নিজস্ব প্রতিবেদক »
দশম সংসদ নির্বাচনের বার্ষিকীতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা এবং পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ সংঘর্ষের সময় ঢিলের আঘাতে চার পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। পরে দলটির ৪৪ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। বিএনপি দাবী করেছে তাদের ৪৯ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুর ৩টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের অষ্টম বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে এই প্রতিবাদী মানববন্ধনের আয়োজন করেছিল নগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি। সেই নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি প্রতিবছর দিনটি পালন করে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে।
শান্তিপূর্ণভাবে মানববনন্ধন চলাকালে পুলিশের কিছু অতি উৎসাহি কর্মকর্তার কারণে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহদাত হোসেন। তিনি সুপ্রভাতকে বলেন,বার বার রিকোয়েস্ট করার পরও আমাদের কর্মীদের গায়ে পুলিশ লাটি চার্জ করেছে। তবে সেখানে লাটিচার্জের করার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। এরমধ্যে যুবদল, ছাত্রদলের ছেলেরা চলাচলের রাস্তা ঠিক রাখতে গাড়ি চলাচলে কোন বাঁধা দেয়নি। পরে মানুষ বেশি হওয়াতে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার জন্যও রিকোয়েস্ট করি। কিন্তু সেই সময় কিছুদূর সামনে আমাদের কর্মীদের উপর পুলিশ লাটি চার্জ করে। এতেই ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। নেতারা গিয়ে তা থামিয়ে দিল। এতে আমাদের ৫ জন কর্মী আহত হয়েছে। পরে মানববন্ধন শেষে আমরা চলে আসি। পরে জানতে পারি পতেঙ্গা থেকে নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলার সাথে আসা কর্মীদের বাসসহ আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, কর্মীদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রতিবাদ ও সমাবেশ করা হবে। তাছাড়া আইনী লড়াইতো চলবে।’
অনুমতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের মানববন্ধনে ৪শ’ থেকে ৫শ’ লোক হতে পারে বলে পূর্ব থেকেই জানানো হয়েছে। আর এমন মানববন্ধনে নেতাকর্মীরা আসলে তাদের বাঁধা দেওয়া যায় না। বিএনপি যেহেতু বড় দল স্বাভাবিকভাবে মানুষ বাড়তে পারে। তাছাড়া বিএনপি সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ। এ বিষয়ে একটু সেন্টিমেন্ট কাজ করেছে।’
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) উপ কমিশনার (দক্ষিণ) ডিসি জসিম উদ্দীন সুপ্রভাতকে বলেন, মানববন্ধনে প্রচুর জনসমাগম হয়। এতে গাড়ি চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করা হয়। তাদের ফুটপাতে উঠতে বলা হলে তারা পুলিশের সাথে হাতাহাতি শুরু করে। এসময় পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করায় চার জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মানববন্ধন শেষে বিএনপির ৪৪ জন নেতাকর্মীকে আমরা আটক করেছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। মূলত সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানের কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।’
বিএনপির এ কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্করসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।