প্রথম দিন ৭ পয়েন্টে যা দেখতে পেল মনিটরিং কমিটি

জলাবদ্ধতা নিরসন

 জলাবদ্ধতা নিরসন গঠিত মনিটরিং কমিটি গতকাল নগরীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। ছবিটি নোয়াখাল এলাকা থেকে তোলা- সুপ্রভাত

নিজস্ব প্রতিবেদক»
সমন্বয়ের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ শেষের নির্দেশনা দিলেন জলাবদ্ধতা নিরসনে গঠিত মনিটরিং কমিটি। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এম তাজুল ইসলাম সার্কিট হাউসে সমন্বয় সভায় চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারকে আহবায়ক করে মনিটরিং কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটি গতকাল নগরীর সাতটি পয়েন্ট পরিদর্শন করে জলাবদ্ধতার বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করেন। একইসাথে এসব সমস্যা সমন্বয়ের মাধ্যমে সমাধানের নির্দেশনা দেন বিভাগীয় কমিশনার।
মনিটরিং কমিটির সদস্যরা সার্কিট হাউস থেকে গতকাল সকালে বের হয়ে মুরাদপুর এন মোহাম্মদ প্লাস্টিক কারখানার পাশে মির্জা খাল, কর্ণফুলীর তীরে নোয়াখালের মুখ, বলিরহাটের কাছে ডোমখালী খাল, বহদ্দারহাট মোড়ে ডোমখালী খাল, মেয়র গলির কাছে চশমা খাল, চাক্তাই খালের ইছহাকের পুল এবং মা ও শিশু হাসপাতাল এলাকা পরির্দশন করেন।
পরিদর্শনে কী দেখতে পেলেন জানতে চাইলে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান বলেন, ‘অনেক স্থানে খাল সরু হয়ে গেছে, এজন্য পানি ফুলে উঠছে। আবার কোথায় ড্রেনে পলিথিন আটকে যাচ্ছে। কোথাও আবার বিভিন্ন ভাঙ্গা স্থাপনরা অংশবিশেষ পড়ে আছে কিংবা ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা রয়েছে। আইনি ঝামেলাও রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ ও আইনি ঝামেলা শেষ করার জন্য আমাদের সাথে থাকা জেলা প্রশাসককে বলা হয়েছে। একইসাথে অন্যান্য সমস্যা প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা সমন্বয়ের মাধ্যমে সমাধান করে নেবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মহোদয়ের সাথেও বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন হয়েছে। আগামীতেও আমাদের মনিটরিং কমিটি জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অন্যান্য স্থানে যাবে। আমরা যেভাবেই হোক জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে চাই।
জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রামে তিনটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। মেগাপ্রকল্পের পাশাপাশি চাক্তাই থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত সিডিএ’র একটি প্রকল্প এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকল্প রয়েছে। সকল প্রকল্পে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার জন্য বিভাগীয় কমিশনারকে আহবায়ক করে একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি গতকাল জলাবদ্ধতা প্রকল্পের বিভিন্ন এলাকা দেখতে যায়। এসময় চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান, সেনাবাহিনীর ৩৪ ব্রিগেডের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনজুরুল আলম, জলাবদ্ধতা বিষয়ে সিডিএ’র প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দিন, সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে.কর্নেল মো. শাহ্ আলী, চাক্তাই থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত প্রকল্পের পরিচালক ও সিডিএ’র নির্বাহি প্রকৌশলী রাজীব দাশ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে নগরবাসী চরম দুর্ভোগে রয়েছে।

জলাবদ্ধতা নিরসন গঠিত মনিটরিং কমিটি গতকাল নগরীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। ছবিটি নোয়াখাল এলাকা থেকে তোলা- সুপ্রভাত