঘটনা এড়াতে ও সংস্কারের অজুহাতে সেতুটি বন্ধ রাখলেও দীর্ঘদিন যাবত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্করণ না করায় ধ্বংসের পথে চমৎকার ও দৃষ্টিনন্দন সেতুটি। শিক্ষার্থীরা বারবার সংস্করণ করার কথা জানালেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, চবির প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক আবু ইউসুফের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাবেক শিক্ষার্থীর অর্থায়নে নির্মিত সেতুটি ২০০৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী প্রতীক সিকদার বলেন, প্রশাসন দ্রুত সেতুটি সংস্কার করে উন্মুক্ত করে দিলে আমরা রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবো চবিতেই। প্রশাসনের অবহেলা আর অযত্নে সেতুটি আজ ধ্বংসের পথে। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান শিক্ষার্থীদের প্রিয় স্থাপনাটি দ্রুত সংস্করণের পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী বাঁধন বলেন, দীর্ঘদীন ধরে সেতুটি মেরামতহীন অবস্থায় রয়েছে। ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য রক্ষার্থে সেতুটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চবি প্রকৌশল দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ জাহাঙ্গীর ফজল বলেন, বাজেট না থাকায় সেতুটি সংস্কার করা যায়নি। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে অতি শীঘ্রই মেরামতের উদ্যোগ নেওয়ার। সেতুটি সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নতুনভাবে তৈরি করতে হবে। যদি পর্যাপ্ত বাজেট পাওয়া যায় তাহলে সেতুর কাজ শুরু করা হবে।