বিপুল সঙ্গীত ও বাঁশরীপ্রেমী আর দর্শকশ্রোতার উপস্থিতিতে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শেষ হয় শাস্ত্রীয় ধারার খ্যাতিমান বংশীবাদক ওস্তাদ ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলামের একক বংশীবাদন সন্ধ্যা। নাগরিক জীবনের কর্মব্যস্ততা ও কোলাহল থেকে স্বল্প সময়ের জন্য বাঁশির সুরে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে সবাই হারিয়ে যায় বংশীবাদন সন্ধ্যার শৈল্পিক আয়োজনে।
শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক চর্চার বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির আয়োজনে ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম এর একক বংশীবাদন সন্ধ্যায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সুররস গ্রহীতাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি সাম্মানিক ফেলোশিপ প্রাপ্ত কিংবদন্তি বংশীবাদক উস্তাদ আজিজুল ইসলাম তাঁর বাঁশির সুর মূর্ছনার ইন্দ্রজাল বুনে বিমোহিত করেন শ্রোতাদের।
বংশীবাদন সন্ধ্যায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহফুজুল হক, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল কাশেম, সাউর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক, ইউএসটিসির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহিত উল আলম, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এর সাবেক চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ জাকারিয়া, শিক্ষাবিদ হাসিনা জাকারিয়া বেলা, পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি মুহাম্মদ মুসলিম পিপিএম, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ডেন্ট চাটার্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ড. সাজিদ হোসাইন, ন্যাশনাল মেরিন ইন্সটিটিউটের প্রিন্সিপাল ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান, আলিয়াঁস ফ্রঁসেজ চট্টগ্রাম এর ডেপুটি ডাইরেক্টর গুরুপদ চক্রবর্তী, শিক্ষাবিদ ড. জয়নাব বেগম, পটিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর উপ পরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, ড. আজাদ বুলবুল,ডা. দীপংকর দে, অধ্যাপক নেছারুল হক, চবি প্রক্টর রোকন উদ্দিন, আফম মোদাচ্ছের আলী, আবদুল হালিম দোভাষ প্রমুখ। অতিথিরা বলেন, ওস্তাদ আজিজুল ইসলামের মতো একজন গুণী শিল্পী আমাদের মাঝে একাগ্রচিত্তে সুরের সাধনা চালিয়ে যাচ্ছেন, দেশে-বিদেশে মানুষকে সুরের মোহজালে আবিষ্ট রাখছেন, এটি আমাদের পরম সৌভাগ্য। তিনি আমাদের গর্ব। সবাই শিল্পীর দীর্ঘজীবন কামনা করার পাশাপাশি আরো বহুদিন সুরধারাপাতে এভাবেই আমাদের সিক্ত করবেন ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বক্তারা আরও বলেন, ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম উপমহাদেশের শীর্ষস্তরের সুরসাধক হিসেবে খ্যাতিমান।
এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া সবখানেই বাঁশি শুনিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন তিনি। বিগত প্রায় অর্ধশতকের পদচারণায় দেশে-বিদেশে অজস্র সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এ শিল্পী। প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির উপদেষ্টা ডা. তাসলিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবি। এরপর অতিথিরা একে একে শিল্পীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রত্যয়ের নির্বাহী সদস্য আবৃত্তি শিল্পী প্রণব চৌধুরী। ওস্তাদ আজিজুল ইসলামকে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন ডা. তাসলিম চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতে সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির শিক্ষার্থী। পরে অতিথিরা প্রত্যয়ের ১৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। বিজ্ঞপ্তি