ফলোআপ
নিজস্ব প্রতিবেদক »
‘এবার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টে ভুল’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশের পর শোকজ পেলেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ। মূলত নৈমিত্তিক ছুটি নিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করা এবং একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টে ভুল তারিখ মুদ্রিত হওয়ায় শিক্ষাবোর্ডের সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ায় ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
শোকজের কথা স্বীকার করে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিব প্রফেসর আবদুল আলীম বলেন, ‘নৈমিত্তিক ছুটি (২৮ মার্চ, সোমবার) নিয়ে তিনি ঢাকা গিয়েছেন। কিন্তু চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী কর্মস্থল ত্যাগ করতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। তিনি ( পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক) তা নেননি।’
কিন্তু নৈমিত্তিক ছুটি নিয়ে ঢাকায় যাওয়া প্রসঙ্গে গত সোমবার দিবাগত রাতে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয়েছিল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের। তখন তিনি বলেছিলেন, একদিনের নৈমিত্তিক ছুটি নিয়ে ঢাকা এসেছেন। এতে তো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
এদিকে, ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ভুল প্রিন্ট হওয়ায় বোর্ডের বিশাল আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সুনামহানি হয়েছে। ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট প্রিন্ট ও স্বাক্ষর হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। এখন এগুলো সব বাতিল করতে হয়েছে।
এ বিষয়ে গতকাল সুপ্রভাত বাংলাদেশ এ ‘এবার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টে ভুল’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যেহেতু এটি পরীক্ষা শাখার আওতাধীন এবং এর অনুমোদনকারী ব্যক্তি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। তাই পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে এ বিষয়ে গতকাল ব্যাখ্যা চেয়েছেন শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। কিন্তু একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টে ফলাফল প্রকাশের তারিখের স্থলে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মুদ্রিত হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২। ভুল তারিখে ৪০ হাজার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট প্রিন্ট এবং স্বাক্ষরও হয়ে গেছে। গত সোমবার বিকেলে শনাক্ত হয় ট্রান্সক্রিপ্টে ভুল প্রিন্ট হয়েছে।