শিরীষতলায় বর্ষবিদায়-বরণ অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক »

‘অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধারা’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে নগরীর সিআরবি শিরীষতলায় উদ্বোধন হলো বর্ষবিদায় ১৪২৯ ও বর্ষবরণ ১৪৩০ অনুষ্ঠান।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে তিনটায় বেলুন উড়িয়ে ১৪২৯ বঙ্গাব্দের বিদায় ও ১৪৩০ বঙ্গাব্দের বরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নববর্ষ উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক।

উদ্বাধনী বক্তব্যে এম এ মালেক বলেন, ‘বর্ষবিদায়ের দিন অর্থাৎ চৈত্র সংক্রান্তি ও বর্ষবরণের উৎসব আজ বাঙালির সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষে মানুষে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠার এ এক অনন্য বাঙালি সংস্কৃতি।

নববর্ষ উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী ও সাংবাদিক ফারুক তাহেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ। এরপর শুভেছা বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান ও নববর্ষ উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি মো. সাহাবউদ্দিন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সহসভাপতি ডা. চন্দন দাশ, কবি-সাংবাদিক কামরুল হাসান বাদল, নাট্যজন শওকত ইকবাল, কবি ও নাট্যজন স্বপন মাজুমদার, রাজনীতিক ও সংস্কৃতিজন হাসান মারুফ রুমি, সাহাবউদ্দিনর বলীখেলা উদযাপন পরিষদের সদস্যসচিব সজল চৌধুরী, আবৃত্তিশিল্পী অঞ্চল চধুরী, সঙ্গীতশিল্পী শীলা দাশগুপ্তা, মোরশদুল আলম, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, হাসান জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

প্রতিবার বর্ষবিদায়ের নানা আয়োজন থাকলেও এবার তা সীমিত করা হয়েছে। উদ্বোধনী দিনে বর্ষবিদায়ের বিশেষ কোনো আয়োজন রাখা হয়নি। এবারও রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে সাহাবউদ্দিনের বলীখেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।

আজ সকাল সাড়ে ৭টায় ভায়োলিনিস্ট চিটাগংয়ের পরিবেশনার মাধ্যমে বর্ষবরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। এছাড়া সংগীত ভবন, সুর সাধনা, বোধন আবৃত্তি পরিষদ, উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জ, সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ, নটরাজ, প্রমা আবৃত্তি সংগঠন, শব্দনোঙর, বাংলাদেশ রেলওয়ে সাংস্কৃতিক ফোরাম, স্বরলিপি সাংস্কৃতিক ফোরাম, গুরুকুল, নির্মাণ আবৃত্তি অঙ্গন, দলীয় পরিবেশনা, ঘুঙুর নৃত্যকলা একাডেমি, রবীন দে সংগীত বিদ্যালয়, কুসুম ললিতকলা একাডেমি, নৃত্যরূপ একাডেমি, সুন্দরম শিল্পগোষ্ঠী , সৃজামি, ওড়িশী অ্যান্ড ট্যাগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার, অদিতি সংগীত নিকেতন, রাগেশ্রী, তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, চারুতা নৃত্যকলা একাডেমি, ও উদীচি চট্টগ্রাম এর পরিবেশনা। এছাড়া দুপুর সাড়ে ১২টায় থাকছে একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. মনিরুজ্জামানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।

মধ্যাহ্ন বিরতির পর দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত থাকবে ছন্দানন্দ সাংস্কৃতিক পরিষদ, শিল্পাংকন সাংস্কৃতিক শিল্পগোষ্ঠী ও একুশে মানবিকতা ও আবৃত্তির্চচা কেন্দ্র এবং নৃত্যনীড়ের পরিবেশনা। বিকেল ৩টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।