শেষ মুহূর্তে ‘বাতিল হতে পারে’ টোকিও অলিম্পিক

গোটা গেমস ভিলেজ জুড়ে এমন ছবি ধরা পড়ছে। ছবি - টুইটার

সুপ্রভাত ডেস্ক »

আসর শুরুর সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা, জেগেছে স্পন্সরদের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার শঙ্কা, জাপানের জনগণও নেই পক্ষে। এমন পরিস্থিতিতে একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে এবারের অলিম্পিক বাতিলের শঙ্কা বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছেন না ‘টোকিও অলিম্পিক ২০২০’-এর আয়োজক কমিটির প্রধান।

প্রতিদিন নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন গেমসের সাথে সম্পৃক্ত খেলোয়াড় ও অন্যান্যরা। আয়োজক শহরেও করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে নতুন আতঙ্ক। এমন পরিস্থিতিতে জাপানে অলিম্পিক বাতিলের দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।

বৈশ্বিক ক্রীড়ার সর্ববৃহৎ আসরটি এখনও বাতিল হওয়া সম্ভব কি-না এমন প্রশ্নে আয়োজক কমিটির প্রধান তোশিরো মুতো বলেন, তিনি সংক্রমণ সংখ্যার ওপর নজর রাখবেন এবং প্রয়োজনে অন্য আয়োজক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।

“করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কেমন হবে তা আমরা অনুমান করতে পরছি না। তাই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে আমরা আলোচনা চালিয়ে যাব।”

“করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে আবারও আমরা পাঁচ পক্ষের বৈঠকে বসব। এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে, আবার কমতেও পারে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে আমাদের কি করণীয় সেটা ভেবে দেখব।”

লন্ডনের কিংস কলেজের জনস্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক পরিচালক কেনজি শিবুয়ার মতে, আসরের জৈব-সুরক্ষা বলয় ইতোমধ্যে ভেঙে পড়েছে। অ্যাথলেট ভিলেজে কিংবা অন্যত্র দলগুলোর থাকার কিছু জায়গা এবং স্থানীয়দের সাথে মেলামেশার ফলে অলিম্পিক সংশ্লিষ্টদের মধ্যে রোগটি সংক্রামক আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

সামগ্রিকভাবে জাপানে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অন্যান্য দেশের তুলনায় খারাপ না হলেও দেশটিতে এখন পর্যন্ত আট লক্ষের বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং প্রাণ হারিয়েছেন পনের হাজার মানুষ।

শনিবার টোকিওতে নতুন করে এক হাজার ৩৮৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। টানা ছয় দিন ধরে শনাক্ত রোগী এক হাজার ছাড়িয়েছে শহরটিতে।

সূত্র : বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম