বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন ১৫ বছরের অপশাসনের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের জনগণ, দেশের জাতীয়তাবাদের পক্ষের শক্তি দেশপ্রেমী নাগরিকগণ, সবার অংশগ্রহণে এক আন্দোলনের সূচনা হয়েছে বাংলাদেশে। সূচনা হয়েছে, শেষ হয়নি। এ আন্দোলন অব্যাহত আছে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে। জনগণ বিএনপির পক্ষে রায় দিয়েছে। জনগণ এখনও তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করার অপেক্ষায় আছে।
তিনি শনিবার বিকেলে নগরীর কাজির দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক ম্যা মা চিং, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম।
আমীর খসরু বলেন, বিএনপির আন্দোলন গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন। এটা কোনো দলের বা ব্যক্তির একক আন্দোলন নয়। এ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পাব।
তিনি বলেন, এটা কোনো নির্বাচন নয়। নির্বাচনে তো দুই পক্ষ থাকবে। যেখানে দুই পক্ষ থাকবে না সেটা নির্বাচন হতে পারে না।
আমীর খসরু বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে অনেক শক্তিশালী। নির্বাচনের পর আরও শক্তিশালী হয়েছে। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনোবল আগে থেকে আরও শক্তিশালী হয়েছে। এটাই রাজনীতি, রাজনীতির জয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, চট্টগ্রামে খসরু ভাইয়ের অনুপস্থিতি আমরা উপলব্ধি করেছিলাম। আজকে ওনার মুক্তিতে সকল নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
এস এম ফজলুল হক বলেন, আজকের মতবিনিময় সভা জনসভায় পরিণত হয়েছে। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের জন্য চার মাস জেল কেটেছেন।
মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সবসময় গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপি প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রামের মানুষকে প্রাণের সঞ্চার করেছেন। আমাদের আন্দোলন চলবে।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দ্রব্যমূল্যের চরম উর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। দখলদার সরকারের নীতিই হচ্ছে গরিব মানুষের পকেট কাটা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, বান্দরবান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা, উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, মহানগর বিএনপির সিনিয় যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, নুরুল আমিন, নূর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সরওয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, মোশারফ হোসেন, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মো. আলী, কর্নেল আজিম উল্লাহ বাহার, নিয়াজ মো. খান, এস এম আবুল ফয়েজ, নূরুল আনোয়ার, অ্যাড. ফোরকান, আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী, এম মঞ্জুর উদ্দিন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, এস এম মামুন মিয়া, নাজমুল মোস্তফা আমিন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, মন্জুর আলম মন্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, এড. আবু তাহের, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, আউয়াল চৌধুরী, সেলিম চেয়ারম্যান, শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, খোরশেদ আলম, মফজল আহমদ চৌধুরী, জামাল হোসেন, ভিপি মোজাম্মেল, মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জাহেদ, হুমায়ন কবির আনসার, আমিনুর রহমান চৌধুরী, হাজী রফিক, ইসহাক চৌধুরী, হামিদুল হক মান্নান, নূরুল কবির, মঈনুল আলম ছোটন, শফিকুল ইসলাম চৌধুরী, মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি