সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
একসময় তিনি বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের ‘সবচেয়ে খারাপ ব্যক্তি’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কারণ তার ত্রাসে ঘুম উড়ত ‘শত্রু’পক্ষের। ৮০-র দশকে বক্সিং রিংয়ে তিনিই ছিলেন সর্বেসর্বা। ঠিকই ধরেছেন। কথা হচ্ছে কিংবদন্তি বক্সার মাইক টাইসনের। সবাইকে চমকে দিয়ে ফের রিংয়ে ফিরতে চলেছেন বিশ্বখ্যাত তারকা। তাও আবার ৫৪ বছর বয়সে।
কেরিয়ারের শুরুর দিকে বক্সিংয়ের দুনিয়ায় একছত্র রাজত্ব করেছেন এই মার্কিন তারকা। রিংয়ের আইরন ম্যানের আগ্রাসন তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছেন অনুরাগীরা। তার এক পাঞ্চে নকআউটের সাক্ষী থেকেছে দুনিয়া। কেরিয়ারের প্রথম ১৯টি লড়াই জিতেছিলেন নকআউটে। বিশ্বের একমাত্র হেভিওয়েট বক্সার হিসেবে WBA, WBC এবং IBF খেতাব জিতেছেন টাইসন। তবে ১৯৯০ দশকের শেষভাগে তিনি ক্রমেই ব্যাকফুটে যেতে শুরু করেন। হাজারো বিতর্কে নাম জড়ায় তার। অবশেষে ২০০৫ সালে বক্সিং রিংকে বিদায় জানান ক্রীড়াদুনিয়ার অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র মাইক টাইসন। তাই বর্তমান প্রজন্ম তার মারকাটারি পারফরম্যান্স দেখার সুযোগ পায়নি। তবে এবার পাবে।
কারণ ৫৪ বছর বয়সে নিজের প্রিয় মঞ্চে কামব্যাক করতে চলেছেন তিনি। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার ডিগনিটি হেল্থ স্পোর্টস পার্কে ফের স্বমহিমায় ধরা দেবেন কিংবদন্তি। আট রাউন্ডের একটি প্রদর্শনী ম্যাচে ফোর-ডিভিশন চ্যাম্পিয়ন রয় জোনস জুনিয়রের মুখোমুখি হবেন তারকা। স্বাভাবিকভাবেই তাকে নতুন করে রিংয়ে দেখা নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে।
১৯৮৬ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে কনিষ্ঠতম হেভিওয়েট বক্সার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন টাইসন। এবার ৫৪ বছরে বুড়ো হাড়েও কি ভেলকি দেখাতে সফল হবেন তিনি? সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। কারণ প্রতিপক্ষও ৫১ বছরের জোনসও যথেষ্ট শক্তিশালী। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় টাইসনের একাধিক শরীরচর্চার ভিডিওতেই স্পষ্ট, এই বয়সেও কতখানি ফিট তিনি। সেপ্টেম্বরে তার এই লড়াই পে-পার-ভিউর মাধ্যমে অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাবে।
খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।
খেলা