মাস্ক পরাকে অভ্যাসে রূপান্তর করুন : সুজন

রেল কি রাষ্ট্রের ভিতরে আলাদা রাষ্ট্র? মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত গেজেটকে যারা পদদলিত করতে চায় তারা কি রাষ্ট্রের ভিতর আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়? এ প্রশ্ন রেখেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
মঙ্গলবার বেলা ৩টায় তার নিজ বাসভবনে নাগরিক উদ্যোগের এক জরুরি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
এসময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় সিডিএ চট্টগ্রামে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে।
তাছাড়া সিডিএকে চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। ঠিক তেমনি চট্টগ্রাম ওয়াসাকেও নগরবাসীর মাঝে সুপেয় পানি সরবরাহের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে রাষ্ট্রীয়ভাবে।
তিনি করোনাকালীন সময়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের সাহসী এবং মানবিক ভূমিকার জন্য প্রতিটি সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। বিশেষ করে রোগী পরিবহন এবং অক্সিজেনের সরবরাহের কারণে সিএমপি মানবিক ইউনিট হিসেবে নগরবাসীর কাছে আস্থা অর্জন করেছে। পুলিশের অনেক সদস্য মৃত্যুবরণ এবং অসুস্থ হলেও তারা মানবিকতার কাজে কখনো পিছ পা হননি। তাদের এ ত্যাগ জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। তিনি পুনরায় নগরবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং মাস্ক পরিধান করাকে অভ্যাসে রূপান্তর করার অনুরোধ জানান। শুধুমাত্র সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক সংঘবদ্ধতা থেকে দূরে থাকতে পারলে লকডাউন না দিয়েও সংক্রমণ কমানো যাবে। এতে করে জীবন ও জীবিকা দুইটাই সমুন্নত রাখা সম্ভব হবে।
নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রহমান মিয়া, রুহুল আমিন তপন, সাইদুর রহমান চৌধুরী, আজম খাঁন, নুরুল কবির, মোরশেদ আলম, ডা. অঞ্জন কুমার দাশ, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, শিশির কান্তি বল, মো. শাহজাহান, সোলেমান সুমন, মাহফুজ চৌধুরী, এইচ এম জোবায়ের প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি