সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক
আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসির সঙ্গে বার্সেলোনার সম্পর্কটা যে কখনো শেষ হতে পারে, সেটা একসময় ছিল অকল্পনীয়। কিন্তু সেই বিষয়টাই ঘটে গিয়েছিল গত বছর। ২০২১ সালের আগস্টে মেসি-বার্সার দুই দশকের সম্পর্কের যখন ইতি ঘটেছে, তখন ফুটবল বিশ্বে রীতিমতো একটা ‘শক ওয়েভ’ বয়ে গিয়েছিল। খবর ডেইলি বাংলাদেশ’র
মেসির বার্সা ছাড়ার ঘটনায় লা লিগার নিয়মের মারপ্যাঁচ ছিল মূল কারণ। তবে আড়ালে বার্সা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তাকেও কম দোষের শিকার হতে হয়নি। এবার বার্সেলোনা প্রধান মেসিকে ছেড়ে দেওয়ার দায়টা নিজেই মাথাপেতে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, মেসিকে হারিয়ে ফেলার আংশিক দায়টা তার ঘাড়েও বর্তায়। মেসিকে ছাড়ার এক বছর ঘনিয়ে আসছে। তার ঠিক আগে বার্সেলোনা আবারও তাকে ফেরানোর বিষয়টি ভাবা শুরু করেছে। সম্প্রতি লাপোর্তা নিজেই বিষয়টি জানিয়েছিলেন। এরপর স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক স্পোর্ত জানাচ্ছিল, কোচ জাভিও চান, মেসি শিগগিরই ফিরুক বার্সায়।
এবার বার্সা সভাপতি লাপোর্তা ফের জোর গলায় বলেছেন, তিনি মেসিকে ফিরিয়ে আনতে চান। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ইউএনএইচসিআরের একটি অনুষ্ঠানে ক্লাবের পক্ষ থেকে অংশ নিয়েছিলেন লাপোর্তা। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। মেসির বার্সায় ফেরা বিষয়ে প্রশ্ন ধেয়ে গিয়েছিল তার দিকে।
সেই প্রশ্নের জবাবে লাপোর্তা বলেন, ‘মেসির কাছে আমরা নৈতিকভাবে ঋণী। আমি চাই, মেসির খেলোয়াড়ি জীবনটা শেষ হোক বার্সেলোনার জার্সি পরে, প্রতিটা স্টেডিয়ামে সরব প্রশংসা শুনে।’
এরপরই তিনি জানান, মেসিকে ছেড়ে দেওয়ার আংশিক দায় তারও আছে। তিনি বলেন, ‘এটা আমার তীব্র আকাঙ্ক্ষা। যেভাবে বার্সার সঙ্গে মেসির সম্পর্কটা শেষ হয়েছে, তাতে নিজেরও খানিকটা দায় দেখছি আমি। তবে তাকে ফেরানোর বিষয়টা এখনো অনেক যদি কিন্তুর বেড়াজালে আটকে আছে। আর আমরা একে বাস্তবে রূপ দিতে পারবো। আমাদের আকাঙ্ক্ষাটা এমনই।’
এর আগে গত ২৪ জুলাই লাপোর্তা মেসিকে ছাড়ার দায়টা বার্সার আর্থিক পরিস্থিতির ওপর চাপিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যেমন আর্থিক পরিস্থিতিতে ক্লাবের দায়িত্বে এসেছিলাম, এমন কিছু একটা হতোই। তবে কোচ ও খেলোয়াড়দের চেয়ে ক্লাবের অবস্থান অনেক ওপরে।’
সেই সাক্ষাৎকারে বার্সা সভাপতি আরো বলেছিলেন, ‘আমি আশা করি, মেসির বার্সা অধ্যায়টা শেষ হয়ে যায়নি। আর মনে করি এই অধ্যায়টা, যেটা বন্ধ হয়নি এখনো, সেটায় ভালো কিছু মুহূর্ত আনার দায়িত্বটা আমাদেরই। যাতে করে অধ্যায়টা একটা প্রাপ্য সমাপ্তি পায়। যেভাবে শেষ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, তার চেয়ে যেন ভালো হয়।’