সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-২০ জিততে শেষ ওভারে ৩০ রানের দরকার ছিল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ফলে শেষ ওভারে ২৮ রান তুলেও দলকে জেতাতে পারলেন ক্যারিবীয় লোয়ার অর্ডার ব্যাটার ও স্পিনার আকিল হোসেইন। যার কারণে মাত্র ১ রানে ম্যাচ হারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই জয়ে টি-২০ সিরিজে সমতা আনলো ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এখন ১-১ সমতা। প্রথম ম্যাচ ৯ উইকেটে জিতেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বার্বাডোজে প্রথম ম্যাচের মত দ্বিতীয়টিতেও টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাট হাতে শুরুতে ৩২ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়েন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জেসন রয় ও টম ব্যান্টন। ১৮ বলে ২৫ রান করে ফিরেন ব্যান্টন। তিন নম্বরে নেমে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি জেমস ভিন্স। দু’টি উইকেটই নেন বাঁ-হাতি স্পিনার ফ্যাবিয়ান অ্যালেন। ৪০ রানে ২ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন রয় ও মঈন আলি। তৃতীয় উইকেটে দ্রুত গতিয়ে ৩৮ বলে ৬১ রান যোগ করেন তারা। ১৩তম ওভারে দলীয় ১০১ রানে রয়কে শিকার করে জুটি ভাঙ্গেন মিডিয়াম পেসার রোমারিও শেফহার্ড। ৩১ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৫ রান করেন রয়। কিছুক্ষণ বাদে মঈনকে ৩১ রান শিকার করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। ২৪ বল খেলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন মঈন। মিডল অর্ডারে স্যাম বিলিংস ৫ ও অধিনায়ক ইয়োইন মরগান ১৩ রানে থামলেও, শেষদিকে ঝড়ো গতিতে ক্রিস জর্ডানের ২৭ রানের সুবাদে বড় সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭১ রান করে ইংল্যান্ড। ১৫ বল খেলে ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন জর্ডান। প্রথম ম্যাচের হিরো ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডার ২৫ রানে ২টি উইকেট নেন। ৫০ রানে ২ উইকেট শিকার করেন অ্যালেন। ১৭২ রানের টার্গেটে শুরুতেই বিপদে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৫ বল ও ৬ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় তারা। শুরুর ধাক্কাটা সামলে উঠলেও ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মিডল-অর্ডার ব্যাটাররা। দুই স্পিনার মঈন ও আদিল রশিদের ভেল্কিতে ৯৮ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিকোলাস পুরান ২৪, জেসন হোল্ডার ১ ও ওডেন স্মিথ ৭ রান করে মঈনের শিকার হন। ড্যারেন ব্রাভোকে ২৩ ও পোলার্ডকে ১ রানে থামান রশিদ। ১৫ দশমিক ১ ওভারে ৯৮ রানে অস্টম উইকেট পতনের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ হার সময়ের ব্যাপার ছিলো। কিন্তু শেষ দিকে ব্যাট হাতে জ¦লে উঠেন শেফার্ড ও হোসেইন। জর্ডানের করা ১৮তম ওভারে ২৩ রান তুলেন তারা। শেফার্ড ২টি ও হোসেন ১টি ছক্কা মারেন। রিচ টপলির ১৯তম ওভারে ১টি চারে মাত্র ৮ রান নিতে পারেন শেফার্ড ও হোসেইন। এতে শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে ৩০ রানের প্রয়োজন পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। খবর ডেইলি বাংলাদেশ’র
শেষ ওভারে পেসার সাকিব মাহমুদের প্রথম ডেলিভারি ওয়াইড হয়। পরেরটিতে রান নিতে পারেননি হোসাইন। দ্বিতীয় ও তৃতীয়টিতে বাউন্ডারি আদায় করে নেন হোসাইন। চতুর্থটি আবারও ওয়াইড হয়। এতে প্রথম তিন বল থেকে ১০ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাই শেষ তিন বলে ২০ রানের প্রয়োজন ছিলো ক্যারিবীয়দের। এই সমীকরনে ম্যাচ হার নিশ্চিত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তবে কোন ডেলিভারিতে নো বল ওয়েস্ট ইন্ডিজের আশা জাগাতো। কিন্তু নো বল পায়নি ক্যারিবীয়রা। তবে শেষ তিন বলে তিনটি ছক্কা মেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আক্ষেপ বাড়ান হোসাইন। এতে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭০ রান করে ম্যাচ হারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেফার্ড ১টি চার ও ৫টি ছক্কায় ২৮ বলে অপরাজিত ৪৪ রান করেন। ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১৬ বলে অপরাজিত ৪৪ রান করেন হোসেইন। ইংল্যান্ডের মঈন ও রশিদ ৩টি করে উইকেট নেন। দু’জনই ৪ ওভারে ২৪ করে রান দিয়েছেন। ম্যাচ সেরা হন মঈন। আগামী ২৭ জানুয়ারি একই ভেন্যুতে হবে সিরিজের তৃতীয় টি-২০তে মুখোমুখি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড।