চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আর কোন ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরাসরি হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এটা আমরা সহ্য করতে পারি না। আমাদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও শেখ হাসিনাকে রক্ষা করবো। তাহলেই বাংলাদেশ বাঁচবে, বাঙালি বাঁচবে। আমাদের জাতিসত্তা রক্ষায় এখন থেকেই ঘরে ঘরে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। আমাদের জানিয়ে দিতে হবে এটা ১৯৭৫ সাল নয়, এইটা ২০২৩ সাল। আজ এই বাংলাদেশে যারা আগুন নিয়ে খেলবে তাদেরকে সেই আগুনে পুড়ে ছাইভস্ম হতে হবে। এজন্য প্রতি ইউনিটে ওয়ার্ডে থানায় জনগণকে সংগঠিত করে প্রতিরোধের দূর্গ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি গতকাল সোমবার বিকেলে আন্দরকিল্লা চত্বরে শেখ হাসিনার প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদের মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে একথা বলেন।
আ জ ম নাছির বলেন, এখন তাদেরকেই রেডকার্ড শো করতে হবে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই এই অপশক্তিকে নির্মূল করা না হলে জাতি দায় মুক্ত হবে না।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের সরাসরি হুমকি এসেছে। আমরাও পাল্টা হুমকি দিতে চাই জনগণের আস্থা ও ভালবাসা নিয়ে। সুতরাং আমাদের ভয় পাবার কিছু নেই। এখন থেকে মহল্লায় মহল্লায় যেতে হবে এবং একাত্তরের ঘাতকের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে লালকার্ড ঝুলিয়ে দিতে হবে।
সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, আমরা চিনে রেখেছি ওই আমীর খসরুকে। তার বাবা একাত্তরে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনিও তার বাবার মতই একজন দেশাদ্রোহী। তাদের দেশবিরোধী কার্যকলাপ রুখা হবে। আমাদের দল ক্ষমতায় আছে তাই কিছু সহনশীলতা প্রদর্শন করছি। ধৈর্যের বাধ ভেঙে গেলে আমরা আবার গর্জে উঠবো।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী এবং বখতেয়ার উদ্দীন খান। বিজ্ঞপ্তি