নিজস্ব প্রতিবেদক »
১৯৮৯ সাল থেকে বিজয়মেলা আয়োজিত হচ্ছে চট্টগ্রামে। এ ধারাবাহিকতার কারণে এ মেলার কদর ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সবখানে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে এবারও বিজয়মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। আজ (১ ডিসেম্বর) থেকে নগরীর আউটার স্টেডিয়ামে মাসব্যাপী বিজয় মেলা আয়োজনের কথা জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুস।
গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বীর বাঙালির অহংকার’ স্লোগানে এ মেলা আয়োজনের কথা জানানো হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল তিনটায় এ মেলা উদ্বোধন করবেন বিজয়মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ এবারের মেলায় অনেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে আউটার স্টেডিয়ামে মৃৎ, হস্ত ও কুটির শিল্প, পাটজাতদ্রব্যসহ পণ্য মেলা। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা অনুষ্ঠান এবারের মেলায় সবচেয়ে আকর্ষণীয় আয়োজন। এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধের চলচিত্র প্রদর্শন, বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলন, বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি সমাবেশ।’
অনুষ্ঠানসূচির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১৩ ডিসেম্বর বিকাল ৩ টায় এম এ আজিজ স্টেডিয়াম গোলচত্বরের সামনে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলন ও জাতীয় পতাকা এবং মেলা পরিষদের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মেলার কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা, ১৫ ডিসেম্বর বিজয় মেলার প্রয়াত চেয়ারম্যান সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা চট্টলবীর এ.বি.এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিজয় মেলার আয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আমাদেরকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে ৪ ডিসেম্বর নগরীর পলোগ্রাউন্ড ময়দানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা, ১২ ডিসেম্বর দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন, ১৮ ডিসেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন, ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মহা-সম্মেলন কর্মসূচিতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনায় বিশ্বাসী সকলের সহযোগে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে এবারের বিজয় মঞ্চের অনুষ্ঠান কার্যক্রম সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘর প্রতিষ্ঠা এবং স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বিজয়মেলা পরিষদের কো-চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম, অর্থ সচিব পান্টু লাল সাহা, এসএম মাহবুবুল আলম, সৈয়দ মাহমুদুল হক, নৌ-কমান্ডো আবু বকর, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুকসহ সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।