ভবনের ছাদ ধসে দুজনের মৃত্যু

খাগড়াছড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি »

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ ভবনের ছাদ ধসে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন। আহতদের খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল শনিবার বিকাল আনুমানিক পৌনে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের এনেক্স ভবনের নির্মাণাধীন ছাদ বারান্দা ধসে একজন নির্মাণ শ্রমিক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম সাজ্জাদ (১৭)। আহত হয়েছেন আরো ৫জন। নিহত আরেক ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। ধসেপড়া ছাদের নিচে কয়েকজন আটকে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

আহতরা হলেন সদর উপজেলার শালবন এলাকার মৃত আবদুস সামাদের ছেলে রোকন (৩৮), আবদুস সালামের ছেলে হানিফ মিয়া (২৫), মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে সোহেল (২০), থলিপাড়ার এলাকার লালু চান মিয়ার ছেলে হাসান (২৪) ও মাটিরাঙার আবদুল খালেকের ছেলে হানিফ (২০)।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের দিকে পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ভবনটির সামনের অংশে ১৬ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। ছাদের ঢালাই চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাদের নিচে আটকা পড়েন আরও কয়েকজন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযানে আরও যুক্ত হয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও রেড ক্রিসেন্ট।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, জেলা পরিষদের পুরাতন ভবনের সামনে নতুন করে ছাদের একটি অংশ (যেখানে গাড়ি গিয়ে থামে বা লোকজন গাড়ি থেকে নামে) বর্ধিত করার কাজ চলছিল। এত উঁচুতে কাজ করালেও ছাদের নিচে কোনও লোহার ঠেস দেওয়া হয়নি। নিচে বাঁশ দিয়ে ছাদের ঠেস দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কাজ চলা অবস্থায় হঠাৎ ছাদের একাংশ ধসে পড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত ভারের কারণে ছাদের নিচের বাঁশগুলো ভার রাখতে না পারায় ভেঙে পড়ে।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। ওখানে আরও শ্রমিক আটকে আছে কিনা তা দেখছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, জেলা প্রশাসক প্রতাপচন্দ্র বিশ্বাস, পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শানে আলম।

এ বিষয়ে জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা ঘটনার খবর পেয়ে নিহত-আহত শ্রমিকদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।