সুপ্রভাত ডেস্ক »
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল; তিনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নে ‘প্রয়োজনে’ অবশ্যই পরিবর্তন আনা হবে।
গতকাল রোববার প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে পৌঁছালে কর্মকর্তারা নতুন মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করে দেন। পরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন, আমাদের দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। উনারা সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
‘শিক্ষাবর্ষ মাত্র শুরু হয়েছে। ধারাবাহিক মূল্যায়নের কাজগুলোও শুরু হয়েছে। কাজ করতে গিয়ে যদি কোনো সমস্যা মনে হয়, তাহলে পরিবর্তন অবশ্যই আসবে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন কারিকুলাম হঠাৎ করে আসেনি। এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এই আলোচনা সমালোচনাগুলোকে মাথায় রেখেই সেখানে দুর্বলতা থাকলে, সমস্যা থাকলে সেটা সমাধান করা হবে। মূল্যায়ন নিয়ে একটা আলোচনা আছে, সেই মূল্যায়ন যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতায় পরিণত না হয়, সেটাকে আমরা বিবেচনায় রেখে এগিয়ে যাব।
‘শিক্ষায় একটা ধারাবাহিকতা থাকে। এখানে নতুন করে কিছু করার অবকাশ নেই। সেই ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে রূপান্তর ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে। স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করার জন্য স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম আমাদের প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করব।’
স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করার জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করাও প্রয়োজন মন্তব্য করে নওফেল বলেন, ‘আমাদের এবারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার হচ্ছে কর্মসংস্থান। স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করার জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করা প্রয়োজন। কর্মসংস্থানের জন্য মাল্টি স্ক্রিল স্মার্ট সিটিজেন আমাদের প্রয়োজন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণায় জোরদার করা প্রয়োজন।’
গেল পাঁচ বছর ধরে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলে আসা নওফেল এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি চট্টগ্রামের প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে। নওফেল দ্বাদশ সংসদে দ্বিতীয়বার চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সরকারের গত মেয়াদের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে এবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ মুহূর্তের সংবাদ